সকল প্রশংসা মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের জন্য যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন।
আস্সালামুআলাইকুম
সবাইকে রমজানের শুভেচ্ছা। দেরী হওয়ার জন্য দুঃখিত। আসলে আরেকটা পোস্ট রেডি করেছিলাম। বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে আর পোস্ট করা হয়নি।
যাক গে...
তারাবীর নামাজ নিয়ে কিছু বলতে চাই।
শুধু রমজান মাসেই তারাবীর নামাজ পড়তে হয়। তারাবীর নামাজ সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ। অর্থাৎ না পড়লে গুনাহ হইবে।
রমজান মাস আসলে বিভিন্ন মসজিদে বিভিন্ন ভাবে তারাবীর আয়োজন করে।
কোথাও সূরা-তারাবী আবার কোথাও খতম তারবীহ পড়ে। সূরা তারাবী নিয়ে আমার কিছুই বলার নাই। কিন্তু খতম তারাবীহ নিয়ে কিছু কথা আছে।
রমজান মাসে কুরআন খতম দেয়া একটি অত্যন্ত প্রশংসনীয় কাজ। তাই রমজান মাসে কুরআন খতম দেয়ার চেষ্টা করা উচিত।
যা বলছিলাম, আমাদের এলাকায় মসজিদে কুরআন খতম দেয়া হয় ২৭ দিনে। ১ম ৬ দিন ১.৫ পাড়া করে পড়ে পরবর্তী ২১দিন ১পাড়া করে ২৭তম দিনে খতম হয়। পরের ২/৩ দিন সূরা-তারাবীহ পড়া হয়। খুবই পছন্দনীয় পদ্ধতি। কোথাও আবার ২ খতম দেয়া হয়।
কোথাও ১৫ দিনে খতম হয় আবার ৫দিন এমনকি ৩ দিনেও খতম হয়। বন্ধুরা অনেকেই খুঁজে খুঁজে সবচেয়ে কমদিনে যেখানে খতম দেয় সেখানেই তারাবীর নামাজ পড়ে। জিজ্ঞেস করলে বলে এতদিন ধরে তারাবীহ পড়া সম্ভব নাকি?..... তার মানে তারাবীহ মানে শুধু খতম দেয়া পর্যন্তই তারাবির নির্দেশ নাকি?
দেখা যায় যেসব জায়গায় ৩,৫,৭ দিনে কুরআন খতম দেয় সেখানে ইমামরা অসম্ভব দ্রুত গতিতে কুরআন পড়ে ফলে মুত্তাকীরা শব্দ শূনলেও বুঝতেও পারে না ইমাম সাহেব কি পড়ে যাচ্ছেন। মাঝে মাঝে তো মনে হবে প্ররাপ বকে যাচ্ছেন। আমার কাছে এটাকে কুরআনের অবমাননা বলে মনে হয়।
তার চেয়ে কুরআন খতম না দিয়ে সূরা তারাবীহ পড়া অনেক উত্তম।
তারাবীতে কুরআন খতম দেয়ার নিয়ম হচ্ছে সম্পূর্ণ কুরআন নামাজে দন্ডায়মান অবস্থায় শ্রবণ করতে হবে। কিন্তু দেখা যায় যেখানে ইমাম সাহেব যখন ১ম রাকাতে কিরাত পাঠ করেন তখন অনেকেই পিছনে বসে বসে সময় কাটয়। ইমাম যখনই রুকুতে যান তখন সবাই দৌড়ে রুকুতে শামিল হয়। এটা আবার কেমন খতম? এর চেয়ে স্বল্প দৈর্ঘের সূরা দিয়ে সূরা তারাবি পড়া কি উত্তম নয়?
তারাবীহর নামাজ হলো ধীরে সুস্থে পড়ার নামাজ।
সবচেয়ে উত্তম পদ্ধতি হচ্ছে ৪ রাকাত পড়ার পর বসে এ পর্যন্ত যাপড়া হয়েছে তা আলোচনা করা। মধ্যপ্রাচ্যে অনেক যায়গায় এমনটি করা হয়।
যে নামাজ ধীরে সুস্থে পড়তে বলা হয়েছে সেখানে যদি কুরআন নিয়ে এমন টানাটানি করা হয় তাহলে কি আল্লাহ খুশী হবেন নাকি অল্প অল্প করে ধীরে ধীরে পড়লে আল্লাহ খুশী হবেন?
প্রিয় ভাইয়েরা, আমরা আল্লাহকে খুশি করার জন্যই নামাজ পড়ি। নিশ্চয় অন্য কাউকে খুশি করার জন্য নয়। কাজেই নামাজ হওয়া উচিত আল্লাহর নির্দেশ মতোই।
আপনার যদি খতমের উদ্দেশ্য থাকে তাহলে যেখানে ২৭ দিন, ১৫ দিনে খতম দেয় সেগুলোতে নামাজ আদায় করেন। আর খতম না দিলেও দোষের কিছু নেই কিন্তু ১০ দিনে খতম শেষ করে যদি আর বাকি ২০ দিনের নামাজ ছেড়ে দেন তাহলে অনেক বড় গোনাহের কাজ হবে। কাজেই খতম না হোক অন্তত সূরা তারাবীহ পড়ে হলেও রমজান মাসে প্রতিদিন তারাবীহ পড়ে যান। কারণ আমাদেরকে প্রথমত তারাবীহ পড়তে বলা হয়েছে কুরআন খতম করতে বলা হয়নি।
আল্লাহ আমাদের নামাজ এবং রোজা সমূহ কবুল করুণ।
আল্লাহ হাফিজ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।