আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সুপ্রীমকোর্টে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীরা এখন দুধে ধোয়া তুলসী পাতা!!! সেই সন্ত্রাসী আইন জীবিরা এখন রক্ষক সেজেছে!!!!!!!!!

সুপ্রিমকোর্ট অঙ্গনে ভাংচুরে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী আইনজীবী খসরুজ্জামান এখন হাইকোর্ট বিভাগের মাননীয় বিচারক। ২০০৬ সালের ৩০ নভেম্বর সুপ্রিমকোর্টে নজিরবিহীন ভাংচুরে অংশগ্রহণকারীরা বর্তমান সরকারের সময়ে নানাভাবে পুরস্কৃত হয়েছেন। নিয়োগ লাভ করেছেন বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেলের দফতরের আইন কর্মকর্তা পদে। তত্কালীন সুপ্রিমকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ, ব্যারিস্টার আমির-উল ইসলাম, ড. কামাল হোসেনসহ সিনিয়র আইনজীবীদের নেতৃত্বে সুপ্রিমকোর্টে সেদিন তাণ্ডব চলেছিল। তাদের অনুসারী আওয়ামী আইনজীবীরা প্রধান বিচারপতির এজলাস থেকে শুরু করে ভাংচুর করেছিল পুরো সুপ্রিমকোর্টে।

অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল গাড়িতে। প্রধান বিচারপতির আসনের চেয়ার উল্টিয়ে ফেলা হয়েছিল। বার অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি হিসেবে ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ সেদিন ঘোষণা করেছিলেন প্রধান বিচারপতিকে আর মাননীয় বলা হবে না। একটি মামলায় তাদের পক্ষে আদেশ না হওয়ায় এ তাণ্ডব চালানো হয়েছিল। সেই তাণ্ডবের ঘটনায় সুপ্রিমকোর্ট রেজিস্ট্রার দফতরের একজন কর্মকর্তা বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেছিলেন।

সুপ্রিমকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের বর্তমান সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেনের কাছে সেদিনের ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি আমার দেশকে বলেন, আদালতের আদেশ পছন্দ না হওয়ায় সেদিন নজিরবিহীন তাণ্ডব ঘটেছিল সুপ্রিমকোর্টে। আওয়ামী আইনজীবীরা তত্কালীন বার সভাপতির নেতৃত্বে এ তাণ্ডব ঘটিয়েছিলেন। প্রধান বিচারপতির এজলাস ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল। সুপ্রিমকোর্ট রেজিস্ট্রার দফতর থেকে দায়ের করা মামলায় পরের দিনই হাইকোর্ট বিভাগ অভিযুক্ত আসামিদের জামিনও দিয়েছিলেন। এখন ভাংচুর নয়; শুধু একটি অন্যায় আদেশের প্রতিবাদ করা হয়েছিল।

আইনজীবীরা একজন বিচারপতির এজলাসে সেই প্রতিবাদ করেছিলেন। সে প্রতিবাদে বাধা দিয়েছে আওয়ামী আইনজীবীরা। অথচ তারা সেদিনের কথা ভুলে গেছেন। অতীতকে ভুলে গিয়ে তারা আইনজীবীদের বিরুদ্ধে পুলিশ দিয়ে মামলা দায়ের করিয়েছেন। তিনজন আইনজীবীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

১৩ আইনজীবীর সনদ স্থগিত করা হয়েছে। তাদের আদালত অঙ্গনে প্রবেশে আরোপ করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। অতীতকে ভুলে গিয়ে তারা এ ফ্যাসিবাদী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। ২০০৬ সালের ৩০ নভেম্বরের ঘটনার তুলনায় ২ জুলাই কিছুই হয়নি। শুধু ভাংচুরই নয়, তখন কথায় কথায় আদালত বর্জনের কর্মসূচি দেয়া হতো, সুপ্রিমকোর্টের ভেতরে নানা আপত্তিকর স্লোগান দেয়া হতো।

এতে বিচারপতি আবদুল মতিন একটি স্যুয়োমোটো রুল জারি করে আদালত অঙ্গনে স্লোগান ও আদালত বর্জনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন। সেই আদেশের কপিতে আগুন দিয়ে আওয়ামী আইনজীবীরা প্রতিবাদ করেছিলেন। প্রধান বিচারপতিকে মাননীয় বলা হবে না বলেও নাজেহাল করা হয়েছিল। এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাই না। আদালতের মর্যাদাকে সমুন্নত রাখতে চাই।

একজন বিচারপতি একটি মামলার বিষয়বস্তুর বাইরে গিয়ে বিরোধীদলীয় নেতা সম্পর্কে কটূক্তি করায় আইনজীবীরা প্রতিবাদ করেছেন। সেই প্রতিবাদে আওয়ামী আইনজীবীরা বাধা দিয়েছেন। এতে উভয়পক্ষে হাতাহাতি হয়েছে। এর জন্য শুধু বিরোধীদলের সমর্থক আইনজীবীরা দায়ী হতে পারে না। গত ২ জুলাইয়ের ঘটনার জন্য আওয়ামী আইনজীবীরাও দায়ী।

আমরা চাই সুপ্রিমকোর্টের ভাবমর্যাদা বজায় থাকুক। তবে ভাবমর্যাদা বজায় রাখতে দায়-দায়িত্ব শুধু বিরোধীদলের সমর্থক আইনজীবীদের নয়। ভাবমর্যাদা রক্ষার দায়িত্ব বিচারক, আওয়ামী আইনজীবী ও বিরোধীদলের সমর্থক আইনজীবীসহ সবার। সবাইকেই প্রত্যেকের অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। তবেই ভাবমর্যাদা রক্ষা সম্ভব হবে।

একজন বিচারপতি চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে অস্থায়ী মেয়াদ শেষে স্থায়ী নিয়োগ পাননি। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর তিনি স্থায়ী নিয়োগ পেয়েছেন। এতে তার মনে জ্বালা থাকতেই পারে। তবে বিচারকের আসনে বসে এ মনের জ্বালাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করলে বিচারব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাবে। আমরা আশা করব বিচারকের আসনে বসার পর সবাই দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবেন।

৩০ নভেম্বরের ঘটনা যেভাবে ঘটেছিল : তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পদে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণের সাংবিধানিক বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে শুনানির তৃতীয় দিনে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও তাণ্ডবের ঘটনা ঘটে। ৩০ নভেম্বর দুপুরের বিরতির পর বেলা ২টা ২০ মিনিটে মামলাটির শুনানির স্থগিতাদেশ অবহিত হওয়ার পরই ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ চিত্কার করে বলেন, প্রধান বিচারপতির এ বিষয়ে কোনো এখতিয়ার নেই। প্রধান বিচারপতি কোনো মামলার শুনানি কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশ দিতে পারেন না। একই কথা চিত্কার করে বলেন ব্যারিস্টার আমির-উল-ইসলাম। এ সময় আদালতে উপস্থিত ১৪ দলের আইনজীবীরা হৈচৈ শুরু করেন এবং অনেকে লাফিয়ে টেবিলের ওপর ওঠেন।

তারা আদালতে উপস্থিত সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও অ্যাটর্নি জেনারেল এজে মোহাম্মদ আলীকে উদ্দেশ করে অকথ্য ভাষায় গালি দিতে থাকেন এবং তাদের প্রতি তেড়ে যান। এতে আদালতে উপস্থিত চারদলীয় জোটের সমর্থক আইনজীবীরাও প্রতিবাদ জানালে শুরু হয় হৈচৈ। তখনও বিচারপতিরা এজলাসে উপস্থিত ছিলেন। বিচারপতিদের এজলাসে বসে থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগ সমর্থক কয়েকজন আইনজীবী লাফিয়ে টেবিলে ওঠেন এবং চিত্কার করে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে আক্রমণের জন্য এগিয়ে যেতে থাকেন। আদালতে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী ব্যারিস্টার শাজাহান ওমর, সিনিয়র আইনজীবী হাবিবুল ইসলাম ভূঁইয়াসহ চারদলীয় জোটের সমর্থক কিছুসংখ্যক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।

তারা সবাই ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও অ্যাটর্নি জেনারেলকে নিরাপদে আদালত কক্ষ থেকে বের হয়ে আসতে সহযোগিতা করেন। একপর্যায়ে ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ ও ব্যারিস্টার আমির-উল-ইসলামের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীরা অ্যানেক্স ভবনের আদালত কক্ষ থেকে প্রধান বিচারপতির চেম্বারের দিকে দৌড়ে যান। ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ ধর মোদাচ্ছিরকে বলে চিত্কার দিতেই আওয়ামী আইনজীবীরা সেদিকে দৌড় দেন। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ জেআর মোদাচ্ছির তখন উপস্থিত ছিলেন না। তারা প্রধান বিচারপতিকে না পেয়ে তার চেম্বার ও প্রধান বিচারপতির আদালতে ভাংচুর চালায়।

এ সময় বেশ কিছু দরজা-জানালার কাচ ও চেয়ার-টেবিল ভাংচুর করা হয়। ছুড়ে মারা হয় প্রচুর আইনের বই। অনেক বই বিকালে এলোমেলো হয়ে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। উপরে ছুড়ে মারা একটি চেয়ার ভেঙে ভবনের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে থাকতে দেখা গেছে। এছাড়া বিভিন্ন আইনের বই তারা তছনছ করেন।

প্রধান বিচারপতির চেম্বারের সামনে রাখা ফুলের টবগুলো একে একে দোতলা থেকে ছুড়ে মারা হয় নিচে। এ সময় তারা প্রধান বিচারপতির চেম্বারের সামনে উড়িয়ে রাখা জাতীয় পতাকা টেনে নিচে নামিয়ে ছিঁড়ে ফেলেন। অ্যাটর্নি জেনারেল ভবন ভাংচুর : প্রধান বিচারপতির এজলাস ভাংচুর শেষে একপর্যায়ে আওয়ামী লীগ সমর্থক বিক্ষুব্ধ আইনজীবীদের একটি অংশ অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ্য করে নানারকম গালি দিতে দিতে তার দফতরের দিকে যান। অ্যাটর্নি জেনারেলের দফতরের নতুন ভবনের কাচের দরজা-জানালাসহ ভবনের বিভিন্ন অংশে ব্যাপক ভাংচুর চালান তারা। বাইরে থেকে আসা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ওই ভাংচুরে অংশ নিলে তাণ্ডব ভয়াবহ আকার ধারণ করে।

তাদের অনেকের হাতেই ছিল লোহার রড ও গজারি লাঠি। আদালতে এ সময় উপস্থিত মামলার বাদী আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল ও অন্যান্য রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে আসা নেতাকর্মীদেরও ভাংচুরে অংশ নিতে দেখা যায়। আইনজীবী সমিতি ভবনের করিডোরে আবদুল জলিলের পেছনে একজনকে পিস্তল উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। কয়েকজনের হাতে চাইনিজ কুড়ালও দেখা গেছে। আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে পার্ক করে রাখা ঢাকা মেট্রো-ঘ ১১-৪৪০৪ নম্বরের একটি নিশান গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় আওয়ামী আইনজীবীরা।

প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে স্লোগান : ভাংচুর চলাকালীন একদল আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবী প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন, ‘মোদাচ্ছিরের চামড়া তুলে নেব আমরা’, ‘চিফ জাস্টিসের দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে’। এছাড়া প্রধান বিচারপতিকে দালাল বলে আখ্যায়িত করে পদত্যাগ দাবি করতে থাকেন আওয়ামী আইনজীবীরা। সুপ্রিমকোর্ট বারের তত্কালীন সভাপতি ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে ঘোষণা করেন প্রধান বিচারপতিকে আর মাননীয় সম্বোধন করা হবে না। তাকে প্রথা অনুযায়ী আর মাই লর্ড বলা হবে না। প্রধান বিচারপতির আদালত বর্জনের ঘোষণা : বিকালে আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীরা এক জরুরি বৈঠকে বসে প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের দাবিতে আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত নেন।

বৈঠক শেষে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক এএম আমিন উদ্দিন বলেন, প্রধান বিচারপতিকে আদালতে প্রতিহত করা হবে এবং তিনি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তার আদালত বর্জন করা হবে। অ্যাটর্নি জেনারেলকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তাকে আদালতে না আসার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। এছাড়া সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে ১৪ দল সমর্থক আইনজীবীদের সমাবেশ আহ্বান করা হয়। আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীদের নেতা অ্যাডভোকেট ইনায়েতুর রহিম বিকালে আইনজীবীদের সমাবেশে ঘোষণা করেন, আমাদের সিদ্ধান্ত হয়েছে চিফ জাস্টিস পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তার আদালত বর্জন করা হবে। রাষ্ট্রপতি পদে থেকে প্রফেসর ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ প্রধান উপদেষ্টার পদ গ্রহণ করার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তত্কালীন ১৪ দলীয় জোট নেতাদের দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানি স্থগিত করা নিয়ে এ তাণ্ডব ঘটানো হয়েছিল।

এদিকে গত ২ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের একটি বেঞ্চে মামলার বিষয়বস্তুর বাইরে গিয়ে বিরোধীদলীয় নেতার দেশপ্রেম নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদ করায় আওয়ামী সমর্থক আইনজীবীরা বাধা দেয়। এ সময় আওয়ামী আইনজীবীরা বিরোধীদলের সমর্থক আইনজীবীদের প্রতি চড়াও হলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা নিয়ে পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে ১৩ আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা করে গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা। পরের দিন ১৩ আইনজীবীর সনদ সাময়িক স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়ে তাদের আদালত অঙ্গনে প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আদেশ দেন একই বেঞ্চ। এ নিয়ে সুপ্রিমকোর্ট অঙ্গনে উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করছে।

আওয়ামী আইনজীবীরা প্রধান বিচারপতির কক্ষে ঢুকে তাঁর চেয়ার ফেলে দেন। জানালা-দরজা ভাঙচুর হয়েছিল এবং অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসে ভাঙচুর করলেন। তখন আওয়ামী আইনজীবীদের বিরুদ্ধে মামলা হলো। এর আগে বিচারপতি এম এ মতিন আদালত অবমাননার রুল ইস্যু করেছিলেন। তিনি আদেশ দেন, সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে কোনো সভা-সমাবেশ হবে না।

সেদিন কিন্তু কিছুই হয়নি। অথচ আজকে তাঁদের হাবভাব, হাইকোর্ট আমরাই অপবিত্র করে ফেলেছি। তাঁরা দুধে ধোয়া। পত্রিকায় ভাঙচুররত যাঁদের ছবি ছাপা হয়েছে, তাঁরা কেউ হাইকোর্টের বিচারক, একজন মন্ত্রিসভায়ও আছেন। কোর্ট ক্যাম্পাসে গাড়ি পোড়ানোর ঘটনাও তাঁরাই ঘটিয়েছেন।

এখন আমার প্রশ্ন হলো--আদালতে হাতাহাতির ঘটনায় যদি জাতীয়তাবাদি সমর্থক আইনজীবিদের গ্রেফতার করা যেতে পারে,তাদের বিচার হতে পারে তাহলে ২০০৬ সালের ৩০ নভেম্বর সুপ্রীমকোর্টে ভাংচুরে নেতৃত্বদানকারী ব্যারিষ্টার রোকনুদ্দিন ,ব্যারিষ্টার আমিরুল ইসলাম,ডক্টর কামাল সহ তাদের সকল সাংগপাংগদের বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করাতে হবে। । এ এম নুরুদ্দিন সোহাগ আইন বিভাগ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।