আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ব্রেইল শিখছেন রুমানা মনজুর (খবরের কপি)

অনুভুতিহীন জীবনের অপেক্ষায়... http://www.raatmojur.com/ হাসান সাইদের আক্রমণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রুমানা মনজুর অন্ধ হয়ে গেছেন। কিন্তু তাঁর ভেতরের আলোটুকু কেউ কি কেড়ে নিতে পারবে কখনো? আলোর সন্ধানে যাঁর সারা জীবন কেটেছে, তিনি অন্ধকারে থাকতে পারেন না। তাই ব্রেইল শিখছেন। গতকাল শনিবার প্রথম আলোকে কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে অবস্থানরত রুমানা মনজুর বলেন, ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় এমএস ও পিএইচডি ডিগ্রিটা শেষ করা তাঁর কাছে এখন গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে পড়ালেখা শেষ করার জন্য বেশ কিছু বিকল্প পদ্ধতির কথা জানিয়েছে।

সেই সঙ্গে পুরোপুরি সুস্থ হওয়া পর্যন্ত সময়ও দিয়েছে। তিনি মাঝেমধ্যে বিশ্ব-বিদ্যালয়ে যাচ্ছেন। রুমানা জানান, তাঁর চোখ দুটোয় আলো নেই, ব্যথা আছে প্রচণ্ড। নাকে অস্ত্রোপচার হয়েছে। মুখে আঘাতের চিহ্ন, যন্ত্রণা দুই-ই আছে।

এই ব্যথা থেকে কবে মুক্তি মিলবে, তা পরিষ্কারভাবে বলছে না কেউই। ভ্যাঙ্কুভারে রুমানার দিন কাটছে কীভাবে? জানা গেল, তিনি এখন অন্যের সাহায্য ছাড়া দৈনন্দিন কাজকর্মগুলো করার প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। তাঁকে সাহায্য করছে কানাডায় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের সংগঠন। কম্পিউটারে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের উপযোগী কিছু প্রোগ্রামের সঙ্গেও পরিচিত হয়ে উঠছেন রুমানা। ৯ সেপ্টেম্বর স্থানীয় শিল্পীরা রুমানার জন্য কনসার্টের আয়োজন করেছেন।

দেশে-বিদেশে রুমানার প্রতি মানুষের এত সমর্থন আর ভালোবাসার পরও তিনি সংশয়ে। গতকালও তিনি বলেছেন, ‘দেখবেন, অপরাধীর যেন বিচার হয়। আমি যখন দেশে ছিলাম, তখন সবাই আমার পাশে ছিল। আপনারা, প্লিজ, আমার পাশে থাকবেন। ’ রুমানার পরিবার সূত্র জানায়, সেদিনের পুরো ঘটনাটি ঘটেছিল শিশু আনুশের সামনে।

সে ওই দিনের ঘটনা সম্পর্কে এখনো মুখ খোলেনি। বাবার নাম শুনলে সে ভীষণভাবে খেপে ওঠে। মনোরোগ চিকিৎসকদের আশঙ্কা, শিশু আনুশের মনে এ ঘটনা মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। জানা গেছে, রুমানার সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তিত জীবনে খাপ খাইয়ে নিচ্ছেন রুমানার বাবা মনজুর হোসেন ও মা রাহিমা মনজুর। শিশু আনুশেও ঢাকার সাউথ ব্রিজ স্কুল ছেড়ে এ মাসেই ভ্যাঙ্কুভারের একটা স্কুলে যাবে।

ঢাকার ধানমন্ডির চিরচেনা পরিবেশ থেকে একেবারে অচেনা পরিবেশে নতুন করে পথ চলতে শুরু করেছেন বার্ধক্যে পৌঁছানো এই দম্পতি। রুমানার এক স্বজন প্রথম আলোকে বলেন, ‘মাঝেমধ্যেই রুমানা ভীষণ বিমর্ষ হয়ে যায়। ও যে আর কখনো দেখতে পাবে না, সে কথাটা মানতে চায় না। তার ভেতরের স্বপ্নটাকে জাগিয়ে তোলার জন্য আমরা চেষ্টা করছি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে এসেছে আর কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার যে সমর্থন, তা ভোলার নয়। ’ বাংলাদেশ ও ভারতের চিকিৎসকেরা রুমানা মনজুর দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন নিশ্চিত করার পরও ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়া তাঁর চিকিৎসার উদ্যোগ নেয়।

৫ জুলাই কানাডায় চলে যান তিনি। চোখে মোট চারটি অস্ত্রোপচারের পর ভ্যাঙ্কুভার জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকেরাও জানান, রুমানা আর দেখবেন না। প্রথম আলো ০৪-০৯-২০১১ হাসান সাইদের খবর কি? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।