ইন্টারনেটে খোলামেলা আড্ডায় অজস্র চেনা-অচেনা লোকের সামনে উঠে আসছে ব্যক্তিগত রাগ-ভালবাসা বা ঘৃণা। একান্ত ব্যক্তিগত বিষয় নিয়েও প্রকাশ্যে নিরন্তর কাটা-ছেঁড়া ফেসবুক বা টুইটারের কল্যাণে এমন নজির নেহাত কম নয়। কিন্তু সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে অকপটে ব্যক্তিগত অনুভূতি ও যথেচ্ছ আবেগ প্রকাশ কি কিছু ক্ষেত্রে মারাত্মক মানসিক চাপের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে? অন্তত আইআইএম-বেঙ্গালুরুর এক মেধাবী ছাত্রীর আকস্মিক ‘আত্মহত্যা’-র ঘটনায় এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
গত সোমবার সন্ধ্যায় বেঙ্গালুরু- আইআইএময়ের ছাত্রীর মালিনী মুর্মুর দেহ হস্টেলের ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘরে ল্যাপটপের সামনে মালিনীর ‘সুইসাইড নোট’ও পড়ে ছিল।
আর এই মৃত্যুর তদন্তের সূত্রেই প্রকাশ্যে আসছে ফেসবুকে মালিনীর ‘বিশেষ বন্ধু’ এক তরুণের লেখা মন্তব্য। প্রকাশ্য ‘ফোরামে’ ওই তরুণের ঘোষণা, “হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম। আমার প্রাক্তন বান্ধবীকে আজ ঘাড় থেকে নামিয়েছি। হ্যাপি ইন্ডিপেন্ডেন্স ডে!” বেঙ্গালুরু পুলিশের কাছে মালিনীর বন্ধুরা জানিয়েছে, সম্পর্কে ইতি টানার পরে প্রাক্তন প্রেমিকের ওই মুক্তির উচ্ছ্বাস মেনে নিতে পারেননি মালিনী। সকলের সামনে এ ভাবে অপদস্থ হওয়ার লজ্জাতেই আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন তিনি।
পুলিশ জানায়, হস্টেলে মালিনীর ঘরের দেওয়ালে বড় বড় হরফে লেখা ‘আমাকে ঠকানো হয়েছে’।
মালিনী মুর্মু
বি-টেক পাশ করে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কিছু দিন চাকরি করার পরে গত জুনে আইআইএমে পড়তে গিয়েছিলেন মালিনী। মালিনীর বাবা বিশ্বনাথ মুর্মু জামশেদপুরের একটি বেসরকারি সংস্থার কর্তা। বাড়িতে তাঁর মা ও ছোট বোনও রয়েছেন। বেঙ্গালুরু পুলিশের ডিসি (দক্ষিণ-পূর্ব) পি এস হর্ষ বলেন, “মালিনীর বাবার অভিযোগ, প্রণয়ঘটিত কারণেই প্ররোচিত হয়ে তাঁদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
তবে আমরা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছি। ” আইআইএম-এর জনসংযোগ কর্তা এন ব্রিঞ্জি দেব অবশ্য মুখ খুলতে রাজি হননি। তবে জানান, মালিনীর মৃত্যুতে আইআইএম শোকাহত।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তথা মনস্তত্ত্ববিদ নীলাঞ্জনা সান্যাল এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে জীবনে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের প্রয়োগ নিয়ে সতর্ক হতে বলছেন। রাঁচির ইনস্টিটিউট অব নিউরো-সাইকিয়াট্রি অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্সেস (রিনপাস)-এর মনস্তত্ত্ববিদ কাপ্তান সিংহ সেঙ্গারের মত, “শুধু প্রেমে বিচ্ছেদই নয়, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে বিষয়টি নিয়ে লোকে আলোচনা করবে, এমন একটা আশঙ্কা হয়তো মেয়েটির মধ্যে কাজ করেছিল।
এর ফলে ওঁর মানসিক চাপ বা যন্ত্রণা আরও বেড়ে যায়। ”
নীলাঞ্জনাদেবীর মতে, “ফেসবুক বা টুইটারের কিছু ভাল দিক আছে। এখানে অর্ন্তমুখী স্বভাবের অনেকে সহজে সবার সঙ্গে মিশতে পারেন। তবে খারাপ দিকও অস্বীকার করা যায় না!” তাঁর মতে, “ইন্টারনেটের ‘পাবলিক ফোরামে’ ব্যক্তিগত বিষয় বেশি টেনে আনা ঠিক নয়। অপরিচিত লোকের সামনে অপদস্থ হয়ে মানসিক হয়রানির শিকার হতে হয়।
মানসিক আদান-প্রদানের জন্য ফেসবুক-টুইটারের মত সাইটের উপরে নির্ভরশীল না-হওয়াই ভাল। ”
মালিনীর স্মরণে ফেসবুকেই তাঁর বন্ধুরা তৈরি করেছে একটি ‘পেজ’। সেখানে এখন দুঃখপ্রকাশ করে মন্তব্য জমা হচ্ছে। মালিনীর বিশেষ বন্ধুর বিচ্ছেদের ‘ঘোষণায়’ যে ভাবে মন্তব্য ভিড় করেছিল, কতকটা সেই ভাবেই। তবে এ বার আর সে সব জানা হল না মালিনীর।
আজই জামইন্টারনেটে খোলামেলা আড্ডায় অজস্র চেনা-অচেনা লোকের সামনে উঠে আসছে ব্যক্তিগত রাগ-ভালবাসা বা ঘৃণা। একান্ত ব্যক্তিগত বিষয় নিয়েও প্রকাশ্যে নিরন্তর কাটা-ছেঁড়া ফেসবুক বা টুইটারের কল্যাণে এমন নজির নেহাত কম নয়। কিন্তু সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে অকপটে ব্যক্তিগত অনুভূতি ও যথেচ্ছ আবেগ প্রকাশ কি কিছু ক্ষেত্রে মারাত্মক মানসিক চাপের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে? অন্তত আইআইএম-বেঙ্গালুরুর এক মেধাবী ছাত্রীর আকস্মিক ‘আত্মহত্যা’-র ঘটনায় এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
গত সোমবার সন্ধ্যায় বেঙ্গালুরু- আইআইএময়ের ছাত্রীর মালিনী মুর্মুর দেহ হস্টেলের ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘরে ল্যাপটপের সামনে মালিনীর ‘সুইসাইড নোট’ও পড়ে ছিল।
আর এই মৃত্যুর তদন্তের সূত্রেই প্রকাশ্যে আসছে ফেসবুকে মালিনীর ‘বিশেষ বন্ধু’ এক তরুণের লেখা মন্তব্য। প্রকাশ্য ‘ফোরামে’ ওই তরুণের ঘোষণা, “হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম। আমার প্রাক্তন বান্ধবীকে আজ ঘাড় থেকে নামিয়েছি। হ্যাপি ইন্ডিপেন্ডেন্স ডে!” বেঙ্গালুরু পুলিশের কাছে মালিনীর বন্ধুরা জানিয়েছে, সম্পর্কে ইতি টানার পরে প্রাক্তন প্রেমিকের ওই মুক্তির উচ্ছ্বাস মেনে নিতে পারেননি মালিনী। সকলের সামনে এ ভাবে অপদস্থ হওয়ার লজ্জাতেই আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন তিনি।
পুলিশ জানায়, হস্টেলে মালিনীর ঘরের দেওয়ালে বড় বড় হরফে লেখা ‘আমাকে ঠকানো হয়েছে’।
মালিনী মুর্মু
বি-টেক পাশ করে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কিছু দিন চাকরি করার পরে গত জুনে আইআইএমে পড়তে গিয়েছিলেন মালিনী। মালিনীর বাবা বিশ্বনাথ মুর্মু জামশেদপুরের একটি বেসরকারি সংস্থার কর্তা। বাড়িতে তাঁর মা ও ছোট বোনও রয়েছেন। বেঙ্গালুরু পুলিশের ডিসি (দক্ষিণ-পূর্ব) পি এস হর্ষ বলেন, “মালিনীর বাবার অভিযোগ, প্রণয়ঘটিত কারণেই প্ররোচিত হয়ে তাঁদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
তবে আমরা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছি। ” আইআইএম-এর জনসংযোগ কর্তা এন ব্রিঞ্জি দেব অবশ্য মুখ খুলতে রাজি হননি। তবে জানান, মালিনীর মৃত্যুতে আইআইএম শোকাহত।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তথা মনস্তত্ত্ববিদ নীলাঞ্জনা সান্যাল এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে জীবনে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের প্রয়োগ নিয়ে সতর্ক হতে বলছেন। রাঁচির ইনস্টিটিউট অব নিউরো-সাইকিয়াট্রি অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্সেস (রিনপাস)-এর মনস্তত্ত্ববিদ কাপ্তান সিংহ সেঙ্গারের মত, “শুধু প্রেমে বিচ্ছেদই নয়, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে বিষয়টি নিয়ে লোকে আলোচনা করবে, এমন একটা আশঙ্কা হয়তো মেয়েটির মধ্যে কাজ করেছিল।
এর ফলে ওঁর মানসিক চাপ বা যন্ত্রণা আরও বেড়ে যায়। ”
নীলাঞ্জনাদেবীর মতে, “ফেসবুক বা টুইটারের কিছু ভাল দিক আছে। এখানে অর্ন্তমুখী স্বভাবের অনেকে সহজে সবার সঙ্গে মিশতে পারেন। তবে খারাপ দিকও অস্বীকার করা যায় না!” তাঁর মতে, “ইন্টারনেটের ‘পাবলিক ফোরামে’ ব্যক্তিগত বিষয় বেশি টেনে আনা ঠিক নয়। অপরিচিত লোকের সামনে অপদস্থ হয়ে মানসিক হয়রানির শিকার হতে হয়।
মানসিক আদান-প্রদানের জন্য ফেসবুক-টুইটারের মত সাইটের উপরে নির্ভরশীল না-হওয়াই ভাল। ”
মালিনীর স্মরণে ফেসবুকেই তাঁর বন্ধুরা তৈরি করেছে একটি ‘পেজ’। সেখানে এখন দুঃখপ্রকাশ করে মন্তব্য জমা হচ্ছে। মালিনীর বিশেষ বন্ধুর বিচ্ছেদের ‘ঘোষণায়’ যে ভাবে মন্তব্য ভিড় করেছিল, কতকটা সেই ভাবেই। তবে এ বার আর সে সব জানা হল না মালিনীর।
সূএ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।