নিজের সম্পর্কে লেখার কিছু নেই । সাদামাটা । ভুতের আছর……………..নার্ভাস কথাবলী
(তিন খন্ডে সমাপ্ত *** দ্বিতীয় খন্ড)
প্রথম খন্ডের জন্যে এখানে Click This Link
এইসব করতে গিয়ে আপনার মগজকে একটি প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনার ভেতর দিয়ে যেতে হয় । তাই আপনার সম্পূর্ণ স্নায়ুতন্ত্রটি একটি কেন্দ্রীয় (Central)এবং একটি প্রান্তিক (Peripheral)স্নায়ুতন্ত্র নিয়ে গঠিত । একটি রাষ্ট্রব্যবস্থার সাথে যদি একে তুলনা করা যায় তবে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র, যা Brain এবং Spinal cord নিয়ে গঠিত তা সংসদ, মন্ত্রী-পরিষদ, সচিবালয় ইত্যাদির মতোই একত্রে কাজ করে থাকে ।
আপনার মগজটিকে যে Frontal, Occipital, Temporal এবং Parietal Lobe এই হিসেবে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে সেইসব এলাকাতেই আছে এক একটি মন্ত্রীর দফতর । আর মন্ত্রীর দফতরে যেমন আছে সেক্রেটারী, সেকশন অফিসার, অফিস কারনিক ইত্যাদিরা যারা একই দফতরের বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত, তেমনি আপনার মগজের সেইসব এলাকাতেও আছে একই মন্ত্রনালয়ের আলাদা আলাদা কাজের জন্যে এক একটি টেবিল অর্থাৎ সক্রিয় এলাকা । যেমন এই লেখাটি পড়তে গিয়ে আপনাকে মাউসটিকে নাড়াতে হচ্ছে । খেয়াল করুন, আপনার হাতের কোন কোন আঙুল এই কাজে ব্যস্ত । জেনে রাখুন, আপনার প্রতিটি আঙুলের নড়াচড়া বা মুভমেন্টের জন্যে আলাদা আলাদা এলাকা বা “সেন্টার” রয়েছে ।
এখোন ধরা যাক, আপনার তর্জনীকে (ইনডেক্স ফিঙার)নাড়াতে পারছেন না । কি হয়েছে ? আপনার তর্জনীকে নাড়াতে যে সেন্টারটি দায়ী তাদের লোকজন (নিউরোনগুলি) হরতাল ডেকে বসেছে । অথবা এখানে লোড-শেডিং হয়েছে যাতে কাজকর্ম সাময়িক ভাবে বন্ধ রয়েছে । আর যদি এখানকার নিউরোনগুলিকে ক্রস-ফায়ারে ফেলে দেন (অর্থাৎ নিউরোনগুলি মরে যায়) তবে ইহজন্মে আপনি আর তর্জনী তুলে কাউকে শাসাতে পারবেন না । খুব সহজ ভাবে এটুকু মনে রাখুন ।
ছবিতে দেখতে পারেন ।
হরতাল, লোড-শেডিং, ক্রস-ফায়ার ইত্যাদির পেছনে নিশ্চয়ই কিছু না কিছু কারন আছে, তাইনা ?এইগুলি হলো প্রচলিত নিয়মের ব্যতিক্রম ।
তাহলে আসুন, মগজের লক্ষ লক্ষ কাজের পেছনে প্রচলিত নিয়মটি কি কিম্বা কাজটি কি করে হচ্ছে জেনে নেয়া যাক –
আগেই জেনেছেন আপনার স্নায়ুতন্ত্রে Sensory fibre এবং Motor fibre নামের দুধরনের “তার” রয়েছে । এই তারগুলো আর কিছুই নয়, এক একটি নিউরোন বা স্নায়ুকোষ পরষ্পর জোড়া লেগে লেগে একটি তার/সুতো বা আঁশ (fibre)তৈরী করেছে । যেখানে একটি নিউরোন অপরটির সাথে সংযুক্ত হয়েছে সে স্থানটিকে বলা হয় “সিন্যাপস”(Synapse বা নার্ভ জাংশান)।
একটি স্নায়ুকোষের সংকেত রিসিভারকে আমরা বলি “ডেনড্রাইট” (Dendrite)। আর সেন্ডার যা পরবর্তী কোষে সংকেতটিকে প্রেরন করে থাকে তাকে আমরা বলি “এ্যাক্সন” (Axon)। এই Axon গুলিই পরস্পর মিলেমিশে তৈরী করেছে সংকেত আদান প্রদানের Communication Systemটির যাকে আমরা মস্তিষ্কের White Matter বলি । আপনি অনেক সময় কাউকে বলে থাকেন, “তোর মাথায় গোবর ভরা” । আসলে আপনি না জেনেই তার মগজে যে White Matter এর ঘাটতি আছে তাকেই বোঝান ।
প্রায় ৩০০ মিলিয়ন এ্যাক্সন মিলেমিশে কর্পাস ক্যালোসাম (Corpus callosum)নামের এই সাদা অঞ্চলটি গঠন করে মস্তিষ্কের ডান ও বাম অঞ্চল দুটোকে সংযুক্ত করেছে । গুচ্ছ গুচ্ছ White Matter মিলেমিশে আবার তৈরী করেছে Nerve Tracts এর । এই Tractsগুলি আপনার মস্তিষ্কের সকল অঞ্চলগুলির পরস্পরের মধ্যে সংবাদ আদান প্রদানের একটি জটিল নেটওয়ার্ক তৈরী করেছে যেমনটি আপনি দেখে থাকেন আমাদের প্রচলিত টেলিফোন সিস্টেমে । বিজ্ঞানীরা বলছেন এই নেটওয়ার্ক আপনার মস্তিষ্কে জন্ম থেকেই “ফিক্সড” নয় । আপনার প্রতিদিনকার নতুন নতুন অভিজ্ঞতার আলোকে আপনার আগে থেকেই থাকা নেটওয়ার্কে নতুন নতুন সংযোগ তৈরী হয়ে যাচ্ছে ।
এই সংকেত আদতে একটি জৈব-রাসায়নিক সংকেত অর্থাৎ বায়োকেমিক্যাল মেসেজ ।
বিভিন্ন Synapse এলাকাতেই যে বায়োকেমিক্যাল ক্রিয়াকান্ড ঘটে থাকে তা-ই আপনার জীবনের ছন্দ । এই বায়োকেমিক্যাল ক্রিয়াকান্ডের ফলাফলের নামই Life বা জীবন ।
কখোনও কখোনও এমোনটা হয়, আমরা জীবনের হিসাব মেলাতে বসি । অনেকেই দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে থাকেন “জীবনের খাতায় সব শূন্যই জমা হলো যোগ হয়নি কিছুই ” ।
আপনি যদি এরকমটা বলে থাকেন তবে আপনি Life বা জীবনের গূঢ় তত্ত্বটিই জেনে বা না বুঝেই বলে ফেলেছেন । কারন জীবনের সব বায়োকেমিক্যাল ক্রিয়াকান্ড আর কিছুই নয়, যোগ-বিয়োগের খেলা । সাদামাটা কথায় আমরা যাকে বলি “প্লাস” আর “মাইনাস” । কিন্তু একজন বায়োকেমিষ্ট এগুলোকে বলবেন, “পজেটিভ আয়ন” আর “নেগেটিভ আয়ন” । আপনি কেমেষ্ট্রির ছাত্র হলে বুঝেই ফেলেছেন এই “পজেটিভ আয়ন” আর “নেগেটিভ আয়ন” আর কিছুই নয়, আপনার দেহ গঠনের উপাদানগুলো যেমন সোডিয়াম, ক্যালশিয়াম, ক্লোরিন, বাই-কার্বোনেট, পটাশিয়াম ইত্যাদি আয়ন ।
আপনার দেহকোষ তথা এই নিউরোনগুলির ভেতরে বাইরে এদেরই আদান প্রদান চলে । যোগ বিয়োগের খেলা ।
আপনি একটি ব্যাটারীতে দেখবেন একপ্রান্তে “+” অন্যপ্রান্তে “-” এইরকম চিহ্ন দেয়া আছে । আপনি এটা জানেন যে, এই ব্যাটারীর যোগ বিয়োগের কারনেই ব্যাটারী থেকে বিদ্যুত উৎপন্ন হয় আর গাড়ী চলে । আপনার দৈনন্দিন জীবনটাও অর্থাৎ সমস্ত কর্মকান্ডই এই যোগ বিয়োগের কল্যানেই চলতে থাকে ।
এই প্রক্রিয়াটিই হলো মূল । জীববিজ্ঞানীরা বলেন “এ্যাকশান পটেনশিয়াল” ।
আপনার দেহের যে কোনও Synapse এলাকাতেই যে বায়োকেমিক্যাল ক্রিয়াকান্ড ঘটে থাকে তার শুরুটাই “এ্যাকশান পটেনশিয়াল” দিয়ে । এই এ্যাকশান পটেনশিয়াল শুরু হলেই আপনার Synapse (দুটি নিউরোনের সংযোগ) এর প্রথম নিউরোনটির ডগা (নার্ভ এন্ডিং) থেকে একধরনের রাসায়নিক রস (Chemical substance) নিঃসৃত হবে । যাকে আমরা বলি “নিউরোট্রান্সমিটার” (Neurotransmitter)।
প্রথম নিউরোনটির ডগা (নার্ভ এন্ডিং) থেকে যে নিউরোট্রান্সমিটারটি নিঃসৃত হবে সেটি Synapse গঠনকারী দ্বিতীয় নিউরোনে প্রবেশ করবে । এটি হলো একটি অনুভুতির বা Impulse এর যাত্রা শুরুর পদ্বতি যা একইভাবে তৃতীয় সেখান থেকে চতুর্থ এইভাবে একটি নার্ভ ফাইবারের পরবর্তী সবগুলি নিউরোন বেয়ে আপনার মস্তিষ্কের যেখানে যেখানে যাবার সেখানে হাজির হবে । আর আপনি একটি অনুভুতি পেয়ে যাবেন । আপনার শরীরে এই রকম অনেক নিউরোট্রান্সমিটার রয়েছে যাদের কাজ আবার ভিন্ন ভিন্ন । এক এক ধরনের নিউরোট্রান্সমিটার আপনাকে এক এক ধরনের অনুভুতি বা Information দেবে আর তার বিপরীতে আপনার দেহযন্ত্র এক এক নির্দিষ্ট ধরনের সাড়া দেবে ।
মনে করা যাক, আপনি একটি বিছুটি পাতা ছুঁয়ে ফেলেছেন । আপনার স্পর্শ এলাকার নার্ভ এন্ডিং থেকে “হিস্টামিন” নামের একটি নিউরোট্রান্সমিটার নিঃসৃত বা Release হবে । এই নিঃসৃত নিউরোট্রান্সমিটারটি পরবর্তী নিউরোনের রেসেপ্টরের সাথে সংযুক্ত হবে । অর্থাৎ সংকেতটি বা Information টি গ্রহন করা হলো এবং তা এভাবেই আপনার মস্তিষ্কে পৌছে যাবে আর এই“হিস্টামিন” নিঃসরনের ফলে আপনি চুলকানীর অনুভুতি পাবেন । তখন আপনার বিছুটি পাতা ছোঁয়ার স্থানে আপনি চুলকোতে থাকবেন ।
আপনার শরীরে যদি হিষ্টামিনের ঘাটতি হয় তবে আপনার চুলকানী খুব কম হবে বা একবারেই হবেনা । এন্টি-হিস্টামিন জাতীয় ঔষধ খেয়ে আপনি এই কাজটিই করে থাকেন । আবার ধরুন, আপনার আঙুল আপনার প্রেমিক বা প্রেমিকাকে স্পর্শ করেছে । এবারে কিন্তু হিস্টামিন নয়, আপনার নার্ভ এন্ডিং থেকে বেরুবে “এ্যাড্রেনালিন”। আপনার শরীরে এই স্পর্শের কারনে যা যা ঘটবে তা এই “এ্যাড্রেনালিন” এর কাজ ।
আপনার হার্ট রেট বেড়ে যাবে, শরীরে উষ্ণতা ছড়াতে থাকবে ইত্যাদি ইত্যাদি ।
আর এভাবেই আপনার শরীর বিভিন্ন নিউরোট্রান্সমিটারের কারনে বিভিন্ন অনুভুতি লাভ করবে আর সাড়া দেবে । অর্থাৎ আপনার রাগ-অনুরাগ, মায়া-মমতা, ঘৃনা-ভালোবাসা, উদ্বেগ-উৎকন্ঠা ইত্যাদি কেবল এই নিউরোট্রান্সমিটারগুলির খেলা । অর্থাৎ নিউরোট্রান্সমিটারগুলিকে যদি আপনি স্নায়ুর শব্দ (Neural Words)হিসেবে ধরেন তবে নিউরোনগুলি বিভিন্ন ভাষাতে কথা বলে ।
বেঁচে থেকে ঠিকঠাক কাজ করতে হলে আপনার মস্তিষ্ককে অবশ্যই এই রকম জটিল একটি মিডিয়া-নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে হবে যাতে করে যে কোনও অনুভুতি যেমন তাপ, চাপ, স্পর্শ, ব্যথা ইত্যাদির জন্যে আপনি সঠিক রেসপন্স করতে পারেন ।
এই নেটওয়ার্কের তারগুলি স্পাইনাল কর্ড থেকে ব্রেইন এবং ব্রেইন থেকে স্পাইনাল কর্ডের মধ্যে সংযোগ দিয়ে থাকে । আর মস্তিষ্কে এভাবেই Information এর পাহাড় জমা হতে থাকে । মজার ব্যাপার হলো, আপনার মস্তিষ্ক এইসব ইনফর্মেশানের অধিকাংশরই কোনও জবাব দেবার বা রেসপন্স করার প্রয়োজন বোধ করেনা । যেমন, আপনি একটি জুতো পায়ে দিয়েছেন যা আপনাকে আরাম দিচ্ছে – এইরকম একটি Sensory Input এর জন্যে আপনার মগজটি মাথা ঘামাবেনা । এটাকে ইগনোর করবে ।
কিন্তু যদি দেখা যায় জুতোর একটি ফুটো দিয়ে আপনার পায়ের বুড়ো আঙ্গুলটি বেরিয়ে গেছে অথবা একটি পেরেক জুতোর নীচে ঢুকে আপনাকে ব্যথা দিচ্ছে তখন কিন্তু আপনার মগজটি মাথা ঘামাতে শুরু করবে । এই Sensory Input এর জন্যে আপনার মগজটি Motor Output অর্থাৎ কার্যকরী নির্দেশ প্রদান করবে যথাযথ অঙ্গপ্রতঙ্গকে । প্রান্তীয় এলাকা পর্য্যন্ত বিস্তৃত এই যে স্পাইনাল কর্ড এর মধ্যে দিয়ে Sensory আর Motor Fibre এর নেটওয়ার্ক তাকে আমরা বলি Spinal Nerves । আপনার শরীরে এইরকম ৩১ জোড়া Spinal Nerves আছে । এরাই হলো আপনার শরীর-রাষ্ট্রযন্ত্রের স্থানীয় সরকার বা Local Government বা প্রান্তিক স্নায়ুতন্ত্র ।
এরা তো আপনার মগজে তথ্য (Information) পাঠিয়েই ক্ষান্ত । সংবাদ মিডিয়ার মতো কাজ করছে এরা । কিন্তু Intelligence Report পাঠানো তো তাদের কাজ নয় । তাই মানুষের তৈরী সরকার যেমন গুরুত্বপূর্ণ সংবাদের জন্যে তার নিজস্ব গোয়েন্দা সংস্থা, পুলিশ বা অন্যান্য সংস্থার কাছে একটি ঘটনার পেছনের Intelligence Information চেয়ে থাকে তেমনি আপনার মগজেরও রয়েছে Intelligence Services যারা আপনার মগজকে তথ্যসমূহের ভেতরকার গুরুত্বপূর্ণ রিপোর্ট পাঠিয়ে থাকে । এরা হলো “ক্রানিয়াল নার্ভস” (Cranial Nerves)যারা আপনার কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের অধীন ।
আপনার রয়েছে এরকম ১২ জোড়া Cranial Nerves যাদের কাজ হলো বিশেষ সংবাদ প্রদান । যেমন, Optic Nerve টি আপনার দৃষ্টিকে ধারন করবে; Olfectory Nerve কোনও কিছুর গন্ধকে ধারন করবে আবার Cochlear Nerve আপনার শ্রুত শব্দাবলীকে ধরে রাখবে । এদের পাঠানো তথ্যের বিচার বিশ্লেষনের উপর ভিত্তি করেই আপনার শরীর পরবর্তী পদক্ষেপটি নেবে ।
মনে করা যাক, একটি খাদ্যবস্তু হাতে নিলেন, আপনার চোখ বললো এটি তেতুল । এই তথ্যটি চলে গেল আপনার লালা গ্রন্থিতে ।
অমনি আপনার মুখে লালা ঝড়তে লাগলো । গন্ধ নিয়ে দেখলেন গন্ধটা কেমন কেমন । এই তথ্যটিও চলে গেল আপনার মগজ হয়ে লালা গ্রন্থিতে । আপনার লালা ঝড়া বন্ধ হয়েও যেতে পারে । এই সময় আপনার বন্ধুটি বললো , এটা মুখে দিস না- কারন মাছি পড়েছে এতে ।
আপনি তা শুনলেন । এখন কি করবেন ? আপনি এখোন যা করবেন তা কিন্তু করবেন প্রাপ্ত সব তথ্যের বিচার বিশ্লেষন করেই । অর্থাৎ আপনার কেন্দ্রীয় এবং প্রান্তিক স্নায়ূতন্ত্র এখানে এক যোগে কাজ করে যে সিদ্ধান্তে আসবে আপনার এ্যাকশানটি হবে তা-ই ।
ব্যক্তি আপনি এখানে আপনার স্নায়ুতন্ত্রের ক্রীড়ানক । আপনার স্নায়ুতন্ত্র ব্যক্তি-আপনাকে দিয়ে শুধু কাজগুলো করিয়ে নেবে ।
(চলবে । তিন খন্ডে সমাপ্ত *** তৃতীয় এবং শেষ খন্ড কালকেই পাবেন)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।