www.facebook.com/tawasawbil ফেইসবুকে "অসামাজিক আমি" মিডিয়ার এক প্রকার কল্যানেই আজ টক অফ দ্যা টাউন,
বর্তমান সময়ের ফ্যাশন ক্রেইজ এবং বিজনেস আইকন কানিজ আল্মাস খানের পার্লার ব্যান্ড "পারসোনা"
ঘটনা আর কারোরই অজানা নেই মনে হয়....তারপরও বলছি...
বনানীর ১১ নম্বর রোডে অবস্থিত পারসোনায় বারডেম হাসপাতালের এক নারী চিকিৎসক স্পা করাতে যান। ওই ভদ্রমহিলা একটি বিশেষ কক্ষে স্পা করাতে চাইলে তাকে আলাদা একটি কক্ষে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে প্রথমে পোশাক পরিবর্তন করে নির্ধারিত পোশাক পড়তে বলা হয়। পোশাক পরিবর্তন শেষে তিনি ওই কক্ষে একটি গোপন ক্যামেরা আবিষ্কার করেন এবং তার স্বামীকে খবর দেন... তার ডাক্তার স্বামী এসে ভিডিও করা দৃশ্য মুছে ফেলার জন্য চাপ দিলেও পার্সোনার কর্মীরা তা পেনড্রাইভে সেভ করার চেষ্টা করেন। ওই নারীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে গুলশান থানা পুলিশ পার্সোনায় অভিযান চালিয়ে একটি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা ও কম্পিউটার হার্ডডিস্ক জব্দ করেন।
পারসোনার মালকিন কানিজ আলমাস খান মিডিয়াকে জানান,‘একজন ইলেক্ট্রিশিয়ানের ভুলের কারনে সিসি ক্যামেরাটি সামান্য ঘুরে যায় ফলে এই অপ্রত্যাশিত ঘটনাটি ঘটে’ অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।
যতটা সাবলীলভাবে কানিজ ম্যাম এটাকে অনিচ্ছাকৃত ভূল হিসেবে চালিয়ে দিতে চাইলেও সাধারন মানুষের কমনসেন্স কি এখনও সেই লেভেলে আছে যে আপনি শাক দিয়ে মাছ ঢেকে দিলেন আর মানুষও তা মেনে নিলো!!!
বিক্ষুব্ধ নাগরিক প্রতিক্রিয়া ছড়িয়ে পড়তে সময় নেয়নি। ফেসবুকের ওয়াল পারসোনার নিন্দায় ভরে গেছে। পারসোনার ফেসবুক পাতায় অনলাইন ব্যবহারকারীরা নিন্দা জ্ঞাপন ও জবাবদিহিমূলক মন্তব্য করতে শুরু করে সংবাদ প্রচারের পর থেকেই। কিন্তু সকলেই জানান, প্রত্যেকের মন্তব্য মুছে দেয়া হচ্ছে।
এর কিছুক্ষণের মধ্যে পারসোনার ফেসবুক [https://www.facebook.com/yourpersona] পাতাটি আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ পারসোনা কর্তৃপক্ষ ঘটনা ও ঘটনার প্রতিক্রিয়া ধামাচাপা দিয়ে তাদের ব্যবসায়িক নামডাক রক্ষায় ’ওভার নাইট’ তৎপর হয়ে উঠেছেন!
এইতো সেই কানিজ আলমাস খান যাকে দেখ যায় পতিতা বানাবার অন্যতম আকর্ষনীয় প্রতিযোগীতা লাক্স-চ্যানেল আই এবং ভিট টপ মডেল হান্টের মতো প্রতোযোগিতার জাজ প্যানেলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে,যারা কিনা এ তরুনসমাজে কোমলমতী যুবতীদের অশ্লীতাপূর্ণ গ্রুমিং করায়,শীতের রাতেও স্লিভলেস পোশাক আর ফিনফিনে পাতলা শাড়ীতে অভ্যস্ত করে তোলে,বিত্তবানদের ভোগ্য পণ্য হিসেবে কোন বিদেশী হেয়ের রিমুভার কোম্পানীর ব্যান্ড এম্বাসেডর বানিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে ভোগ্যপণের তালিকায়ও নাম ঢুকিয়ে দেয়ার নামান্তর ছাড়া কিছু নয়....
এদিকে আমাদের সমাজ বদলে(!!) অঙ্গীকারাবদ্ধ দৈনিক প্রথম আলোর এমন একটি খবর যেনো গোচরই হয়নি,তারা অনেকটা দেখেও না দেখার ভাল করে এ খবরকি বেমালুম ছাপতেই পারলো না,অথচ এদেরহলেই মুখেই সমাজ বদলেই নিয়ম বদলের মুখ ফেনা তোলা বানী শুনতে শুনতে দিন রাত আমরা অস্থির হয়ে থাকি,এই প্রথম আলোকে ইদানিং এই স্পর্শকাতর ইস্যু গুলোতে নীরব এবং রহস্যময় ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়,
যেমন দেখিয়েছিলো তেল-গ্যাস রক্ষায় একটি প্রতিবাদি তরুনসমাজের উপর অত্যাচারের খবর চেপে যেতে তেমনি পরিমল-অরুন চৌধুরীদের বিচারের দাবিতেও তারা যেন নির্বাক আর বোবা হয়ে রইলো....তবে কি বুঝে নিবো প্রথম আলো আর মতিউর রহমান গং কোন মহলের অসৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে তৎপর!!!
বাংলাদেশটা তিলে তিলে শেষ হয়ে যাচ্ছে, তার শেষ হওয়ার মূলে যারা আছে তাদের রুপটা একটু একটু করে বের হচ্ছে। সামুতে হাজার হাজার ব্লগার আছেন, আর কেউ কোন শাস্তি না দিক সব ব্লগার মিলে কি এর বিরুদ্ধে দাড়াঁলে বিফলে যাবে? মনে হয় না। কিছু একটা করা দরকার।
শুধু পারসোনা নয় সকল বিউটি পার্লারে ব্যবসার আরালে কি ঘটে তার রহস্য উৎঘাটন করতে হবে,যথাযথ তদন্ত করে শাস্তি নিশ্চিৎ না করা পর্যন্ত আমাদের সস্তি নাই....
এভাবেই কি আমাদের সমাজে মুখশধারী পরিমল,অরুন আর কানিজদের মতো কীটরা বিচারের উর্ধ্বে থেকে তাদের বিষবাষ্প ছড়িয়ে যাবে আর মিডিয়া এক শ্রেনীর হলুদ সাংবাদিকটার রজ্জুধারীরা আমাদের সমাজকে ঘুনো পোকার মতও শেষ করে দেবে
এখনই সময় আমাদের সচেতন হবার,প্রতিবাদে ফেটে পড়ার
আর অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিৎ করা...
না-হলে আঘাতটা যখন আমদের ঘরের চালেই এসে পড়বে এখন বিলোপ ছাড়া কোন উপায় থাকবে না
একটি টিভি রিপোর্ট শেয়ার করলাম
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।