আপাতত স্ট্যাটাস দেবার মত স্ট্যাটাস খুজছি .........ফেবুতে https://www.facebook.com/stimulators তে আছি ।
বাঁশ !!! বাঁশ কি? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চান ? সাস্ট এর সিএসই ডিপার্টমেন্ট এর পরীক্ষার পর শিক্ষার্থী দের সাথে কথা বললে পেয়ে যাবেন আপনি সেই প্রশ্নের উত্তর ! তারপরও কিছু না জানা কথা লিখব পাঠকদের সুবিধার্থে। বাঁশ আর কিছুই না, এটা আসলে ঘাস, কিন্তু দুর্ঘটনা বশত এর সাইজ টা বিশাল আকার হয়ে গেছে । বাঁশের প্রজাতি সংখ্যা ১৫০০ . কোন কোন প্রজাতির বাঁশ এর দৈর্ঘ্য ১৩০ ফুট এরও বেশী হতে পারে। বাঁশ এর বৃদ্ধি যে কোন উদ্ভিদ থেকে বেশী।
দেখা গেছে কোন কোন প্রজাতির বাঁশ দৈনিক দেড় থেকে ২ ইঞ্চি বৃদ্ধি পায়। হয়তো সে জন্যই পরীক্ষায়-বাঁশ দেয়ার জন্য বাঁশ কে বেছে নেয়া হয়েছে। যে কোন উদ্ভিদের চেয়ে প্রতিকূল পরিবেশে বাঁশের টিকে থাকার সামর্থ্য বেশী। ১৯৪৫ এ হিরোশিমা তে পারমানবিক বিস্ফোরণের পর প্রথম যে সবুজ উদ্ভিদ জন্মে ছিল তা ছিল আখাওয়ালা বাঁশবাঁশ এর ব্যবহারিতা ব্যাপক, কাগজশিল্প, ঔষধশিল্প সহ পরীক্ষা তে পরীক্ষার্থী দের নাস্তানাবুত করতে কাচামাল হিসেবে এটি প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বাঁশ অতি উপাদেয় খাদ্য হিসেবে অনেক দেশেই [বিশেষ ভাবে চীন] প্রচলিত ।
কচি বাঁশে ২২% প্রোটিন পাওয়া যায়। চীনারা সকালে ঘুম থেকে উঠে একবার বাঁশ খায়, রাতে ঘুমুতে যাবার আগে আর একবার বাঁশ খায় । বাঙ্গালীরা বাঁশ খেতে একদম পছন্দ করেনা, তবে অপরকে খাওয়া তে পছন্দ করে কারণ বাঙ্গালী জাতি ভীষণ অতিথিপরায়ণ। তাই এরা সুযোগ পেলেই অপরকে বাঁশ দিতে এক ইঞ্চিও ছাড় দেয়ানা। বেড়া বানাতে বাঁশের জুড়ী মেলা কঠিন।
প্রস্ন হতে পারে what is বাঁশের বেড়া ?? – Definition অফ বাঁশের বেড়া is-
Some Bamboo খাড়া খাড়া, other Bamboo পাতাল করা, তার উপর পেরেক মারা, it is called বাঁশের বেড়া।
বাঁশ হল পাণ্ডার সবচেয়ে প্রিয় একটি খাদ্য। তবে গোপন এবং নির্ভরযোগ্য সুত্রে জানা গেছে, টার্মটেস্ট ও পরীক্ষা তে বাঁশ খেতে খেতে সাস্ট সিএসই ডিপার্টমেন্ট এর শিক্ষার্থীদের খাদ্য তালিকার অপরিহার্য অংশ হয়ে গিয়েছে বাঁশ। বিশ্ববাসীকে অবাক করে দিয়ে তারা অনায়েসে বাঁশ হজম করে ফেলছে ! বাঁশ খাওয়ার ফলে শিক্ষার্থীদের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসছে কুংফু-পান্ডার মত সম্ভাবনাময় ফাপরবাজ-পান্ডা,ঝোলবাজ-পান্ডা, ACM-পান্ডা, আতেল-পান্ডা, গাতেল-পান্ডা সহ নাম না জানা অসংখ্য পান্ডা ! অতিরিক্ত বাঁশ ভক্ষনের ফলে ধারনা করা হচ্ছে তাদের জিনমে পরিবর্তন দেখা দিতে পারে। এটা নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে সাস্ট এর জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বয়োটেক. এর কিছু মেধাবী-তরুন শিক্ষার্থী।
তারা সেই শিক্ষার্থীদের DNA এর সাথে জায়ান্ট পান্ডার DNA এর সাদৃশ্য খুজে পেয়েছে। পর্যন্ত তারা ভীষণ গুরুত্ব পূর্ণ কিছু তথ্য আবিস্কার করতে সক্ষম হয়েছে – তারা গবেষণায় দেখেছে পান্ডা খায় কচি বাঁশ এর বিপরীতে ওই শিক্ষার্থী গুলো নিয়মিত খাচ্ছে আখাওয়ালা বাঁশ! তারা সেই দুর্ভাগা শিক্ষার্থী দের DNA নমুনা ICZN কর্তৃপক্ষ এর কাছে পাঠিয়েছে উচ্চতর গবেষণার জন্য। ICZN এটিকে গুরুত্তের সাথে নিয়েছে , তারা ধারনা পোষণ করেছে শিক্ষার্থীরা এভাবে বাঁশ খেতে থাকলে সময়ের সাথে ধীরে ধীরে একদিন তারা পুরোপুরি পান্ডা তে পরিনত হয়ে যেতে পারে। এটা তারা মানব জাতির জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচনা করছে । তাই তারা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছে এ ব্যাপারে।
অরজুনতলার আন্তর্জাতিক ফাপরবাজ কমিটির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সদস্য জানিয়েছে আগামী সপ্তাহে আন্তর্জাতিক মানাধিকার সংস্থা থেকে তিন সদস্যার একটি তদন্ত কমিটি সাস্ট এ আসার কথা রয়েছে। আরো জানা গেছে MIT, হার্ভার্ড, ক্যালিফোর্নিয়া সহ আরও কিছু ইউনিভারসিটি তে বাঙালি প্রবাসী শিক্ষারথীরা মানব বন্ধন করে, সাস্টের শিক্ষার্থী দের এভাবে পরীক্ষায় বাঁশ দেয়ার মৌন প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং সমবেদনা প্রকাশ করেছে।
সব শেষ এ, পাঠকের উদ্দেশে খুবই সহজ কিন্তু হৃদয়বিদারক একটি ACM problem দিলাম, সাস্ট এর বাঁশ বাগানে বাঁশ এর গড় দৈর্ঘ্য ১৩০ মিটার, সিএসই ডিপার্টমেন্ট এ শিক্ষার্থী সংখ্যা ৬০ জন, একটি পরীক্ষায় যদি ও কেবলযদি এরকম একটি বাঁশ দেওয়া হয় প্রতি শিক্ষার্থীর গড় বাঁশ খাওয়ার পরিমান কত? [ব্যকট্র্যাকিং দিয়ে সলভ করতে হবে, নাইলে TLE ও বাঁশ দুটই একসাথে খেতে হবে ]
মূল লেখা এখানে -অর্জুনতলা . কম ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।