একদা এক তৃনভুমে নিঃসঙ্গ বাস করিত স্পেলুছাগা, তো বাজারে প্রভার ভিডিউ ব্যাপক সারা ফেলিলে স্পেলুছাগারও মনে খায়েস হয় বস্তুখানি দেখিবার। বহু কষ্টে নেট মেট ঘাটিয়া জোগারও করিয়া ফেলিল। পরম আরাধ্য প্রভার ভিডিউখানি নিজ মোবাইলে দেখিয়া তার অন্ডকোষ স্কন্ধে উঠিল। এখন নামাইবার কি ব্যাবস্থা?
তৃনভুমে অপরকোন ছাগীও নাই যে কামতাড়না চরিথার্থ করিবে। অন্ডস্কন্ধি স্পেলুছাগা হঠাৎ দেখিল একটি শিয়াল যাইতেছে।
ছাগা ডাকিল, “ওহে শিয়াল মামা এইদিক শুনো, কাহিনি ঘটিয়াছে”। শিয়াল নিকট আসিলে স্পেলুছাগা আগে তাহাকে প্রভার ভিডিউ দেখাইয়া প্রভা’বিত করিল। প্রভা’বিত শিয়ালেরও অন্ডকোষ স্কন্ধে উঠিল।
এবার স্পেলুছাগা প্রস্তাব দিল, আইসো শিয়াল মামা, আমরা পরস্পরের ইয়ে মেরে কাম ক্ষুদা নিবৃত করি। শিয়ালও সায় দিয়া বলিল “চলো ভাগিনে, কিন্তু একটা শর্তে! আগে আমাকে মারিতে দিতে হইবেক”? কামতাড়িত ব্যাকুল স্পেলুছাগা তাহাতেই রাজি হইয়া গেল।
এরপর শিয়াল স্পেলুছাগার পশ্চাতে উপগত হইয়া উপর্যপুরি মারিতে লাগিল। প্রথমদিকে চৌক্ষে অন্ধকার দেখিতেছিল, পরে শিয়াল মামার ফিনিশিং দিলে তাহার পালা আসিবেক এই আশায় স্পেলুছাগা সব সহ্য করিয়া নেয়।
এক সময় শিয়াল মামা ফিনিশও করিল। কিন্তু একি! আচমকা কি হইলো স্পেলুছাগা বুঝিয়া উঠিতে পারিলনা! রাগমোচনকালের বিধ্বস্তাবস্থার সুযোগে শিয়াল মামা ঝাড়া একখান দৌড় লাগাইলো যে!! হায় হায়!!
ঘটনার আকস্মিকতায় স্পেলুছাগা তব্ধা খাইয়াছিল ঠিকই, কিন্তু হুশ ফিরিলে সেও ঝাড়িয়া দৌড় লাগায় শিয়াল মামার পিছু পিছু।
দৌড়! দৌড়! দৌড়!
পথিমধ্যে স্পেলুছাগার সাথে দেখা ডিজিটাল খাসির।
খাসি জিজ্ঞাস করিল, ঘটনা কি? স্পেলুছাগা হাপাইতে হাপাইতে বৃত্তান্ত বলিল। ঘটনা শুনিয়া ডিজিটাল খাসি তিড়িং করিয়া তিনবার লম্ফ করিল। এরপর নিজের পশ্চাৎখানি হাতাইতে হাতাইতে বলিল, “শুয়োরের বাচ্চা শিয়াল গতকাল আমাকেও এইরূপ ঘোল খাওয়াইয়াছে। চল শালাকে ধরি”। কথা শেষ হইতেই স্পেলু এবং খাসি দুইজনেই ঝাড়িয়া দৌড় লাগাইলো।
দৌড়! দৌড়! দৌড়!
এরপর পথিমধ্যে দেখা হইল ধ্বজুর সাথে। ধ্বজু জিজ্ঞাস করিল, ঘটনা কি? উত্তর শুনিয়া লম্ফ দিয়া সেও চিৎকার করিল, “শুয়োরবাচ্চা শিয়াল ... ... ... “। এবার তারা তিনজন ঝাড়িয়া দৌড় লাগাইলো।
দৌড়! দৌড়! দৌড়!
একইভাবে একে একে সকল ছাগু বিশাল এক পাল বাধিয়া পাছা হাতরাইতে হাতরাইতে দৌড়াইতে লাগিল শিয়াল মামার পিছে। সে এক বৈপ্লবিক দৃশ্যই বটে।
দৌড়! দৌড়! দৌড়!
দৌড়াইতে দৌড়াইতে তৃনভুম পার হয়, দৌড়াইতে দৌড়াইতে বন পার হয়, দৌড়াইতে দৌড়াইতে খাল-বিল নদীনালা পার হয়, ক্ষেতখামার পার হইয়া লোকালয় আসিল, কলকারখানা আসিল। এতক্ষনে শিয়াল মামা ছাগু চৌক্ষের অন্তরীন হইয়াছে। তাহার টিকিও আর দেখিতে পাওয়া যাইতেছে না। উপায়ান্তর না দেখিয়া ছাগুপাল মনস্থির করিল কাউকে জিজ্ঞাস করিয়া লইবে। সন্নিকটে এক সার কারখানা ছিল।
উহারই দরজা পাহারায় এক সিকিউরিটি গার্ড। মধ্যহ্নভোজ শেষে কেদারায় বসিয়াই ঘুম দিতেছিল চোখের উপর একখান পেপার রাখিয়া। স্পেলুছাগা, ডিজিটাল খাসি, ধ্বজু সহ শখানেক ছাগু তাহার কাছে গিয়া সমস্বরে শুধাইলো, “শুভ দুপুর স্যার, এইখান দিয়া কি কিছুক্ষন আগে কোন শিয়াল গিয়াছে”? গার্ড সাহেব পেপার সরাইয়া উঠিয়া বসিয়া দেখিলেন এক পাল ছাগু তাহার সামনে। কাঁচা ঘুম ভাঙ্গিলে কাহার মেজাজ ঠিক থাকে আবার তাহা যদি হয় ছাগুর ডাকে। মেজাজ খিচড়াইয়া পালটা প্রশ্ন করিলেন, “ক্যান? শিয়াল কি তোমাদের পুটকি মারিয়াছে নাকি”??
ছাগু পাল তব্ধা খাইয়া একে অপরের দিকে চাওয়া চাওয়ি করিল।
স্পেলুছাগা বহুকষ্টে বলিল, “আপনি জানিলেন কি করিয়া? ঘটনা কি পেপারেও আসিয়াছে”??
- - - - - - - - - - - - - - - - - - - -
ডিস্ক্লেইমারঃ এই ছাগৌতুকের প্রতিটি চরিত্র এবং ঘটনা কাল্পনিক। বাস্তবে বা ব্লগে ইহাদের কারো কোন অস্তিত্ব নাই। কেহ যদি নিজের সাথে বা আর কারো সাথে ইহার কোন প্রকার সাদৃশ্য খুজিয়া পায় তা তার ব্যাক্তিদৈন্যতার ফল। সেজন্য লেখককে কোন ক্রমেই দায়ী করা চলিবেনা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।