যা লিখি তাই অখাদ্য হয়। তবুও চেষ্টায় আছি....
যুগান্তর খবরে প্রকাশ,খালেদা জিয়া শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং শেখ হাসিনার মুক্তির দাবি করেছেন। এ যেন ভুতের মুখে রাম নাম!হায় রে রাজনীতি!ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় তিনি শেখ হাসিনাকে দুই চোখে দেখতে পর্যন্ত পারতেন না। এক জন আরেকজনকে দোষারোপ করতেন। কারো মধ্যে কোনোরুপ সহনশীলতা ছিলো না।
যেনো বিরোধীতার জন্যই বিরোধীতা করা । আর এখন যখন দুজনেরই পায়ের তলার মাটি নড়বরে। তখন একজনের দুঃখে আরেক জনের পরান কান্দে। আবার দুজন মিলে জাতীয় ঐক্যগড়ার কথা বলছে। বাহ!বাহ!বাহ! এরই নাম রাজনীতি।
দেশের মানুষ যদি নিতান্ত মুর্খ আর অন্ধ না হয়ে থাকে তো আবার খালেদা,হাসিনাকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সুযোগ করে দিবে। যদি জনগন ভুলে গিয়ে না থাকে যে এই দুজনের ব্যক্তিগত,দলগত সংঘাত আর অসহনশীল মনোভাবের কারনে দেশের কি অবর্ননীয় ক্ষতি হয়েছে। দুর্নীতির কথা বাদই দিলাম,এদের শাষন আমলে শুধু মাত্র হরতালের কারনে দেশের কত শত হাজার কোটি টাকা লোকসান হয়েছে?এর হিসাব কি হাসিনা খালেদা দিতে পারবে?আজকে দেশের এই অবস্থার জন্য দায়ী কারা?কেনো জনগন আজ এমন কষ্ট করবে?জনগনের অপরাধ,জনগন তাদের ভাগ্য বিধাতা হিসেবে যাদের হাতে ক্ষমতার লৌহদন্ড দিয়েছিলো তারা ক্ষমতায় গিয়ে নির্লজ্জভাবে ক্ষমতার অপব্যহার করেছে। নিজেদের ব্যক্তিগত স্বার্থের কারনে তারা জনগনের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে। তারা ভুলে গিয়েছিলো যে জনগনই সকল ক্ষমতার উৎস।
আমরা কি জাতি হিসেবে অলস ছিলাম?আমরা কি কর্মবিমুখ?তাহলে কেনো আমাদের দেশে কাজের এতো অভাব?বর্তমান বিশ্বে কি জনসংখা আসলই কোনো সমস্যা,যেখানে আমরা কৃষি নির্ভর দেশছিলাম,আমাদের বিপুল খনিজ সম্পদ ছিলো,গ্যাস ছিলো?আমরা কি আরো অনেক বেশি কলকারখানা স্থাপন করতে পারতাম না?আমাদের জনগনকে কেরানী হওয়ার শিক্ষায় শিক্ষিত না করে উপযুক্ত কর্মমুখি শিক্ষায় শিক্ষিত করে বেকারের হাতকে কর্মীর হাতে রুপান্তর করতে পারতাম না?পারতাম না আইটি সেক্টরটাকে আকরে ধরে বেশকিছু লোকের কর্মসংস্থান করতে,যেমন ভারত করে যাচ্ছে?এর সবই সম্ভব হতো,যদি আমরা আমাদের মনোভাবটাকে একটু সহনশীল করতে পারতাম। যদি আমরা বিরোধীদলে থাকা অবস্থায় সংসদ বর্জন করে রাজপথ আর হরতালের রাজনীনি না করতাম। পারতাম যদি আমরা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় দুর্নীতি,আর অপশাষনকে বেছে না নিতাম। যদি বিরোধীদলকে শত্রু না ভেবে তাদেরকে সাথে নিয়ে জনগনের সেবা করার লক্ষ্যে এগিয়ে যেতাম। তাহলে আমাদের দেশ হতো সোনার দেশ।
আজকে খালেদা আর হাসিনার এই যে সহনশীল মনোভাব এটা দেখে তাহলে আর এতো হাসি লাগতো না।
জনগন এখন এসবের মানে বোঝে । বোঝে যে ফান্দে পড়িয়া বগা যেমন কান্দে ঠিক তেমনি খালেদা আর হাসিনা এখন ফান্দে পড়িয়া একযোগ হওয়ার কথা বলছে। যখন ফাদ থেকে বেড়িয়ে আসতে পারবে তখন আবার যেই লাউ সেই কদু ই হবে। আবার শুরু হবে দুইজনের সীমাহীন বিরোধীতা।
তাই জনগন সাবধান!
এখন সময় এসেছে বাঙ্গালী জাতির ভাগ্যকে পুনরায় ঠিক করে নেওয়ার। অতীত অভিগ্জ্যতাকে কাজে লাগিয়ে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার। চাই না কারো ব্যক্তিগত দন্দে যেনো বাঙ্গালী জাতি আবার পিছিয়ে পড়ুক। নতুন করে বাচতে শিখুক বাঙ্গালী,বিশ্বের দরবারে আবার মাথা উচু করে দাড়াক। পত পত করে উড়ুক আমাদের লাল সবুজ পতাকা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।