রাজ্যের সারান এলাকার ধর্মসতী গান্দামানে শ’ শ’ গ্রামবাসী ও অভিভাবক বিক্ষোভ করেছে। তারা পুলিশের চারটি গাড়িতে আগুন দেয়।
স্থানীয় জনতা লাঠিসোঠা নিয়ে রাস্তায় নেমে এসে অবরোধ সৃষ্টি করে এবং রেলওয়ে স্টেশনের ফটকগুলো বন্ধ করে দেয়।
এছাড়া, ধর্মসতী গান্দামান ও ছাপরায় বিক্ষুব্ধ জনতা বাস ও ব্যক্তি মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানেও আগুন দিয়েছে।
রাজনৈতিক দলগুলোও ওই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ-ধর্মঘট ডেকেছে।
এনডিটিভি জানায়, প্রাদেশিক রাজধানী পাটনা থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে ছাপরার কাছে একটি স্কুলে খাদ্যে বিষক্রিয়ায় শিশু মুত্যুর ঘটনা ঘটে।
ছাপরা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অভিজিৎ সিনহা বলেন, “প্রায় ৫০ শিশু দুপুরের খাবার খেয়ে বাসায় গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর তাদের স্কুলে নিয়ে আসা হলে দুই শিশু মারা যায়। এ সময় তারা আমাদের কাছে আসে এবং আরো সাত শিশু মারা যায়। ওই মুহূর্তে আমরা দ্রুত শিশুদের চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করি।
”
ওই খাবার মারাত্মক বিষাক্ত ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।
“চিকিৎসকরা খাদ্যে বিদেশি রাসায়নিকের উপস্থিতি আবিষ্কার করেন। কয়েকটি শিশুর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। চিকিৎসকরা শিশুদের বাঁচানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন। কিন্তু খাদ্যে বিষের মাত্রা এতটাই তীব্র ছিল যে তাদের সবাইকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
”
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শত শত মানুষ স্থানীয় পুলিশ স্টেশন ঘেরাও করে স্কুলটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানায়।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিতিশ কুমার এ ঘটনায় দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি মারা যাওয়া শিশুদের প্রত্যেক পরিবারকে ২ লাখ রূপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
বিহারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব বলেন, “বিহারের সর্বত্র এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। এর পেছনে যারা রয়েছে আমি তাদের খুঁজে বের করব।
”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।