sorry vai এই গাঁয়ের কারোরই ভাল লাগেনা। কাশেম বুইড়ার শরার ভাল লাগেনা, করিম মেখের বড় পুলার মন ভাললাগেনা, আদম সাহেবের চাকরি ভাল লাগেনা, রঘুনাথের ব্যাবসা ভাললাগেনা, আবুল মাঝির বউ ভাললাগেনা, বাছেদ মাস্টারের জীবন ভাললাগেনা। ভাল না লাগার মত জিনিসের অভাব নাই দুনিয়াতে, আর ভাল লাগার মত জিনিস দিন দিন কর্পূরের মত বাতাসে উড়াল দিতাছে। সেইদিন রসুল আনসারীর ছোট পুলা গেরাম দ্যাশ ভাললাগেনা বইলা ঢাকার শহরে পাড়ি জমাইল। মাস পার না হইতেই এক সকালে নাইট কোঁচে দাঁত কেলাইতে কেলাইতে শ্যামপুর বাজারে হাজির।
সমবয়সী চ্যাংড়াদের জিজ্ঞাসায় ইস্টার ফিল্টারের দমে ধোয়া উড়াইয়া একই ডায়লগ, শহর ভাললাগেনা। বলি ভাল তাইলে লাগেটা কী? চ্যাংড়ার না হয় রংয়ের বয়স, রং বদলায় বেলায় বেলায়। যে বুইড়ার এক ঠ্যাং কবরে, সেই বাছেদ মাস্টারের ক্যান ভাললাগেনা! মরনের ভয়ে, আজরাইলের গরম শিকের ভয়ে, নাকি ছোট পুলার অকালে অধ:পাতে যাওয়ার ভয়ে? হায়রে, রং থাকলেও ভাললাগেনা, রং ফুরালেও ভাললাগেনা।
তাহলে কি যার রং-ই নাই তার ভাল লাগে? নাহ্, হদুর মোড়ের হদু পাগলার তো রং-ই নাই। তাও তো সারাদিন গাছের ডাল-পাতা ছিড়তে ছিড়তে কয়, ভাললাগেনা, কিচ্ছু ভাললাগেনা।
পাগলেরও ভাললাগেনা। রসের হাঁড়ি নিয়ে ঘুরে বেড়ায় কাদের মুন্সির ছোট ছেড়ি জুলেখা। এত রস, তাও কয়, নাগর ছাড়া ভাললাগেনা। মর্জিনার বাপ অ'রে নাগর ধইরা দিছে তিন বছর। সারাদিন কাম করে আর কয়, আমি এই সংসারের দাসি-বান্দি।
শ্যাঠার সংসার আর ভাললাগেনা। হালিম মিয়া বউ ফালাইয়া বিদ্যাম গেছে ছয় বছর। বউ খালি জানালা দিয়া রাস্তার জোয়ান পুলাগো দিকে উঁকি মারে আর কয়, সোনার যৌবন দোসর বিনা ভাললাগেনা। সেইদিন মাঝ রাইতে খালের ধারে নজু মোল্লার বড় পুলার লগে গাঁয়ের লোকের হাতে ধরা পড়লো দোসরাহীনা। মাতব্বর কয়, গেরামে এত গ্যাঞ্জাম আর ভাললাগেনা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।