আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হাউ টু কিল বিলাই এট বাসর রাত বিয়াফক গবেষনাধর্মী টেকি পুষ্ট কঠিন ভাবে ২১+++

টেনে হিঁচড়ে ফিরিয়ে নিয়ে যাবো ফেলে আসা অতীতের দিনগুলোতে। বাতাসের চলার গতি রুদ্ধ করে বের করে আনবো ধূলো জমা বিবর্ন সময়টাকে। হাতের মুঠোয় ধরে থাকা ধারালো ছুরির ফলা দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে রক্তাক্ত করবো অসহায় মুহূর্তগুলো। তারপর... অট্টহাসিতে ফেটে পড়বে মুখোশের অন্ত সেই ছুডু বেলার কথা, বিটিভি তে ১ টা বাংলা ছিনেমা দেখছিলাম। ছিনেমার নাম "পালাবি কোথায়"।

অনেকেই হয়ত ছিনেমা টা দেখছেন! যাইহোক ছিনেমা দেইখাই আমার মাথায় বিলাই ঢুকছে, বিলাই টা বড়ই বজ্জাত, খালি বইয়া বইয়া মিউ মিউ করে। তবে এমুন মিউ মিউ করার কারন ১ টা অবশ্য আছে। ঐ ছিনেমার একটা গান আছে, লাইনগুলো এরকম " ও তোমরা যে যাই কর ভাই... বাসর রাইতে বিলাই মারা চাই"। গানের দৃশ্যে বস্তির মধ্যে বিয়ে হচ্ছে আর সেখানে চম্পা এবং আলিরাজ ব্যাপুক নাচাকুদার মধ্যে দিয়া বলেই যাচ্ছে বিলাই মারা চাই বিলাই মারা চাই। আলিরাজের দেহ মাশাল্লাহ বিশাল ছিল এই লোক বিলাই রে তুইলা এক আছাড় দিলেই বিলাই মইরা ভ্যাটকাইয়া যাইব, এই বিষয়ে কোন সন্দেহ ছিল না।

সে যাই হোক, এই গান শুনার পর থেকেই মাথায় বিলাই ঢুকছে, সারাদিন খালি মিউ মিউ করে। মাথার ভিতরে বইসা বইসা বিলাই টা চিন্তা করে বাসর রাইতে আবার ক্যাম্নে বিলাই মারে!!??? কত রাইতের ঘুম হারাম করছি বিলাই মারার এই কাহিনী খুঁজতে গিয়া, তার ইয়ত্তা নাই। খালি কি এই এক প্রশ্ন? পৃথিবীতে এতো সব জন্তু জানোয়ার থাকতে বাসর রাইতে বিলাই কেন মারতে হইবে? এইটা চিন্তা করতে করতেও মাথা আউলাইয়া গেছিলো। যেহেতু বাসররাত হয় রাতের বেলায় তাই বউ জামাই দুইজনে মিল্লা বিলাই না মাইরা মশা মারলেও কামে দিবো, রাতের বাকি অংশ শান্তিতে ঘুমাইতে পারব, এই কথা মাথায় আসেনা কেনু কারো? আরেকটা কথা, বিলাই যদি মারতেই হয় তাইলে এতো মারামারির কি দরকার? কইষ্যা ১ টা লাত্থি মারলেই তো হয়! রাস্তা ঘাটে কুত্তা দেখেলেই লাত্থি মারতে মঞ্চায় আমার, তাই ভাবছিলাম আমি বাসর রাইতে কুত্তা মারমু। মারতে যদি নাও পারি তাইলে ১ টা লাত্থি অন্তত মারমুই।

মাথার ভিতরের বিলাইয়ের তাড়নায় তাড়িত হয়ে বাসর রাতে বিলাই মারার উপায় বাহির করিতে ব্যাপুক গবেষণা করার পর বেশ কিছু সিদ্ধান্তে উপনীত হইলাম। আমরা চাইলে একা একা বিলাই মারিতে পারি আবার দুজনে মিলেও বিলাই মারা সম্ভব। এজন্য আপনাকে বাসর ঘরে প্রবেশ করেই দরজা বন্ধ করে দিতে হবে যেন বিলাই পালিয়ে যেতে না পারে। মনে রাখবেন বাসর রাত কিন্তু বার বার আসে না, বিলাই যে করেই হোক মারতেই হবে। বিলাই কে পালাইতে দেয়া যাবেনা।

আরেকটা কথা যেহেতু মারামারির বিষয়, তাই বিলাই আপনি প্রোটেকশন নিয়েও মারতে পারেন আবার প্রোটেকশন ছাড়াও মারতে পারে, সেটা নির্ভর করে আপনি বিলাই মারা থেকে কতটা আনন্দ পেতে চান তার উপরে। যেহেতু বাসর রাতে প্রথম বার মারবেন তাই প্রটেকশন সহ মারাই ভালো। বিলাই মারিবার পূর্বে নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করে নিতে হবে, এক্ষেত্রে আপনি বিদ্রোহী কবি নজরুল কে অনুসরণ করতে পারেন। নিজেকে বিলাই মারার জন্য উজ্জিবিত করতে আপনি... আমি সেইদিন হব শান্ত, বাসর রাতে বিলাই মারিয়া যেইদিন হব ক্লান্ত আমি সেইদিন হব শান্ত... এই কবিতা মনে মনে পড়তে পারেন। আপনি চাইলে দেশি বিলাই মারতে পারেন আবার বিদেশি বিলাইও মারতে পারেন।

সেটা নির্ভর করে আপনি কেমন বিলাই চান তার উপর। বিলাই মারার জন্য আপনাকে দৌড় ঝাঁপ করিতে হইতে পারে, তাই বিয়ের শেরওয়ানি পায়জামা টা খুলে নিয়ে লুঙ্গি পরে নেয়াটাই যুতসই হবে। লুঙ্গি পড়েই সবার আগে যে কাজ টা করবেন সেটা হল কোমরে শক্ত করে গামছা বেঁধে নিবেন যেন দৌড় ঝাঁপের সময় লুঙ্গি খুলে না যায়। এবং এরপর রুমের ভিতরে বিলাইয়ের অবস্থান নিশ্চিত ও নির্নয় করে নিবেন তাতে কষ্ট কম হবে। বিলাইয়ের অবস্থান দেখেই ঘরের লাইট বন্ধ করে দিবেন, কারন অন্ধকারে বিলাই মারলে আপনার প্রিয় মানুষের কাছে আপনি নিজেকে একজন চতুর বিলাই নিধনকারী হিসেবে উপস্থাপন করতে পারবেন।

শেষ কথায় ছোট্ট করে বলে দেই বিলাই কোথায় পাবেন, আপনি চাইলে রাস্তা ঘাটে অনেক বেওয়ারিশ বিলাই আছে ওইখান থেকে ১ টা বিলাই পছন্দ করে বাসর ঘরে খাটের পায়ার সাথে বেঁধে রাখতে পারেন, অথবা কাটাবনের বিড়ালের দোকান থেকে বিলাই টা কিনতে পারেন, যেহেতু প্রথমবার বিলাই মারবেন তাই কাটাবন থেকে বিদেশি(যদি উচ্চাবিলাসি হয়ে থাকেন)/ তবে দেশি বিলাই কেনাই ভালো! এখন নিজের পছন্দ মতো বিলাই কিনুন এবং উপরের পদ্ধতি অনুসারে নিশ্চিন্তে বিলাই মারুন! অবলা প্রানীটাকে না মেরে আদর করে রেখে দিলেই মনে হয় সবচেয়ে বেশি ভালো হয়। কি বলেন? কারন পোষা প্রানী হিসেবে অনেকেরই বিলাই অনেক পছন্দের। সবাই ভালো থাকবেন এবং বাসর রাতে অবশ্যই বিলাই মারবেন। অ.ট: ব্লগার শশী হিমু ভাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ পোষ্ট এডিটিংয়ে সাহায্য করার জন্য। ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।