আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কোন রাজনৈতিকদল আসবে আগামীটার্মে ক্ষমতায়?সময় এসেছে একটি স্হিতিশীল গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার

নি:সঙ্গ নাবিক কোন দলটি আসবে আগামীবার ক্ষমতায়?বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উন্নতি-অগ্রগতির জন্য কোনদলের দ্বারা গঠিত সরকার বেশী বেশী প্রয়োজন? প্রশ্ন:বাংলাদেশে কোন সরকারের আমলে স্হিতিশীল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকাঠামো বজায় থাকে? প্রশ্ন:বাংলাদেশে কোন সরকারের আমলে দুর্নীতির হার অপেক্ষাকৃতভাবে কম থাকে? প্রশ্ন:এদেশে কোন সরকারের আমলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজিয়ে থাকে? প্রশ্ন:প্রাণপ্রিয় সেনাবাহিনীকে রাজনীতিমুক্ত রাখতে কোন সরকারের উদ্যোগ লক্ষণীয়? প্রশ্ন:কোন সরকারের আমলে একইসাথে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোশকতায় উপরোল্লিত মুক্তিযুদ্ধের ৩টি প্রধান লক্ষ্য বাস্তবায়নের দিকে নজর দেওয়া হয়? উত্তর অবশ্যই বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ। বাংলাদেশের জন্ম কিভাবে?উত্তর হল এইসেদিন নিরস্ত্র প্রশিক্ষণবিহীন সিভিলিয়ান সমাজের একটা বড় অংশ সামরিকপ্রশিক্ষণ নিয়ে তৎকালীন বিশ্বের অন্যতম সেরা একটি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে নিজ যোগ্যতায় বিজয় ছিনিয়ে আনার মাধ্যমে। (অন্তত এটুকু পড়ার পর নিশ্চিৎভাবেই বিএনপিওয়ালারা এপোস্ট বর্জন করবেই কেননা তারা এখনও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শবুকে ধারণ করতে পারেনি। ) যুদ্ধ করেই কি দায়িত্ব শেষ?এদেশের জন্মের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কি?একথা নতুন করে বিশ্লেষণ করার প্রয়োজন নেই। শুধু এটুকু মাথায় রাখতে হবে এদেশে যেন আর কখনও কোন একনায়কের অগণতান্ত্রিক শাসন ফিরে না আসে।

সেই সাথে এদেশে যেন সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিস্তার না ঘটে। তবে একটা ব্যাপার জানা প্রয়োজন কারা কারা দেশস্বাধীন হওয়ার এত বছর পরেও মুক্তিযুদ্ধের বিপরীত আদর্শবুকে ধারণ করে এত বছর ধরে আঙ্গুল ফলে কলাগাছ হয়েছে?কারা এখনও মুক্তিযুদ্ধকে এদেশে ভারতের দালালদের গন্ডগোল বলে মনে করে আর ক্ষমতা ধরে রাখতে ফরমালিটী বজিয়ে রাখতে মুখে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কথা বলে?কিন্তু বুকে ঠিকই একাত্তরের সেই স্বাধীনতাবিরোধী বাঙ্গালীবিদ্বেষী আদর্শ মেনে চলে?কারা রাজাকার? সেইসাথে কারা কারা নিজউদ্ভূত জাতীয়তাবাদ ব্যবহার করে রাজাকারদের নিজআশ্রয়প্রশ্রয়ে লালন করতে চায় এবং তার মাধ্যমে বিতর্কিত সমাজকাঠামো প্রতিষ্ঠা করতে চায়?কারা এদেশের জনগণকে বোকা প্রমাণ করতে উঠেপড়ে লাগে?কাদের রাজনৈতিক হাতিয়ার হল জনগণের সাথে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেল করে জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠার নামে যখন যেটা সুবিধা সে ঢাল পিঠে ধারণ করা। আওয়ামীলীগ দমনের আকাংখা: আজকের এদিনে স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার জামাত-শিবিরচক্র আর বিএনপি পরস্পর একাকার হয়ে গিয়েছে আওয়ামীলীগ দমনের উদ্দেশ্যে। আওয়ামীলীগ দমন করতে স্বাধীন বাংলাদেশের ভিত্তিস্তম্ভের উপর আঘাত করতে গেলে অবশ্যই বিএনপি-জামাতজোটকে গণপ্রতিরোধের সম্মুখীন হতে হবে। স্বাধীন বাংলাদেশের ভিত্তিস্তম্ভে আঘাত কখন আসে?যখন এদেশে দাঁড়িয়ে এদেশের পতাকা টেনে ছিঁড়ে ফেলা হয় পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগান দিয়ে।

যখন এদেশের স্বাধীনতা ও জন্মে অবিশ্বাসী জামাত-শিবিরচক্র বিএনপির যোগান দেওয়া শক্তিকে ব্যবহার করে একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ওপর দমন-নির্যাতন চালায়। আঘাত তখনই আসবে একজন দায়িত্বশীল নেত্রী যিনি আবার একাধিকবারের প্রধানমন্ত্রী তিনি দায়িত্বজ্ঞানহীনার মত শাহবাগের গণজাগরণমঞ্চের আয়োজকসহ অংশগ্রহণকারী সকলকে নাস্তিক আখ্যা দেন। তাঁর মতে অংশগ্রহণকারী ক্রিকেটাররাও নাস্তিক অথচ ডবলসেঞ্চুরী করা মুশফিকের তাৎক্ষণিক অভিব্যক্তিতে কিন্তু তা সরাসরি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। উনার উপদেষ্টা দুদু ইন্ডিপেন্ডেন্ট চ্যানেলে ইমরান এইচ সরকারের দাদাকে রাজাকার বলে ইনষ্ট্যান্ট যে থাপ্পড় খেয়েছেন ঠিক সেভাবেই এদের প্রতিটি পদে পদে রূখে দিতে হবে। (যাই হউক মূল কথায় আসি।

এবারে অল্টারনেট পালাবাদল করে লাভ নেই। কেন লাভ নেই বা কিভাবে আবার ক্ষমতাসীন সরকার পুণরায় ক্ষমতায় আসবে তা মোটামুটিভাবে পূর্বেই একটি পোস্টে আলোচনা করেছি। ) বিএনপির ব্যর্থতা:গড়পরতা আওয়ামীবিরোধীতা দেখালেও সামনেরবার আবার ৫বছরের জন্য নির্বাচিত হয়ে যদি আওয়ামীলীগ মায়ানমারের বিরুদ্ধে যেমনটা হয়েছিল তেমনি আগামী বছরে অনুষ্ঠিতব্য মীমাংসায় ভারতের বিরুদ্ধেও সমুদ্রসীমাজয়ের মত করে একটা পারফরম্যান্স দেখাতে পারে তবে এদেশে বিএনপির রাজনীতি ৫০ বছরের জন্য পিছিয়ে যাবে। বিএনপি অবশ্যই তা রূখেদিতে প্রাণপণ লড়ে যাবে তবে অবস্হা দেখে প্রতীয়মান হয় যে অনেকদেরী হয়ে গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই তা আগামীটার্মে ক্ষমতায় আসার স্বপ্নদেখে মন্ত্রী হওয়ার স্বপ্নে বিভোর জয়নাল,নিলোফার,পাপিয়া,ফখরূল গংদের জন্য দূস্বপ্নের মত।

দলগতভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে আওয়ামীলীগের গৃহিত পদক্ষেপসমূহ সবচেয়ে প্রশংসনীয়। এটা অস্বীকার করার উপায় নেই আওয়ামিলীগকে বলা যেতে পারে এদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে সাহসী দল যারা বিদেশীশক্তিকে অন্যান্য দলের তুলনায় চ্যালেঞ্জ করার ক্ষমতা রাখে। বর্তমানে বাইরের দেশগুলোর মধ্যে বিএসএফের বর্ডারকিলিং আমাদের সাথে সবচেয়ে বড় সংঘাত। এ সংঘাতকে আনুপাতিকহারে কমিয়ে প্রয়োজনে সেনাশক্তি বাড়িয়ে ভারতকে চ্যালেঞ্জ করার ক্ষমতা রাখে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ। প্রয়োজনে বড়শক্তিগুলোর সাথে কৌশলী নিরাপত্তাচুক্তি করে ভারতকে ধমক দেওয়ার যোগ্যতা ও সাহসও আওয়ামীলীগের রয়েছে।

মায়ানমারের বিরুদ্ধে সমুদ্রবিজয়,তিস্তার পানির ন্যায্যচুক্তিতে মমতার আপত্তিতে বাংলাদেশেরও প্রবেশ করতেই মুখের উপর মনমোহনকে না বলে দেওয়া জাতির কাছে একটি নতুন আশাপ্রদ ইমেজ নিয়ে এসেছে। এছাড়াও পাকিস্তানকে ৭১ এর গণহত্যার জন্য ক্ষমা ও ক্ষতিপূরণ চাইতে বলা এবং ডি-৮ এর আমন্ত্রণ বাতিল করে দেওয়া নি:সন্দেহে দূর্দান্ত সাহসিকতার পরিচয় রাখে যা নতুনভাবে আওয়ামিলীগকে জাতির সামনে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে এবং যা বিএনপির কেউই কখনও না ভারত না পাকিস্তান কাউকে কখনও ধমক দেওয়ার নজির স্হাপন করতে পেরেছে। আওয়ামীলীগের দক্ষতা: কথা হল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ দেশ পরিচালনায় কতটুকু দক্ষ?গত সোয়া ৪ বছরে ক্ষমতায় থেকে একটি দূর্নীতিগ্রস্হ,গণতান্ত্রিক স্বাধীনতাবিরোধী তালেবানপন্হী একটি প্রশাসনের ছত্রছায়ায় জঙ্গীবাদের বিস্তৃতিবান্ধব একটি প্রশাসনের হাত থেকে মুক্ত করে দেশে সুস্হ গণতন্ত্র ও মুক্তবুদ্ধির চর্চার জন্য যে সুবিশাল সময়টা আওয়ামীলীগের প্রয়োজন তা তারা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। তার জন্য আরেকটিবার তাদের ক্ষমতায় আসা খুবই প্রয়োজন হয়ে দেখা দিয়েছে। আওয়ামীলীগের দলীয় এজেন্ডা কি?বিরোধীমতবাদ স্বভাববশতই তাদের ভারতের হাতে দেশবিক্রীকারী দল হিসেবে আখ্যা দেবে।

দিক তারা সমস্যা নাই। উনাদের নেত্রীর জন্ম যখন ভারতে তখন তারা কি করে আওয়ামীলীগকে ভারতের দালাল বলে সেটা তাদের ভাবার বিষয় কেননা এদেশে জন্ম না নিয়ে এবং এদেশের আলোবাতাসে শৈশব না কাটিয়ে কি করে এদেশের প্রতি একজন মানুষের মমত্ববোধ জাগ্রত হতে পারে তা বিবেচনার বিষয় বিশদভাবে। আওয়ামীলীগের দলীয় এজেন্ডা হল বিরতিহীনভাবে জনগণের প্রতিনিধি দ্বারা নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্হা নিশ্চিৎ করা। এরই ধারাবাহিকতায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্হা বাতিল করে দেওয়া যা একটি চমকপ্রদ অথচ গণতন্ত্রের পথে সুফলপ্রসূ পদক্ষেপ। আমাদের পরস্পরের প্রতি অবিশ্বাস,আস্হা সংকট হতে বেরিয়ে আসতে হবে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসার মানে হল আমরা জাতি হিসেবে সিস্টেমের উপরে আস্হাসংকটে ভূগছি। সেনাশাসন বা সেনাতত্বাবধানের সরকার আসা মানেও প্রায় একই ধরণের কথা। বর্তমান সরকারের সবচেয়ে স্মার্ট ডিসিশনের একটা হল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনস্ত নির্বাচন বাতিলকরণ এবং দেশের ছোটখাট সমস্যা থেকে সন্ত্রাসদমন,প্রশাসন সচল রাখতে বারবার পাকিস্তানী স্টাইলে সেনা হস্তক্ষেপের রাস্তাকে বন্ধ করে দেওয়া। কাজটি বিএনপিও করতে পারত তবে তারা একাজগুলো করতে সংকোচে ভোগে। যার পুরো সুযোগটিই নিয়ে নিয়েছে আওয়ামীলীগ।

যুগের সাথে তাল মিলিয়ে এধরণের সিদ্ধান্ত যে কতটুকু সুদূরপ্রসারী তা অদূর ভবিষ্যতে জাতি বুঝতে পারবে। একটি সুস্হ গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচন করতে এবং সন্ত্রাসদমনে সেনাবাহিনীকে ব্যবহার নি:সন্দেহে পুলিশ ও অন্যান্য আধাসামরিক বাহিনীর অযোগ্যতাকে প্রমাণ করে। সেনাবাহিনী কেন এসব করতে যাবে?ওদের একমাত্র দায়িত্ব আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের যেকোন প্রতিদ্বন্দীকে নিয়ন্ত্রণ করা। অন্যদিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের অর্থও হল আমরা জাতি হিসেবে আস্হাসংকটে ভূগি যা ভবিষ্যতের জন্য ক্ষতিকর। বিরোধীদলের অবস্হান:আশংকাজনক কথা হল আমাদের প্রধানবিরোধীদল বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মীই বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করার ঘটনায় মনে মনে খুশি এবং তাদের রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়াশীলতার অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্যই হল আওয়ামীলীগের প্রধান প্রধান নেতৃবৃন্দকে একই উপায়ে "সাইজ" করার ফ্যান্টাসীতে ভোগা এবং প্রয়োজনে সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করে এবাহিনীকে বিতর্কিত করে তোলা।

এধরণের একটি দল যখন স্বাধীন বাংলাদেশে গণতন্ত্রের লেবাসে রাজনীতি করে তখন জামাত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের পাশাপাশি এটাও ভাবার বিষয় এসে যায় বিএনপিকেও আইন করে নিয়ন্ত্রণ করা যায় কিনা! খালেদাজিয়া বলেছেন বিএনপিনেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট ক্ষমতায় গেলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবেন আসেন আমরা একটু গবেষণা করি কিভাবে মাননীয় নেত্রী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবেন। ধরে নিই নিজামী,মুজাহিদকে তাদের হারানো মন্ত্রণালয় এবং সাকা ভাইজানরে সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টার পদে পূণর্বহাল করে যথারীতি তারেক ভাইজান একই মায়ের পেটের দুইভাই থিওরী দেশব্যাপী তৃণমূলের সাংগঠনিক সংস্কারের নামে বলে যাবেন আর ম্যাডাম মন্ত্রীপরিষদের সভায় রাজাকারদের অবহিত করবেন যে দেশব্যাপী গণদাবী,গণঅভিযোগের ভিত্তিতে প্রমাণিত হয়েছে তারা রাজাকার। যেহেতু ব্যর্থ বাকশালীদের রায়ের বিরুদ্ধে জনগণ মাঠে নেমে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের অসমাপ্তকাজ সমাপ্ত করতে বিএনপিকে ক্ষমতায় এনেছে অত:পর সাকা,নিজামী,সাঈদী,মুজাহিদরা নিজেদের রায় নিজেরা লিখবেন। যে রায়ে উনারা নিজেরাই বিচারক,নিজেরাই পুলিশ,নিজেরাই জল্লাদ। একজন জল্লাদ হবেন তো পরেরজন ফাঁসির কাঠগোরায়।

তবে শেষ রাজাকারটি বেচে থাকলে তার বিচার কে করবে?পুরো বিচারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে দেশনেত্রীর উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করবেন সম্প্রতিবিশিষ্টসেলিব্রেটি বনে যাওয়া কাদেরমোল্লা সাহেব। এছাড়াও একাজে বিশেষ সহায়তাপ্রদান করবে হালের সবচেয়ে বিক্রিত দৈনিক আমার পাকিস্তান থুক্কু মেরে ওয়াতান এবং সহায়তা করবে মেহনত,নয়া আসমান টাইপ নিরপেক্ষ গণমাধ্যমসমূহ যেহেতু প্রমাণ হয়ে গেল রাজাকারদের বিচার বিএনপি করবে অতএব একে রেফারেন্স হিসবে ব্যবহার করা হউক জাতি হিসেবে আমাদের কি করা উচিৎ? ১। গণতান্ত্রিক ব্যবস্হার প্রতি আস্হা রাখা। ২। একাত্তরে যুদ্ধপরাধের দায়ে অভিযুক্ত কোন ব্যক্তি এবং সংগঠনকে স্বাধীন বাংলাদেশের ক্ষমতার স্বাদ নিতে না দেওয়া।

এক্ষেত্রে গণজাগরণমঞ্চ নি:সন্দেহে একটি কাজের জিনিস ৩। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তাঁর প্রাপ্য সম্মান দেওয়া। তিনি আমাদের স্বাধীনতাসংগ্রামের নেতৃত্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। উনি আওয়ামীলীগের নিজস্ব কোন সম্পত্তি নন। স্বাধীনতার এত বছর পরেও আমরা আমাদের পিতাকে উপযুক্ত সম্মান দিতে পারছিনা তা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য লজ্জার।

৪। জয় বাংলা স্লোগানটি মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান। এটি কেউ উচ্চস্বরে উচ্চারণ করলে রাজনীতি আসবে এমনটা ভাবার কারণ নেই। মুক্তিযোদ্ধাদের স্লোগান ছিল জয় বাংলা!!আমার নেতা তোমার নেতা শেখ মুজিব শেখ মুজিব!!! ৫। মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান একজন সেক্টর কমান্ডার।

উনি মুক্তিযুদ্ধের আর পাঁচজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির মতই একজন ঠিক যেমনটা অন্যান্য সেক্টর কমান্ডারগণ এবং জেনারেল ওসমানী। উনি নি:সন্দেহে মেধাবী ছিলেন তবে উনাকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিদ্বন্দী হিসেবে দাঁড় করিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করার চেষ্টা করবেন না। উনি জীবদ্দশাই নিজেকে কখনই বঙ্গবন্ধুর সাথে তুলনা করে কোন উক্তি তো দেন নি বরং উনার অনেক বিতর্কিত কর্মকান্ড রয়েছে যা স্বীকার করার জন্য জাতি হিসেবে আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। আমাদের জাতিসত্তার পরিপূর্ণতা প্রদান এবং জাতিকে পরাধীনতার নাগপাশ থেকে মুক্ত করতে সময় এসেছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একচেটিয়াভাবে রাষ্ট্রকে সাজানোর। নাহলে এদেশের জন্ম ব্যর্থ হয়ে যেতে পারে।

আমরা এদেশে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের বিপরীতে কোন রাজনীতি দেখতে চাইনা। হিংস্র হায়েনাদের ষড়যন্ত্র ও কিছু বিবেকবুদ্ধিহীন রাজনৈতিক দলের রাজাকারদের প্রতি অবিরাম দালালীর মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের আবেগ নিয়ে ছিলিমিলি খেলা রূখে দিতে হবে। আমাদের প্রয়োজন আরেকটি ৭ই মার্চ। আমাদের প্রয়োজন আরেকটি ২৬শে মার্চ এবং তারই ধারাবাহিকতায় আরেকটি ১৬ই ডিসেম্বর। জয় হউক জনতার।

জয় বাংলা। জয় বঙ্গবন্ধু। বাংলাদেশ চিরজীবি হউক।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।