আমি আছি সেইখানে............যেখানে নই তোমরা...তাই বলে নই আমি একা
একটি ইউএফও নিয়ে জেরুজালেমে তোলপাড় চলছে। গত ২৮শে জানুয়ারি তা দেখা গিয়েছিল জেরুজালেমের আকাশে বিভিন্ন স্পটে। তার ভিডিও ধারণ করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার পর ব্যাপক সাড়া পাওয়া যায়। কিন্তু ইসরাইলেরই একটি টেলিভিশন চ্যানেল বলছে, ওই ইউএফও’র ঘটনা ধোঁকা ছাড়া কিছু নয়। এ খবর দিয়ে হাফিংটন পোস্ট জানিয়েছে, ওইদিন সকালে ওই ইউএফও জেরুজালেমের আকাশে জ্বলজ্বল করে জ্বলতে দেখা যায়।
তা এক সময় আস্তে আস্তে নিচের দিকে নেমে আসে ইসলামিক সমাধিক্ষেত্র ডোম অব দ্য রক-এর উপরে। এর পর তা আলোর বিচ্ছুরণ ঘটিয়ে আকাশের ওপর দিকে উঠে যায়। প্রথমে বিশ্বব্যাপী ইউএফওতে বিশ্বাসী ও তদন্তকারীরা এতে বিস্মিত হয়েছিলেন। তারা মনে করেছিলেন পবিত্র ওই স্থানের বিভিন্ন স্থান থেকে ধারণ করা হয়েছে ওই ছবি। প্রথম ভিডিওটি ধারণ করেছিলেন ইলিতেল গ্যাডলিভিচ।
দ্বিতীয় একটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিয়েছিল টিনেজাররা। তবে ইসরাইলের চ্যানেল-১০ বলেছে, ওইসব ছবি যারা ধারণ করেছেন তাদের সঙ্গে এ বিষয়টির কোন সম্পর্ক নেই। এতে বলা হয়, গ্যালডভিচ হঠাৎ করে ফটোগ্রাফার হয়ে যাননি। তিনি একটি চলচ্চিত্র কোম্পানির মুভি ম্যান। তিনি অভিনেতা গোলান আরদিভের সঙ্গে অভিনয়ও করেছেন।
যেসব টিনেজার ইউএফও’র ভিডিও পোস্ট করেছে তারা যে স্কুলে চলচ্চিত্র নিয়ে পড়াশোনা করে তার শিক্ষক আরদিভ। ওদিকে ইউএফও’র ভিডিও ধারণ করতে কি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে তাও জানা যায়নি। তবে ইউএফও’র অনেক ফটো ও ভিডিও আছে। সেখান থেকে ভিডিও ক্লিপ ব্যবহার করে এটা করা হয়ে থাকতে পারে। আজকের দিনে মানুষ চালাক হয়ে গেছে।
তারা জানে কিভাবে কম্পিউটারের কি-বোর্ড ব্যবহার করে বানোয়াট ছবি বানানো যায়। এভাবেই অবিশ্বাস্য ইউএফও ভিডিও খুব সহজেই প্রতারণার মাধ্যমে বানানো যায়। এতেই চ্যানেলটির সন্দেহ ঘনীভূত হয়। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।