আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গুজব : রাত জেগে পানি সংগ্রহের প্রতিযোগিতা

mamun.press@gmail.com ২৮ সেপ্টেম্বর: বুধবার ভোর থেকে টিউবওয়েলের পানি বিষাক্ত হয়ে যাবে, ভূমিকম্পের কারণে নলকূপে গ্যাস উঠে আসবে এমন গুজবে মানিকগঞ্জের গ্রামাঞ্চল এবং শহরজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এতে রাত জেগে পানি সংগ্রহে রাখার প্রাণান্তকর চেষ্টা করতে দেখা গেছে মানুষের মধ্যে। মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত টিউবওয়েলগুলোতে ছিল দীর্ঘ লাইন। রাত ১২ টার পরপরই এই গুজবের ব্যাপক বিস্তার ঘটে। জানা যায়, মঙ্গলবার মানিকগঞ্জের সবখানে লোকমুখে দ্রুত গুজব ছড়িয়ে পড়ে, বুধবার ভোর ছয়টার পর থেকে পৌরসভার ওয়াটার সাপ্লাই লাইনসহ জেলার সব টিউবওয়েলের পানিতে ব্যাকটেরিয়া ছড়াবে, পানি বিষাক্ত হয়ে যাবে।

প্রচণ্ড ভূমিকম্পে নলকূপসহ অন্যান্য খাবার পানিতে বিষাক্ত গ্যাস মিশে যাবে। এই গুজবটি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এতে রাতের মধ্যে পানি মজুদ রাখার তাগিদ অনুভব করেন সবাই। অসংখ্য মানুষ মধ্যরাতের পর মানিকগঞ্জের সাংবাদিকদের কাছে এমন গুজবের উৎস এবং এর সত্যতা সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। গুজবের আতঙ্কে কোথাও কোথাও টিউবওয়েলের মাটির উপরের অংশ খুলেও রেখেছেন, যাতে টিউবওয়েলটি বিষাক্ত না হয়।

সদর উপজেলার হাসলি গ্রামের বাসিন্দা বিশিষ্ট লোকসঙ্গীত শিল্পী আবুল বাসার আব্বাসী রাত সোয়া তিনটায় ফোন করে জানান, গুজবে বিশ্বাসী শত শত মানুষ তার বাড়িতে ভিড় করেছেন নলকূপের পানি সংগ্রহের জন্য। মানিকগঞ্জ পৌর এলাকার নয়াকান্দি গ্রামের বাসিন্দা সিদ্দিকুর রহমান জানান, বুধবার সকাল থেকেই টিউবওয়েলের পানি বিষাক্ত হয়ে যাবে শুনে মঙ্গলবার রাত দুটো থেকে ভোর ছয়টা পর্যন্ত তার বাড়ির আঙিনার টিউবওয়েল থেকে লাইন ধরে পানি সংগ্রহ করেছে। মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, তাদের এলাকার অনেকেই বাড়ির টিউবওয়েলের উপরের অংশ খুলে রেখেছেন যাতে নলকূপের ওই অংশে বিষক্রিয়া ছড়িয়ে পড়তে না পারে। মানিকগঞ্জের ঘিওর দৌলতপুর হরিরামপুর সিংগাইর উপজেলার গ্রামাঞ্চলে এ আতঙ্ক এতটাই তীব্র ছিল যে, গ্রামের অনেক মসজিদের মাইকে এ খবর প্রচার করে গ্রামবাসীকে নিরাপদ পানি মজুদ করে রাখার আহবান পর্যন্ত জানানো হয়। বিষক্রিয়ার আতঙ্কে অনেকেই বুধবার দুপুর পর্যন্ত আগেরদিনের বাসি পানি পান করেছেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।