আমি লেখক নই পাঠক ----- ‘স্বাধীনতার স্ব-পক্ষের দাবিদার বর্তমান সরকারের নেতা-কর্মীরা গত ২৭ আগস্ট ঝিনাইদহে মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর বর্বর হামলা চালায়। তাদের হাত থেকে বাচার জন্য থানার ভেতরে আশ্রয় নিয়েও যুবলীগের হামলা থেকে রক্ষা পাননি ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার নুরুল ইসলাম সহ ছয় মুক্তিযোদ্ধা। এদের মধ্যে একজনের হাত ভেঙে গেছে। এ ঘটনায় উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
আহত মুক্তিযোদ্ধারা জানান, গত ১৮ আগস্ট মহেশপুর উপজেলার শ্যামকুড় গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা জাফর হোসেনের স্ত্রীকে সন্ত্রাসীরা পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেয়।
এ ঘটনায় ওই মুক্তিযোদ্ধা একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ঘটনা নিয়ে শনিবার দুপুরে মহেশপুর শহরের পুরাতন সোনালী ব্যাংকের পাশে স্থানীয় সংসদ সদস্য সফিকুল আজম খান চঞ্চলের অফিসে তার ভাই আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রশিদ খানের মধ্যস্থতায় সালিশি বৈঠক শুরু হয়।
একপর্যায়ে সালিশ না মেনে যুবলীগ নেতা আব্বাসের নেতৃত্বে হামিদ, মুকুল, জাহাঙ্গীর ও তিমির সহ ১৫/২০ জন যুবলীগ নেতা-কর্মী মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর হামলা চালায়।
এসময় তাদের হামলা থেকে রক্ষা পেতে উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার নুরুল ইসলাম দৌঁড়ে মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কক্ষে গিয়ে আশ্রয় নেন। কিন্তু সেখানেও হামলা চালায় যুবলীগ নেতা-কর্মীরা।
তারা প্রথমে মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামকে সেখানে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। তাকে বাঁচাতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহমান, খোরশেদ আলী, মোহাম্মদ আলী ও শাহাদত সহ তার পাঁচ সহকর্মী আহত হয়। এদের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলীর হাত ভেঙে গেছে।
এ ঘটনার পর ভয়ে থানায় কোন অভিযোগ দিতে পারেননি বলেও জানান এই মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার।
যারা নিজের জীবনের মায়া ত্যাগকরে এদেশের স্বধীণতার জন্য যুদ্ধে জাপিয়ে পরেছিলেন এবং দেশের স্বধীণতা এনেছিলেন তারা আজ কতটা অসহায় ! পুলিশের কাছ থেকেও কোনো সহযোগীতা তো পায়ইনি তার উপর কোনো অভিযোগ করার সাহসও হারিয়ে ফেলেছে।
তারা এখন কার কাছে বিচার চাইবে ? কাকে প্রশ্ন করবো ? কোথায় যাবে তারা ? -----------------------------------
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।