পলাতক চৌধুরী মুঈনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপক্ষের দ্বিতীয় সাক্ষী ও শহীদ অধ্যাপক মুনীর চৌধুরীর ছোট ছেলে আসিফ মুনীরের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। গত মঙ্গলবার তিনি জবানবন্দি দেওয়া শুরু করেন। বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ আসিফ মুনীরের জবানবন্দি নেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি সাহিদুর রহমান।
জবানবন্দিতে আসিফ মুনীর বলেন, মুঈনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামান তাঁর বাবাসহ অন্য বুদ্ধিজীবীদের অপহরণ, গুম ও হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
জবানবন্দিতে আসিফ মুনীর বলেন, একাত্তরের ২৫ মার্চের হত্যাযজ্ঞের পর তাঁরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুলার রোডের আবাসিক এলাকার কোয়ার্টার ছেড়ে সেন্ট্রাল রোডের দাদাবাড়িতে আশ্রয় নেন।
ওই বাড়িতে থাকা অবস্থায় ১৪ ডিসেম্বর বেলা ১টার দিকে তিন-চারজন তরুণ তাঁর বাবাকে ধরে নিয়ে যায়। এ দৃশ্য তাঁর মা, রসু চাচা, মেজ ভাই মিশুক মুনীর দেখেছেন। ১৯৭২ সালে তাঁর মা ও অন্য বুদ্ধিজীবীর স্ত্রীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে দেখা করে স্বামী হত্যার বিচার চান। ওই সময় ‘পূর্বদেশ’ পত্রিকায় প্রকাশিত সচিত্র প্রতিবেদন দেখে নিশ্চিত হন, আলবদর বাহিনীর ‘অপারেশন ইনচার্জ’ মুঈনুদ্দীন আর ‘চিফ এক্সিকিউটর’ আশরাফুজ্জামান তাঁর বাবাসহ অন্য বুদ্ধিজীবীদের অপহরণ, গুম ও হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। পরবর্তী সময় বিভিন্ন পত্রপত্রিকার প্রতিবেদন থেকে তাঁরা জানতে পারেন, জল্লাদের ডায়েরি থেকে বুদ্ধিজীবীদের একটি তালিকা বের হয়।
সেখানে অন্য বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে তাঁর বাবার নাম ছিল। জবানবন্দি শেষে আসিফ মুনীরকে জেরা করেন আসামিপক্ষের রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আবদুস শুকুর খান ও সালমা হাই।
জেরা শেষে এ মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী রোববার দিন ধার্য করা হয়েছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।