নবীগঞ্জে লন্ডনী কন্যার বিয়ে নিয়ে বিরোধের জের হিসেবে সুমন মিয়া (২৬) নামের এক যুবককে হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। শনিবার সন্ধায় শহরের হাজারী কমিউনিটি সেন্টারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে সিলেট মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। দু’দিন পর সোমবার রাতে তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে উপজেলার সর্বত্র আলোচনার ঝড় উঠেছে।
পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, উপজেলার কুর্শী ইউপির রাইয়াপুর গ্রামের আদালত লন্ডনী নামের জনৈক ব্যক্তি পৌর এলাকার সালামতপুর গ্রামের হাজারী প্লাটের একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। পিতার সঙ্গে বসবাস করতেন স্বামী পরিত্যক্তা কন্যা দু’সন্তানের জননী রোকশানা বেগম। লন্ডনী ওই গৃহবধূর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী কাদমা গ্রামের শফিক মিয়ার প্রায় ১০ বছরের দাম্পত্য জীবনের বিচ্ছেদ ঘটে। বিচ্ছেদের পর এক বছর ধরে দেশে অবস্থান করছিলেন রোকশানা বেগম। এ সময় তাকে বিয়ের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে খালাতো ভাই শাহজাহান এবং উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক রাব্বী আহমদ চৌধুরী মাক্কু নামের দু’যুবক।
এতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় কুর্শী ইউপির এনাতাবাদ গ্রামের নিকটতম আত্মীয় ট্রাকচালক সুমন। মাক্কুর বিরুদ্ধে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বিরক্ত করা এবং হুমকি-ধামকি দেয়ার অভিযোগ করেন লন্ডনী কন্যা রোকশানার মা সৈয়দা আমেনা বেগম। এ ব্যাপারে প্রশাসনকে অবগত করার পরও কোন প্রতিকার না পাওয়ার অভিযোগ করেন তিনি। অভিযুক্তদের কবল থেকে বাঁচার জন্য সমপ্রতি ওই যুবতীকে হবিগঞ্জ শহরের এক যুবকের কাছে বিয়ে দেয়ার গুজব উঠে। এর জন্য ট্রাকচালক সুমনকে দায়ী করে উল্লিখিত দু’যুবকের নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।
দু’দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর সোমবার রাতে সুমন মারা যায়। গতকাল বিকালে স্থানীয় বাংলাবাজারে জানাজা শেষে নিহত সুমনের লাশ দাফন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে খবর পাওয়া গেছে। আলোচিত ওই ঘটনা নিয়ে উপজেলার সর্বত্র তোলপাড় চলছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।