কোনপ্রকার ভুমিকা ছাড়াই তিনখান গপ্প শুনাই আপনাগো,সাথে একখানা কৌতুক ফ্রী!! এই রমজানে সবখানেই ফ্রী দিতাছে আমি কেন দিমুন না।
১।
আমার অফিসের বস আমারই বড় ভাই,তো উনি একদিন আমাকে বল্লেন অফিসের লোকেশনটা বদলানো দরকার কিছু নতুন লোকেশন দেখে আয়। উনার কথামত ভিবিন্ল এলাকায় ঘুরাঘুরি করে অনেকগুলো TO-LET খুজে বেড় করে লোকেশন দেখে আসলাম। যেখানে অফিস স্পেসের মালিক পাওয়া গেল সেখানে সরাসরি আলাপ আলোচনা করে আসলাম,আর যাদের পাইলাম না তাগো ফোন নম্বর নিয়া আসলাম।
এরপর অফিস ছুটির পর ঘরে গিয়া খাতা কলম নিয়া বসলাম। একে একে নম্বর গুলোতে কল করে বিস্তারিত নিচ্ছি। প্রথমজন কে কল দিয়া বল্লাম
-হ্যালো ভাই TO-LET দেখে ফোন করছি, তা কত ভাড়া চাইতেছেন,কয়টা রুম,কিচেন আছে কিনা ইত্যাদি ইত্যাদি।
সেই লোক বলতেছে আর আমি লিখতাছি।
তিনটা রুম,একটা কিচেন,এতটাকা ভাড়া আর দুইখানা টয়লেট আছ।
সব শেষে যখন টয়লেট এর কথা লিখছি তখন আমার মাথায় টয়লেট শব্দটা ঢুইকা গেছে। এরপরের জনকে কল দিয়েই বল্লাম
-হ্যালো ভাই টয়লেট দেখে ফোন করছি.....সরি সরি টুলেট দেখে ফোন করছি।
অপরপ্রান্ত থেকে সেইলোকটাও হাসতে শুরু করছে,আর এদিকে আমি লজ্জায় লাল টুকটুকে হয়ে গেছিলাম:">
২।
দুনিয়ায় অভাব জিনিসটা সবখানেই আছে, তয় ফকিরাপুল মোরের কাছে যদি কেউ আসেন তাইলে বুঝবেন এইখানে পাগল আর ফকিরের কোন অভাব নাই। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে আমার অফিসটাও এদিকে।
অফিস থেকে বেড় হইলেই পাগল আর ফকিরের জালায় অতিষ্ট হইয়া যাইতে হয়। একদিন অফিস থেকে বেড় হয়ে মতিঝিলে যাইতেছি পায়ে হাইটা। ফুটপাত দিয়ে হাটতেছিলাম, কিছুদুর যাওয়ার পর দেখি অপরপাশ থেকে চট এর বস্তা গায়ে দেয়া ময়লা চয়লা মাখানো এক পাগল আসতেছে। দেইখাই আমি পুরা বিব্রত। পাগলটার সামনাসামনি হওয়ার সাথে সাথেই সে আমার দিকে হাত বাড়াইয়া জোরসে বল্ল -হে বাদশা...
আমি পুরাই ভরকাইয়া গেলাম।
কোনমতে তারে এড়াইয়া সামনের দিকে অগ্রসর হইয়া গেলামগা। ঠিক আরামবাগের কাছাকাছি আসার পর দেখি অপরপাশ থেকে সেইম একই টাইপের আরেকখান পাগল আসতেছ। এইবার আমার মাথায় কুটিল বুদ্ধি আসতে শুরু করল। ভাবলাম আগেরবার আমারে ভরকায় দিছে এইবার আমি দিমু।
মনে মনে পুরা প্রস্তুতি নিয়া হাটতেছি।
ঠিক যখন সামনাসামনি হইলাম পাগলটা আমার দিকে হাত বাড়াইয়া জোড়ছে কইল -হে পাগলা!.......
আমিও তৎক্ষনাৎ তার মুখ বড়াবড় আঙ্গুল তুইল্লা জোড়ছে কইলাম
-তুই পাগলা!.....
এইবার মনে হইল পাগলটা টাসকি খাইয়া সপ্তম স্তরে চইলা গেছে। সে আমার দিকে হা কইরা তাকায় রইল। আমি তারে ক্রস কইরা সামনের দিকে অগ্রসর হইলাম। কিছুদুর গিয়া পিছন ফিরা তাকায় দেখি পাগলটা ঠিক আগের মতই হা কইরা আমার দিকে তাকায় আছে
৩।
এইটা হইল আমার ফেইসবুকের প্রোফাইল ছবি।
এই ছবি দেইখা একলোক আমারে মাইয়া মনে কইরা একদিন একখানা মেসেজ দিছিল। মেসেজটা হইল "তোমাকে কেউ না বাসুক,আমি ভালবাসব,কথা দিলাম"
আর মেসেজের সাবজেক্ট এর ঘরে লিখছে "ভালবাসা"
কি একখান কপাল নিয়া জন্মাইলাম। ভাবছিলাম এই ছবি দেইখা দুইচাইর জন সুন্দরী ললনা আমার প্রতি দরদ উপচায় পড়ব, তা না কোনখানকার কোন এক বেডায়.....
কৌতুকঃ একলোকের হঠাৎ সখ হইছে একখান ঘোড়া কিনবার। বিভিন্ন জায়গায় ঘোড়া দেখার পরেও তার ঘোড়া পছন্দ হয় নাই। অবশেষে এক পাদ্রীর এক ঘোড়া তার পছন্দ হইছে।
পাদ্রীর সেই ঘোড়াটাই অবশেষে সে কিনল। এখন পাদ্রী তারে কইল -দেখুন আমি নিজে ধর্ম কর্ম করি,তাই ঘোড়াটাকে সেভাবেই শিক্ষা দিয়েছি। আপনি যদি ঘোড়াকে চালাতে চান তবে শুধু বলবেন ইশ্বরকে ধন্যবাদ,তাহলেই দেখবেন ঘোড়া দৌড়াতে শুরু করেছে। আর ঘোড়াকে থামানোর প্রয়োজন মনে করলে বলবেন ধর্মের জয় হোক।
লোকটি পাদ্রীর কাছ থেকে এগুলো শিখে ঘোড়ার উপর উঠেই বল্ল ইশ্বরকে ধন্যবাদ।
ব্যস ঘোড়া দৌড়াতে শুরু করল। ঘোড়াটা দৌড়াতে দৌড়াতে এক সময় এক পাহাড়ের কিনাড়ায় চলে আসল। লোকটি ঘোড়ার দড়ি টেনে অনেক রকম করে চেষ্টা করতে লাগল ঘোড়াকে থামাতে,কিন্তু যতই ঘোড়ার দড়ি ধরে টানছেন ততই ঘোড়া যেন জোড়ে দৌড়াতে লাগল। অবশেষে সেই পাদ্রীর কথা তার মনে পড়ল,সাথে সাথেই তিনি বলে ফেল্লেন ধর্মের জয় হোক ওমনি ঘোড়াটি একেবারে পাহাড়ের কিনারায় এসে থেমে পড়ল। লোকটি হাপাতে হাপাতে মনের অজান্তেই বলে ফেল্ল ইশ্বরকে ধন্যবাদ!! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।