বাঁচিতে চাহিনা এই নষ্ট ভুবনে......
ডেনমার্কের অভিবাসী আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে যাওয়া ৮ বছর বয়সী শিশু রিপা আহমেদকে ডেনমার্ক থেকে বহিষ্কার করার প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে। আগামী কিছুদিনের মধ্যেই তাকে তার বাবা জামাল আহমেদের কাছ থেকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর আদেশ পাঠাতে যাচ্ছে ডেনমার্কের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ।
ডেনমার্কের অভিবাসী আইনের ‘ফ্যামিলি রিইউনিফিকেশন রুল’ অনুযায়ী, বাবার কাছে থাকার ‘যোগ্যতা’ রিপার তৈরি হয়নি। শুধু রিপা নয়, ডেনমার্ক থেকে এভাবে সাম্প্রতিক সময়ে আরও কয়েকজন ‘বিদেশি’ শিশুকে তাদের বাবা বা মার থেকে পৃথক করে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
রিপাসহ এই শিশুদের ডেনমার্ক থেকে বহিষ্কারের বিষয় দেশটিতে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে।
২৪ বছর আগে তৈরি করা এই আইনের কিছু বিধি সংশোধনেরও দাবি ওঠা এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। ডেনমার্কে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
রিপার বাবা জামাল আহমেদ ১৯৯৮ সাল থেকে ডেনমার্কে বসবাস করছেন। তিনি কোপেনহেগেনের হোটেল হিলটনের হেঁশেলঘরে সহকারী হিসেবে কাজ করেন।
বাংলাদেশে তিনি বিয়ে করেন এবং রিপা নামে তাদের একটি কন্যা সন্তান জন্ম হয়।
তবে রিপার জন্মের কিছুদিনের মধ্যেই তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। শিশু রিপা তার দাদির কাছে থাকতে শুরু করে। তবে দাদির শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে রিপার যত্ন নেওয়া অসুবিধা হয়ে যায়।
২০০৯ সালের শুরুর দিকে ৬ বছর বয়সী রিপাকে ডেনমার্কে নিজের কাছে নিয়ে যান জামাল আহমেদ। তিনি রিপাকে সেখানকার একটি শিশুস্কুলে ভর্তিও করান।
রিপা এখন মোটামুটি ড্যানিশ ভাষায় কথা বলা ও নিজের চাহিদা প্রকাশ করতে সক্ষম।
ডেনমার্ক ইমিগ্রেশন আইন অনুযায়ী, রিপাকে আরও আগে তার বাবার কাছে আসতে হতো। ইমিগ্রেশন অথরিটি বলছে, রিপাকে ডেনমার্কে থাকতে দেওয়ার আইনতঃ কোনও সুযোগ নেই।
খবরঃবাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।