ক্লান্তিহীন সমালোচনার জন্য ইংলিশ মিডিয়ার ‘খ্যাতি’ সুবিদিত। মহেন্দ্র সিং ধোনির ভারত গত শুক্রবার এটি বুঝল ভালো করেই। এজবাস্টনে ভারতের বাজে পারফরম্যান্সের পর কঠোর সমালোচনা করেছে ইংল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম। একজন লেখক তো ভারত দলটাকে সমারসেটের খামারের ভেড়ার পালকে পাহারা দেওয়া ‘সাই’ কুকুরের সঙ্গে তুলনা করেছে। যে কুকুর ভেড়াকেও ভয় পায়!
পত্রপত্রিকা রিম রিম কাগজ খরচ করেছে আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে ইংল্যান্ডের এক নম্বর হওয়ার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাওয়ার প্রশংসাগাথায়।
এর মধ্যেও একটি প্রতিবেদন ছিল ব্যতিক্রম। যেখানে কেবলই নড়বড়ে ভারতের নিন্দা। ভারতের বোলিংয়ের সমালোচনায় লেখা হয়েছে মাইকেল হোল্ডিং এখনো নতুন বল হাতে ঘণ্টায় ৬০ মাইল বেগে আগুন ঝরাতে পারতেন।
‘এই লেখাটি পড়ে আপনি মনে করতে পারেন, ব্রিটেনে জীবিত যেকোনো প্রাণীর চেয়ে অসহায় সাইয়ের আজকের দিনটি মাঠে সবচেয়ে বাজে কেটেছে। আপনি ভুলই বুঝতে পারেন।
আসলে বলা হচ্ছে এজবাস্টনে তৃতীয় টেস্টে বৃহস্পতিবার ভারতের লাঞ্চ-পরবর্তী পারফরম্যান্সের কথা। মনে হয়, অবাধ্য ভেড়াগুলোকে সামলাতে বুড়ো সাইয়ের দৌড়াদৌড়িকেও বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ মনে হয়। সত্যি বলতে কি, সাইয়ের ক্যাচিংও মনে হয় এর চেয়ে ভালো’—ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড দ্য ডেইলি মেল-এর কলামে লিখেছেন মার্টিন স্যামুয়েল।
বোলিংয়ের মতো ফিল্ডিংয়েও বাজে দিন গেছে ভারতের। এ নিয়েও দেওয়া হয়েছে খোঁচা।
বিশেষ করে রাহুল দ্রাবিড়ের স্লিপে ক্যাচ ছাড়ার ব্যাপার নিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘এখন বুঝতে পারছি রাহুল দ্রাবিড়কে কেন দেয়াল বলা হয়। দ্রাবিড় দেয়াল, কারণ তার গায়ে বল বাউন্স করে ফিরে আসে!’ স্লিপে ইয়ান বেল ও এউইন মরগানের ক্যাচ ফেলেছিলেন দ্রাবিড়। পরে ওই দুজন ৩৪ ও ১০৪ রান করে আউট হন।
ভারতের অবস্থা এতই সঙ্গিন যে ইংল্যান্ডের এভারেস্ট জয়ের উচ্ছ্বাসটাই কেমন পানসে হয়ে গেছে বলে মনে করেন ডেইলি মেল-এর কলামিস্ট, ‘ভেবে দেখুন, এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছানোর শেষ ধাপটা কেমন যেন চলন্ত সিঁড়িতে করে যাওয়ার মতো মনে হচ্ছে! অথচ এই সিরিজে লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি ছিল। কারণ দুটি সেরা দল শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে নেমেছিল।
’
ভারতের প্রথম ইনিংসে ওপেনার বীরেন্দর শেবাগ কিং পেয়ার পেয়েছেন, সুইং সামলাতে না পেরে ক্যাচ দিয়েছেন উইকেটের পেছনে। তীব্র ব্যঙ্গভরে ডেইলি মেল লিখেছে, সুইং সামলাতে শেবাগ ব্যাটে ‘মিন্ট’ মাখিয়ে নিতে পারতেন!
‘ভারত বাংলাদেশের মতো খেলছে’—এর আগে এই কথা বলা জিওফ বয়কট ভারতের এক নম্বর হওয়া নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন, ‘সবাই প্রশ্ন করছে, এভাবে খেলে ভারত এক নম্বরে উঠল কী করে? সাধারণ মানের একটি দলের ছায়ার মতো মনে হচ্ছে ভারতকে। বোলাররা খুব চেষ্টা করে যাচ্ছে, কিন্তু শ্লথগতির বোলিং। ফিল্ডিংয়ের অবস্থাও বাজে। খেলোয়াড়দের দেখে মনে হয়েছে, কখন ম্যাচ শেষ হবে এবং ইংল্যান্ড জিতবে; এই অপেক্ষায় আছে।
’ ওয়েবসাইট। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।