আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দণ্ডিতরা নির্বাচনে অযোগ্য

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত ব্যক্তিদের নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণা করে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের খসড়া চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এই খসড়া আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
কমিশন সচিবালয় সূত্র জানায়, আইন মন্ত্রণালয়ের পর্যবেক্ষণের আলোকে সংশোধনের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। বর্তমানে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১২ ধারায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীর যোগ্যতা-অযোগ্যতা সম্পর্কে বলা আছে, কেউ জাতীয় বা আন্তর্জাতিক আদালত অথবা ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে দণ্ডিত হলে তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণের অযোগ্য হবেন। কিন্তু ‘যুদ্ধাপরাধ’ শব্দটি দ্বারা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সব অপরাধকে বোঝানো হয় না বিধায় গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১২(ও) ধারা সংশোধনের প্রস্তাব করা হচ্ছে।

প্রস্তাবে বলা হয়েছে, কেউ জাতীয় বা আন্তর্জাতিক আদালত অথবা ট্রাইব্যুনালে ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন, ১৯৭৩’-এর আওতাধীন কোনো অপরাধে দণ্ডিত হলে তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণের অযোগ্য হবেন।
একই বিষয়ে সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদে বলা আছে, কোনো ব্যক্তি ১৯৭২ সালের বাংলাদেশ যোগসাজশকারী (বিশেষ ট্রাইব্যুনাল) আইনের (দালাল আইন) অধীন কোনো অপরাধে দণ্ডিত হলে তিনি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অযোগ্য হবেন। এ ছাড়া কোনো ব্যক্তি নৈতিক স্খলনজনিত ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে কমপক্ষে দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে তিনি মুক্তি পাওয়ার দিন থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অযোগ্য হবেন।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১২ ধারায় বলা আছে, কোনো ব্যক্তি নির্বাচনী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে কমপক্ষে দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে তিনি মুক্তি পাওয়ার দিন থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অযোগ্য হবেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদ গতকাল বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে যুদ্ধাপরাধীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের অযোগ্য করা হলেও মানবতাবিরোধীদের বিষয়টির উল্লেখ নেই।

বিষয়টি আরও স্পষ্ট করার জন্য আইন সংশোধনের সুপারিশ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, মানবতাবিরোধী দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর ব্যাপারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কোনো নির্দেশনা দিলে কমিশন তা পালন করবে। তবে রায়ের কপি হাতে পাওয়ার আগে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।
গত সোমবার জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমের বিরুদ্ধে দেওয়া রায়ে জামায়াতকে ‘ক্রিমিনাল দল’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন আদালত। এর আগে গত ২১ জানুয়ারি আবুল কালাম আযাদের বিরুদ্ধে দেওয়া রায়ে আদালত বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী একাত্তরে ‘পাকিস্তান রক্ষার’ নামে ‘সশস্ত্র বাহিনী’ গঠন করে নিরস্ত্র বাঙালিদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগিতা করেছিল।


বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) নিবন্ধন সম্পর্কে সিইসি বলেন, দলটি নিবন্ধন শর্ত পূরণ করতে পারলে তাদের নিবন্ধিত করা হবে। তার আগে এ বিষয়ে কারও কোনো আপত্তি থাকলে সেটাও বিবেচনা করা হবে।
কমিশন সচিবালয় সূত্র জানায়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের বিধান অনুযায়ী বিএনএফ নিবন্ধন শর্ত পূরণ করতে পারেনি। এই দলকে নিবন্ধিত না করার জন্য বিএনপি থেকে কমিশনকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।