... বার্ড ফ্লুর প্রতিষেধক (ভ্যাকসিন) তৈরির জন্য 'ভাইরাস বীজ' তৈরিতে যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রকে (ইউএস সিডিসি) এ ভাইরাসের নতুন টাইপের নমুনা দেবে বাংলাদেশ।
স্বাস্থ্যসচিব মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির রোববার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "বৈজ্ঞানিক কাজে ব্যবহারের জন্যই এ ভাইরাসের এইচ৯এন২ টাইপ তাদের দিচ্ছি আমরা। "
গত মার্চে মানব দেহে এ ভাইরাসের উপস্থিতি সনাক্ত করা হলেও স¤প্রতি ইউএস সিডিসি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বিষয়টি নিশ্চিত হয়। বাংলাদেশে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) ভাইরাসের এই টাইপ সর্বপ্রথম সনাক্ত করে।
আইইডিসিআরের পরিচালক প্রফেসর মাহমুদুর রহমান বলেন, "মহামারীর মতো অবস্থা তৈরি করার ক্ষমতা রয়েছে এ ভাইরাসের।
বার্ড ফ্লুর জন্য দায়ী হিসেবে পরিচিত এইচ৫এন১ প্রজাতির সঙ্গে মিলে এইচ৯এন২ ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পরে। "
এইচ৫এন১ ভাইরাস প্রজাতিটি আরো শক্তিশালী হয়ে ওঠায় এশিয়া ও এর আশেপাশের এলাকায় বার্ড ফ্লুর ব্যাপকতা যে ছড়িয়ে পড়তে পারে, গত ২৯ অগাস্ট সে বিষয়ে বাংলাদেশকে সতর্ক করেছিলো জাতিসংঘ।
আইইডিসিআরের পরিচালক জানান, মুরগির খামারগুলোতে জৈব নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পরামর্শ দেওয়া হলেও ব্যক্তিগত পর্যায়ে হাস-মুরগি পালনের ক্ষেত্রে তা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। এ জন্য সমন্বিতভাবে একটি দিক নির্দেশনা তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের গবেষকরা।
আইইডিসিআরের কর্মকর্তারা জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী এই ভাইরাসের নমুনা যুক্তরাষ্ট্রকে দেওয়া হবে।
সূত্রঃ এখানে..........
"বিনিময়ে সাশ্রয়ী মূল্যে প্রতিষেধক পাওয়ার পাশাপাশি আমরা কৌশলগত সহযোগিতাও পাবো", বলেন প্রফেসর রহমান।
তিনি জানান, সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ইউএস সিডিসি এই ভাইরাস ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে আবেদন করে। সে সময়ই পরীক্ষা করার জন্য তাদের নমুনা পাঠানো হয়েছিল। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।