I deem them mad because they think my days have a price...
প্রতিনিয়ত আমাদের আশপাশের জিনিসগুলো খুব তাড়াতাড়ি বদলে যাচ্ছে। সভ্যতার ধারক মানুষ প্রতিনিয়ত নিজের সভ্যতার সংজ্ঞা পালটিয়ে দিচ্ছে ক্রমাগত বৈজ্ঞানিক পরীক্ষণ আর নিরীক্ষণের মাধ্যমে। ক্রমবিবর্তনের এই ছোঁয়া যখন আমাদের অতিপরিচিত যানবাহনের গায়ে লাগে তখন এদের ভবিষ্যৎরুপ গুলো আমাদের উৎসুকমন গুলোকে বিস্ময়ের শেষ সীমানার কাছাকাছি নিয়ে যায়,চোখ কপালে তুলে দেয়...আর এইসব concept car গুলোর ডিজাইন গুলো আসলেই মাথা নষ্ট করে দেওয়ার মতন।
খুব সংক্ষেপে বলি যে আসলে future concept car মানে কি?আসলে গাড়ি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সবসময় তাদের নিজেদের পন্যের ভবিষ্যৎ মান আর ডিজাইন সম্পর্কে ধারনা দেওয়ার জন্য কিছু ডিজাইন করে থাকে যেগুলোকে আমরা future concept car বলি। এটা আসলে একটি specific term যেটি দ্বারা ভবিষ্যতের উচ্চক্ষমতা আর উন্নত প্রযুক্তির গাড়ি গুলো সম্পর্কে আমাদের সম্যক ধারনা দেওয়া হয়।
এই future concept ধারনাটার সম্পূর্ণ কৃতিত্ব আসলে hearly earl এর,যিনি general motors এর ডিজাইন সেকশনের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। এই future concept সম্বলিত যে গাড়িগুলোর ডিজাইন আমরা সচারচর দেখি এগুলোকে prototype car বলা হয়।
আসলে এই future concept অথবা prototype গাড়ি গুলোর উদ্দেশ্য কি?এই গাড়িগুলোতে প্রধানত ইঞ্জিন বা গাড়ির ডিজাইনে অই সময়ের গাড়ির চেয়ে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়। বর্তমানে কোন concept car ডিজাইনের সময় যে জিনিসগুলোর দিকে খুব লক্ষ্য রাখা হয় সেগুলো হল-
১। automated control এর প্রতি খুব বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
এটি বাস্তবায়িত হলে car গুলোকে আপনার কষ্ট করে আর চালাতে হবে না,অনেকটা কাল্পনিক স্পেসশিপের মত কারের কাছে ড্রাইভিঙের ভার দিয়ে নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন।
২। বর্তমানে আমরা যে গাড়িগুলো ব্যাবহার করি এগুলোর এনার্জি ব্যাবহারের এফিসিয়েনন্সি মোটামুটি ভাবে ১৫%। তার মানে একটা বিশাল অংশ এনার্জি লস হচ্ছে(প্রায় ৮০%-৮৫%)। কনসেপ্ট কারগুলোতে এই এনার্জি লসের ব্যাপারটা খুব গুরুত্ব পাচ্ছে।
এই লসটা যদি কমানো যায় আরও তবে সামনে একটা বিশাল পরিবর্তন আসবে। ধরেন এখন যেখানে এক লিটার ফুয়েল দিয়ে ৩০ কিলোমিটার যেতে পারছেন,এই এনার্জি এফিসিয়েন্সি যদি ডাবল করা যায় তবে এই ফুয়েল দিয়েই ৬০ কিমি যেতে পারবেন।
৩। আরও দ্রুত আর শক্তিশালী যানবাহনের জন্য ভাবা হচ্ছে বর্তমান গাড়ির ষ্টীলবডি গুলো ভিন্ন কিছু দিয়ে রিপ্লেস করার জন্য। এই জন্য ষ্টীলের পরিবর্তে ভাবা হচ্ছে fibreglass, duralaminum এবং carbon nanotube এর কথা।
এক্কেবারে সিউর থাকেন ষ্টীলের জায়গা এই জিনিসগুলা রিপ্লেস করলে অই গাড়ি গুলান আর গাড়ি থাকবনা,একেকটা তুফানমিল হবে। পুরাই ছেপা কেরকেরা...
চলুন এক পলকে বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত কনসেপ্ট কারের ডিজাইন দেখি...
১। গাড়িটির নাম দেওয়া হয়েছে helix.গাড়িটি সম্পর্কে সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল এটি দুইরকম এনার্জি ইউজ করতে পারবে। এটি যেমন ইলেকট্রিক এনার্জি ইউজ করবে তেমনি চলতি অবস্থায় বাতাস থেকেও এনার্জি কালেক্ট করতে পারবে।
২।
গাড়িটি মুলত একটা বিশাল পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে প্রচলিত গাড়ির সংজ্ঞায়। এটিকে শুধু গাড়ি বললে ভুল হবে। এটি আসলে গাড়ি কাম স্পীড বোট বললেই বেশি মানাবে। কারন এটি জলে স্থলে দু জায়গাতেই এর অবাধ বিচরণ হবে।
৩।
দু চাকার এই গাড়িটি ছবিতে দেখেই বোঝা যায় এর ক্ষমতা সমন্ধে। অস্বাভাবিক গতির এই গাড়িটি পৃথিবীর বাসিন্দাদের জন্য একটি চমক হবে নিঃসন্দেহে।
৪। অসাধারন ডিজাইন আর একেবারেই ইউনিক। আরেকটি বিশেষত্ব হল খুবই শক্তিশালী বডি সাথে শক্তিশালী ইঞ্জিনের কম্বিনেসান।
৫। এই গাড়িটির ছাদ বা রুফ আসলে নরমাল রুফ নয়। এটি আসলে একটি সোলার প্যানেল। ফুয়েলের সাথে সৌরশক্তির ব্যাবহার গাড়িটিকে গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়ে দিবে অনেকখানি।
৬।
বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে দামি গাড়ি বুগাত্তি ভেরনের ক্লাসিক এডিশন থেকে এর ধারনা নেয়া হয়েছে সাথে যোগ হচ্ছে অনেক নতুন সুযোগসুবিধা। ফাটাফাটি হবে নিশ্চিত।
৭। এই গাড়িটির ডিজাইনারের লক্ষ্য গাড়িটি জাপানের হাই স্পীড বুলেট ট্রেইনের সমান গতির হবে। বুজেন অবস্থা!!
৮।
অটোম্যাটেড কন্ট্রোল সিস্টেমের পারপেক্ট উদাহরন হতে যাচ্ছে এটি। আপনি নিজের ইচ্ছেমত ঘুম বা কফি খেয়ে নিতে পারবেন গাড়ির ভেতরেই। গাড়ি নিজেই নিজেকে চালাবে,আপনার ড্রাইভিং নিয়ে মাথা না ঘামালেও চলবে।
৯। পুরো গাড়িটি কার্বন ফাইবার স্কিন দিয়ে তৈরি।
অসাধারন একটা জিনিস হবে,বস অফ দ্যা গ্লামার। টাকা পয়সা থাকলে এইটা নেওয়ার চিন্তা ভাবনা কইরা দেখমু(অবশ্য ততদিন যদি বাইচা থাকি আর কি)।
সবাই ভাল থাকবেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।