যে মুখ নিয়ত পালায়......। । ইফতারের আগে আরেকটা জ্ঞানী লেখা পড়লাম। (http://on.fb.me/1azkQdY)
এখানে লেখকের মুলকথা হুমায়ুন আহমেদের লেখায় রাজনীতি নাই। যদিও তিনি এরশাদ পতন আন্দোলনের উত্তাল সময়ে বসবাস করেছিলেন।
এখন প্রশ্ন-১- এরশাদ পতনের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে আরো যেসব বড় বড় লেখক ছিলেন তারা কি কি মহান উপন্যাস লিখেছেন? একটু জানতে চাই। পড়ব।
প্রশ্ন-২- লেখক বুঝাইছেন স্বৈরাচার বিরোধী গণ আন্দোলনে মধ্যবিত্তের অংশগ্রহণ ছিল কিন্তু হুমায়ুন আহমেদের লেখায় এই মধ্যবিত্তরে পাওয়া যায় না। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন এ কোন দেশের মধ্যবিত্ত!
এখানে আমি টাশকি খেলাম। মধ্যবিত্ত আসলে কি, কাদের বোঝায়? আমার জানামতে তো আমাদের মধ্যবিত্ত কোন আন্দোলনে থাকে না।
আন্দোলন ফান্দোলন যা করে তা এই ছাত্ররা, রাজনৈতিক দল। মধ্যবিত্ত ঝামেলায় জড়ায় না।
একেবারে মধ্যবিত্ত আন্দোলনে জড়িয়ে যায় এমন আন্দোলন আসলেই হইছে নাকী?
প্রশ্ন-৩- হুমায়ুন আহমেদ পাঠক সৃষ্টি করেছেন মেনে নিয়েও এই পাঠক রে “” এ আটকাইয়া লেখক বলেন এই পাঠকদের বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ট মণিরত্ন গুলিতে অরুচি।
কথা হল, কোনটা মণি রত্ন আর কোন টা গু এটা কোন মাণদন্ডে বিচার করা হয়? শিখতে চাই আর কি!
হুমায়ুন আহমেদের বইয়ে বিভিন্ন লেখকের বই, লেখকের নাম,বৈজ্ঞানিক থিওরী ইত্যাদির উল্লেখ থাকে। যেমন দেয়ালেও আছে ইছামতীর নাম।
এখন এই সব নাম দেখে এই বই গুলোর প্রতি যেকোন পাঠক আকৃষ্ট হইতে পারে। তারা হুমায়ুন আহমেদ দিয়া শুরু করে পড়তে পারে কাফকা, মার্কেজ, অরহান পামুক ইত্যাদি। কেউ ম্যাজিক মুনশী পড়ে খুঁজে বের করতে পারে তারানাথ তান্ত্রিকের পিডিএফ।
তো এইখানে কি লেখক হুমায়ুন আহমেদের কৃতিত্ব নাই? জনাব, কিছুটা ও কি নাই ?
প্রশ্ন-৪- সাহিত্য কি?
লেখকের কথা, হুমায়ুন আহমেদ যা রচনা করে গেছেন তার ১৪ আনাই সাহিত্য নয়।
তাহলে নিশ্চয়ই সাহিত্য জটিল কিছু? শহীদুল জহীরের চতুর্থ মাত্রা গল্পের মত জটিল?
রাজনীতি নাই নাকী হুমায়ুন আহমেদের লেখায়।
হিমুর রাশিয়ান পরীতেও দেখা যায় ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে স্পষ্ট লেখা। হার্ভার্ড পিএইচডি বল্টু ভাইয়ে দেখা যায় ভিকারুন্নেছার পরিমলের মত চরিত্র এবং তার শাস্তি বা পরিণতি, যদিও একটু অন্যভাবে।
আমি যদি ধরেই নেই, রফিক সাহেব ফালতু লেখক, তাইলে তিনি যাই লিখুন না কেনো, গুরুগম্ভীর নোট একটা লেখে জাতিরে জানায় দেয়া যায় কেনো, কীভাবে সে ফালতু।
একচক্ষু আলোচনা আর কি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।