তোমাকে ভাবাবোই ক. দুই ভাইয়ের সম্পত্তির ভাগাভাগির নিয়ম কি? সমান সমান? নইলে তো সংঘাত অনির্বায হয়ে ওঠার কথা।
খ. আন্তর্জাতিক আইন লংঘনের শাস্তি কোথায় দেয়? অপরাধের শাস্তি গরিবদেরকেই কি নিতে হবে? চাপিয়ে দেবে আর আমরা সয়ে যাব?
গ. এ দেশটা কি আমাদের দেশ? আমরা কি এ দেশটাকে ভালবাসি?
ঘ. আমাদের সন্তানদের কি আমরা ঠকাচ্ছি? আমরা কি এ দেশে তাদের বসবাসের কোন সুযোগ রাখব না?
ঙ. বন্ধু আর শাসকের মধ্যে ফারাক কি? মনোমহন কি আমাদের শাসক? ভারত কি আমাদের বন্ধু?
চ. দাদারা আর কত দাদাগিরি করবে! ছড়ি ঘোরাবে?
আরও কত প্রশ্ন করবো। আমরা যা বুঝি, তা কি আমাদের সরকার বোঝে না? নাকি লজ্জাহীনভাবে দায় সারছে?
'তিস্তা চুক্তিতে ২৫ শতাংশ পানি পাবে বাংলাদেশ'
--------------------------------------------------
মনমোহন সিংয়ের সফরে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি হলে বাংলাদেশ ২৫ শতাংশ এবং ভারত ৭৫ শতাংশ পানি পাবে বলে জানিয়েছেন ভারতের লোকসভার সদস্য আবু হাসেম খান চৌধুরী। পশ্চিমবঙ্গের মালদহের এই কংগ্রেস নেতা বৃহস্পতিবার বিবিসিকে বলেন, "আজ (বৃহস্পতিবার) আমাদের বৈঠক হয়েছে।
১. জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশঙ্কর মেনন আমাকে বলেছেন, (তিস্তায়) যে পরিমাণ পানি থাকবে, তার ৭৫ শতাংশ ভারত নেবে এবং ২৫ শতাংশ বাংলাদেশ পাবে।
"
২. অবশ্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ও শিব শংকর মেননের বৈঠকের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকার অনলাইন অনলাইন সংস্করণে জানিয়েছিল, খসড়া চুক্তি অনুযায়ী শিলিগুড়ি থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে ভারতের গজলডোবা পয়েন্টে তিস্তায় প্রবাহিত পানির পরিমাণ হিসাব করে দু'দেশের মধ্যে পানিবণ্টন হবে। ৪৬০ কিউসেক হারে পানির সঞ্চয় রেখে বাকি পানির ৫২ শতাংশ নেবে ভারত, ৪৮ শতাংশ পাবে বাংলাদেশ।
৩. আনন্দবাজার লিখেছে, চুক্তির কিছু কিছু বিষয় নিয়ে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উদ্বেগ ছিল, তিনি চাইছিলেন চুক্তির ফলে পশ্চিমবঙ্গের স্বার্থ যেন কোনোভাবেই বিঘিœত না হয়। তবে শিব শংকর মেননের সঙ্গে বুধবারের বৈঠকে তিনি খসড়া চুক্তিতে সম্মতি দিয়েছেন।
৪. আবু হাসেম খান চৌধুরী বিবিসিকে বলেন, গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তিতে কোন মৌসুমে বাংলাদেশ কতোটুকু পানি পাবে তা নির্দিষ্ট করে দেওয়া ছিল।
তবে তিস্তা চুক্তির খসড়ায় বলা হয়েছে, নদীতে যখন যে পরিমাণ পানি থাকবে তা ৭৫ শতাংশ ও ২৫ শতাংশ অনুপাতে ভাগ হবে।
৫.অবশ্য আনন্দবাজার লিখেছে, আপাতত ৫২ ও ৪৮ শতাংশ বণ্টনের ভিত্তিতেই ১৫ বছর মেয়াদি একটি অন্তর্র্বতীকালীন চুক্তির কথা বলা হয়েছে খসড়ায়। পরবর্তী সময়ে পানির প্রবহ পর্যবেক্ষণ করে একটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি হবে।
৬. ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ৬ সেপ্টেম্বরের সফরের প্রস্তুতি চূড়ান্ত করতে স¤প্রতি ঢাকা সফর করে গেছেন উপদেষ্টা শিব শংকর মেনন। মনমোহনের সঙ্গে মমতারও বাংলাদেশ আসার কথা।
আগামী ৩ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় পানিসম্পদমন্ত্রী পবন বনশল ঢাকা আসবেন- এ কথা উল্লেখ করে আনন্দবাজার বলেছে, এখানে দু'দেশের যৌথ নদী কমিশনের বৈঠকে এই চুক্তিকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে। "৬ সেপ্টেম্বর মমতাকে সঙ্গে নিয়ে মনমোহন ঢাকায় চূড়ান্ত চুক্তি ঘোষণা করবেন। "
৭. ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত নদীর সংখ্যা ৫৪। এই সব নদীর পানিবণ্টন নিয়ে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা চালাচ্ছে দু'দেশের নদী কমিশন। গত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ১৯৯৬ সালে গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি হয় ভারতের সঙ্গে।
মেনন-মমতা বৈঠকে ফেনি নদীর পানিবণ্টন নিয়েও ঐকমত্য হয়েছে জানিয়ে আনন্দবাজার লিখেছে, এখন থেকে দু'দেশই এই নদী থেকে ৬০ কিউসেক হারে পানি তুলবে। ভারত অবশ্য প্রথমে ৭০ কিউসেক হারে পানির দাবি জানিয়েছিল। তাতে বাংলাদেশ আপত্তি করে।
৮. উত্তর সিকিমের সো লামো হ্র্রদ থেকে শুরু হয়ে পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি হয়ে তিস্তা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ১২৪ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে তিস্তা মিশেছে ব্রহ্মপুত্রে।
(বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম থেকে) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।