আনাড়ী রন্ধন শিল্পীর ব্লগ B-)। ব্লগের বাজে-মানহীন লেখাগুলোর মাস্টার পিস দেখতে চাইলে এই ব্লগারের পোষ্ট গুলো পড়ে দেখতে পারেন। কথা দিচ্ছি, নিরাশ হবেন না। B-) কলেজের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আজ ছিলো দ্বিতীয় এবং মেইন অনুষ্ঠান। রেজীষ্ট্রেশন না করলেও বান্ধবীর(বিপা) ফোনে অবশেষে আমি এবং তন্বী গেলাম।
একটুও ভাল লাগছিলো না। মনে হচ্ছিলো এখানে আসবে আম্মু-আন্টি টাইপ সবাই, যাদের বহু বছর পর বান্ধবীদের সাথে দেখা হবে, তারাই না মজা করবে। আমাদের প্রতিদিনই দেখা হচ্ছে আলাদা আবার কিসের মজা।
তার পরেও বহুত কষ্ট করে কিছুক্ষন কাটালাম।
ঘুরে ঘুরে দেখলাম বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের মেয়েরা বিভিন্ন জিনিসের প্রদর্শনী করছে।
১। শুরু করি স্টেজের সামনে বিপার ফটোসেশন দিয়ে
২। আমাদের গ্রুপের চার সদস্যের দুই সদস্য (বিপস্ & তনস্)
৩। জামদানীর প্রাধান্যই ছিলো বেশী। চমৎকার এই জামদানীটি ধরে রাখতে ভুল করিনি
স্টেজের সামনে থেকে ছবি তুলে আসার পথে এক আপু(যদিও মার বয়সী) হাতে ক্যামেরা ধরিয়ে বললেন ছবি তুলে দিতে।
দিলাম তুলে সাথে অসাধরন এই মুহর্তটি নিজের মোবাইলে ধরে রাখতে ভুল করলাম না।
৪।
৫। ৭৫তম জয়ন্তীতে আন্ডা-বাচ্চা সহ যাওয়ার আশা পোষন করে সাইন করে এলাম
৬। গর্বিত স্টুডেন্ট
৭।
বাদ পড়েনি কুলাংগারটাও
৮। স্বাভাবিক ভাবেই শিল্পকলা ডিপার্টমেন্ট ই সবচেয়ে সুন্দর করে সাজানো ছিলো
৯। এইরকম সুন্দর সুন্দর লেখা ছিলো প্রতিটি পিলারে
১০। মেয়েদের কিছু হাতের কাজ
১১। ফুড ডিপার্টমেন্টে গিয়ে দেখি প্রদর্শনীর জন্যে তখনও কিছু সাজায়নি তবে ডিপার্টমেন্ট ছিলো সুন্দর করে সাজানো
সবার না হয় সাজানোর কিছু আছে আমাদেরটায় কি দিয়ে সাজাবে।
বাচ্চা-টাচ্চা এনে দাড় করিয়ে রাখবে নাক...ভাবতে ভাবতে নিজের ডিপার্টমেন্টে গেলাম। আশাহত হইনি
১২। ঢোকার সময় দরজার সামনে
মেয়েদের বিভিন্ন সময়ে প্র্যাকটিক্যাল-গবেষনার কাজ গুলো ছিলো টেবিলে সাজানো।
১৩। বাচ্চাদের জন্যে হাতে তৈরী করা বই
১৪।
খেলনার টেবিলে গিয়ে মাথা নষ্ট
১৫। কত্ত কি
১৬। শুধু কি এই বাচ্চাদের বিভিন্ন সময়ের বেড়ে ওঠা, হ্যানো, ত্যানো কত্ত কি নিয়ে যে কত্ত কিছু বিস্তারিত টানানো ছিলো। ছবি তুলছিলাম আর বলছিলাম তন্বী এইগুলানত ভাইভায় আসবে
১৭। এইরকম মুখ যখন দেখি খুব খারাপ লাগে
১৮।
খুব খুব খুব ইচ্ছা স্পেশাল নিডেড চাইল্ড নিয়ে কাজ করার
কলেজে ঘুরেটুরে দেখি ঢাবির ভিসি, নুরুল ইসলাম নাহিদ আরো হ্যানো-ত্যানো ব্যক্তিরা তাদের মূল্যবান ভাষন দিচ্ছেন যা শোনার ধৌর্য্য হয়নি। তাই আমি আর তন্বী গেলাম বেচারাম দৈউরীতে নান্নার মোরগ-পোলাও থেতে। খেতে খুব একটা খারাপ লাগেনি। তবে বিলের কাগজ দিয়ে গেলে শেষ ফিনিশিং হিসেবে টাশকী খেলাম। দুজনের বিল এসেছে ২৫০ টাকা।
১৯। দুই প্লেট মোরগ-পোলাও ১৮০/=
দুইটা বোরহানী ৪০/= এবং দুইটা টিক্কা যার কথা কোন সময়ই কোন ব্লগার উল্লেখ করেননি ৩০/=।
২০। নিষিদ্ধ কাজে অগ্রহ বেশী আর যদি হয় বাংগালী; তার ই প্রমান
যাহোক ঘুরে-টুরে খেয়ে-দেয়ে ভালই মজা হলো। তন্বী আমাকে স্পেশাল থ্যাংকস দিলো এরকম এক জায়গায় আনার জন্যে আর আমি বাসায় এসে মনে মনে থ্যাংকস দিলাম তাকে যে কিনা প্রথম দিন নিয়ে গিয়েছিলেন যদিও সেদিন খাওয়া হয়নি ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।