দিল ঠান্ডা তো দুনিয়া ঠান্ডা। চার্লি সেন্ট ক্লাউড একজন শখের ইয়ট রেসার, এলাকায় সে চ্যাম্পিয়ন। তার জন্য সামনে অপেক্ষা করে আছে স্টামর্ফোড বিশ্ববিদ্যালয়, অপেক্ষা করে আছে সেইলরিং এর স্কলারশিপ।
স্যাম সেন্ট ক্লাউড, তার ছোট ভাই, তার ইয়ট রেসিং এডভেনচারগুলোর সঙ্গী। তার শখ আবার বেজবল।
এলাকা ভিত্তিক চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিতে চায় সে। দুজনে মিলে প্রাকটিস করে, স্যামকে তার লক্ষে পৌছুতে হবে। একদিন রাতে লুকিয়ে বেজবল গেম দেখতে যাবার সময় ঘটে দুর্ঘটনা। রোড একসিডেন্ট এ গুরুতর আহত হয় সে এবং তার ছোট ভাই স্যাম। অনেক চেষ্টা করে তাকে বাচাতে পারলেও ছোট ভাইকে বাচাতে পারেনি মেডিকরা।
শোকে কাতর চার্লি একটা সময় আবিস্কার করে, তার ভাইটি এখনও ছেড়ে যায়নি তাকে। স্যামকে কবর দিতে গিয়ে সে দেখতে পায় দুরে দাড়িয়ে তার দিকে হাসছে ছোট ভাইটি। এরপর থেকে শুরু হয় তাদের এক সাথে সময় কাটানো। দুজনে মিলে ঠিক করে, তারা আলাদা হবে না, রোজ সুর্যাস্তের সময়ে প্রত্যেকদিন দুজনে দখো করব, বেজবল প্রাকটিস করবে কবরস্থানের ধারে, ঠিক আগের মত। এভাবে কেটে যায় পাচটি বছর।
এর মাঝ একদিনও বিরতি না দিয়ে তারা এক অপরকে সময় দিতে থাকে, প্রত্যেকদিন, কবরস্থানের ধারে জঙ্গলটিতে, দুজনে মিলে করে যায় এক অন্তহীন বেজবল প্রাকটিস।
নিয়মিত ভাবে চলা এই প্রতিদিনের অভ্যাস চলতে পারতো আরও পাচ কিংবা দশটি বছর হয়তবা সারা জীবন। কিন্তু তাদের মাঝে আসে টেস, এক সমবয়সী মেয়ে ইয়ট রেসার, যে কিনা খুব শিঘ্রই অংশ নিতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক ওয়ার্ল্ড ইয়ট রেসে। গল্পের ধারা পরিবর্তন হয়ে যায় এবং এগিয়ে চলে এক নতুন দিকে।
সব মিলিয়ে বেশ চমৎকার লেগেছে মুভিটি।
যারা খুব বেশি মারপ্যাচ এর মুভি পছন্দ করেন না, তাদের জন্য একটি ভাল চয়েজ হতে পারে এই মুভিটি। কারন লাইফ এর বেশ কিছু চমৎকার দিক উঠে এলেও কাহিনীকে সাধারন আর সরল রাখার চেষ্টা করেছেন পরিচালক। আমার মতে সফলও হয়েছেন।
ডাউনলোড লিংক
লিংক ১
লিংক ২
লিংক ৩
আমি একটা ব্লগ টাইপ সাইট ডেভলপ করছি। পাবলিক ব্লগ না, ব্যক্তিগত ব্লগ।
সেখানে নিয়মিত মুভি রিভিউ, ই রিভিউ, পিসি গেম রিভিউ সহ টুকটাক লেখারিখি পাবলিশ করি আমি। একবার দেখবেন নাকি?
আমার সাইটটার একটা ফেবু পেজও আছে। সাইটটি ভাল লাগলে, এবং প্রতিদিন নিয়মিত পোস্ট আপডেট পেতে আগ্রহ বোধ করলে একটা লাইক দিন প্লিজ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।