উড়তে ঘুরতে
এই মেয়েটির নাম সাফিয়া ইসলাম। নামটা তার জন্মদানকারী বাবা মা কিংবা তাদের পরিবারের কারও দেয়া না। নামটা দিয়েছে তার পালক দাদা দাদি । মেয়েটি পৃথিবীর এক নির্মমতার জলজ্যান্ত প্রমান।
পরিবারকে সব থেকে নিরাপদ আশ্রয় মনে করা হয়।
আর এই নিরাপদ আশ্রয়ে সব থেকে আপনজন হল মা এবং তারপর বাবা। অথচ এই নিস্পাপ মেয়েটির জন্মের পর তার এই আপনজনেরা তার জমজ ভাইকে বুকে টেনে তাকে ছুড়ে ফেলে দিতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেনি। সদ্য জন্মান এই মেয়েটির অপরাধ একটায় ছিল যে তার মায়ের জমজ সন্তানদের মধ্যে সে মেয়ে আর তাই তার জমজ ভাইটিকে তারা নিলেও তাকে ফেলে দিয়ে চলে যায়।
ভাগ্যক্রমে হাসপাতালে এক বয়স্ক মহিলা তার এক আত্মীয়এর সাথে গেছিলেন । যদিও তার অর্থনৈতিক অবস্থা তেমন ভাল না তবুও এই ঘটনা জানতে পেরে তিনি এই মেয়েটিকে নিজের বুকে তুলে নেন।
নিজের বড় ছেলে শফিক এর সাথে মিলিয়ে মেয়েটির নাম রাখেন সাফিয়া । তাদের সাধ্য মত ভালভাবে পড়াশুনা শিখিয়ে মানুষ করার চেষ্টা করছেন এই মেয়েটিকে। এই সাত বছরের মেয়েটি জানেও না যে যে দাদা-দাদির সাথে সে থাকে তাদের সাথে তার রক্তের কোনও সম্পর্ক নায়। সত্যিই পৃথিবীটা অদ্ভুৎ । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।