কিছুনা লিচু খাই
এখন সব পোলাপানের হাতেই মোবাইল ফোন আছে, ক্লাস সিক্সের পোলাপানের হাতেও আছে। তার নিচেও আছে কিনা আমার জানা নাই। তাদের সবার ফোনেই ইন্টারনেট আছে। ঐ বয়সে আপনার বা আমার হাতে যদি এহেন জিনিষ থাকিত , আপনি বা আমি কি লিখিয়া গুগলে সার্চ মারিতাম একটু ভাবিলেই বুঝিতে পারিবেন। যাই হোক আমার সময়ে ক্লাস সেভেনে যখন আমি ছিলাম তখন প্রথম আমি কিছু উত্তেজক ছবি সংবলিত কার্ডের দেখা পাই।
তাও বহুত কষ্টে। অনেক দুরের নীল ক্ষেতে যেতে হতো , স্কুল পলায়ন করে। তখনকার মামারা আমাদের দেখেই কিভাবে যেনো বুঝে যেতো আমরা কিসের আশায় এখানে আসিয়াছি। অনেক বাছ বিচার করে তবেই পাচ টাকা দিয়ে একেকটা কার্ড কিনিতাম। কিছু ভাল জ্ঞানের বইয়েরো সন্ধান মিলতো।
সমাজ বিজ্ঞান বইয়ের পবিত্র চিপায় এইসব অসামাজিক বই পড়ার মজা অনেকেই জানেন। ক্লাস নাইনে আসে প্রযুক্তির ছোয়া। কম্পিউটার আসে ঘরে ঘরে, ভিসিডির যুগে পদার্পন। তখনো ঐ নীল ক্ষেতেই যাওয়া লাগতো। আমি মনে করি এই অভিজ্ঞতা শুধুই যে বিটলা পোলাপানের তা নয়।
সবারি কম বেশী এই অভিজ্ঞতা আছে, নিজে না গেলেও বন্ধুদের কাছে থেকে ভিসিডির আদান প্রদান ছিলো নিত্য দিনের ঘটনা। বলে রাখা ভাল আমার এইচ এস সি ব্যাচ ২০০৬।
আমাদের হাতে ইন্টারনেট আসে কলেজে উঠার পর। এখন আমরা অনেক বড়। যাই হোক , আসল কথায় আসি, এখন ঘরে ঘরে ইন্টারনেট।
পোলাপান কি করে আমি জানিনা, তবে নিষিদ্ধ জিনিষের প্রতি আকর্ষন বেশি থাকাতাই নরমাল। যেখানেই দেখবে ১৮ প্লাস লেখা ঐখানেই সব ঝাপ দিয়া পড়বে, বয়স ১৮ মাইনাস হলে লাফটা হবে দেখার মতন। এখন আর বিটলা বন্ধুর কাছে কিছুর জন্য হাত আর কারো পাতা লাগেনা, টরেন্ট তার উদার হাত বাড়িয়ে বসেই আছে সবার দিকে।
আমি যা বুঝাতে চাইলাম তা হইলো, এখন পোলাপানের মধ্যে ১৮ প্লাস হওয়ার আগেই আকাম কুকামের চিন্তা ভালমতো ইনস্টল হইয়া যায়। পোলাপানের নিজেদেরো কারিশমা দেখাতে মন চাইবোই।
আগের চেয়ে এখন পোলাপান বেশ আগেই এসোবের ধারনা পাইয়া যাচ্ছে, কিন্ত বিয়া কিন্ত এখন হচ্ছে আগের চেয়ে আরো অনেক অনেক বয়স হওয়ারো পরে। এখন একটা ছেলের বা মেয়ের নিজের পায়ে দাড়াতে অনেকেরি ত্রিশ বছর লেগে যাচ্ছে, নিজের পায়ে না দাড়ালে কোনো বাপই তার মেয়ের হাত পোলাটার হাতে তুলে দিবেনা। বিশ বছর বয়স থেকেই তারা কিন্ত যৌনতায় সক্ষম , কিন্ত সমাজ তাদের মিলনে অনুমতি দিবেনা। প্রবল আকাংক্ষা থাকার পরেও মিলন করতে না পারায় মনে নানা ফ্যান্টাসি কাজ করে, এই ফ্যান্টাসি তৈরি করায় ব্যস্ত থাকায় আমরা অনেক অনেক সৃজনশীল কাজ হারাচ্ছি যুব সমাজের কাছ থেকে। সমাজ যেহেতু বিয়ে করতে দিচ্ছেনা, আবার অবাধ মেলামেশাও সমর্থন করেনা।
জৈবিক চাহিদাকে আপনি দড়ি দিয়ে বেধে কতোদিন রাখতে পারবেন। অভুক্ত হয়ে পশুর রুপ ধারন করতে বেশি সময় সে নিবেনা।
রাস্তায় রিক্সায় , পার্কে, ফাষ্ট ফুডের দোকানে অনেক জায়াগাতেই এখন প্রেমিক প্রেমিকার প্রেমলীলা দেখে সবাই চিৎকার করে উঠে। কি বেহায়া পোলাপান। আমার প্রশ্ন হলো আপনি তাদের ভরা যৌবনে বিয়ে করতে দিবেননা, লিভ টুগেদার করতে দিবেননা, কোথাও কিছুই করতে দিবেননা।
তারা কি নিজেদের যৌনাংগ কেটে সোকেজে ভরে রেখে দিবে?????
দুই দিন আগেই দেখলাম বাচ্চা বাচ্চা তিনটা পোলা একটা মাইয়ার আপত্তিকর ভিডিও কইরা ছাড়ছে। এসব ঘটনা সব হয়তো মিডিয়ায় আসেনা, আপনার এলাকায় খবর নিয়া দেখেন ভাল মতন, স্কুল কলজের পোলাপান কি করে। শহরের পোলাপানের খেলার মাঠ সব খাইয়া ফেলা হইছে। ইন্টারনেটেই তাদের বিনোদন খুজতে হয়। এখনো এর পরিনাম হয়তো বুঝতে পারতেছিনা, তবে যে প্রজন্মকে আমরা নোংরামির দিকে ঠেলে দিলাম, তাদের নোংরামির জন্য শুধুই তাদের একতরফা দোষ দিলে হবেনা।
সময় হইছে গভীর ভাবে ভাবার। গভীর কোনো বিপর্যয় আসার আগেই .........। ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।