তুমি জাননা আকাশ থেকে রোদ্দুর এলে কার ঘরে,আমার মনের আকাশ জুড়ে ও ঝিকিমিকি রোদ থরে থরে.... চোখ মেললেই রাশি-রাশি সোনা,বন্ধ করলে অযুত-নিযুত হীরে-পান্না। স্বপ্ন দেথতে হয় নিজের মতো করে,এটাই নিয়ম স্বপ্ন দেখার। আমি ও দেখি আমার মতো করেই...
'৫২' এর রক্তমাখা শার্ট আমাকে ক্রুদ্ধ করে,'৭১' এর রাইফেল আমাকে আলোড়িত করে তুমুল। আমি দেখি একজন আসাদের শার্ট,রাজপথে লুটিয়ে পড়া নূর-হোসেনের উদোম শরীর'স্বৈরাচার নিপাত যাক,গনতণ্ত্র মুক্তি পাক'।
আমি দেখি 'সিডর' এর তান্ডবে লন্ড-ভন্ড জনপদে নূতন প্রাণের জোয়ার,কি এক অসাধারণ প্রাণ শক্তি নিয়ে বেঁচে আছি আমরা!মুগ্ধতার ভাষা হারিয়ে ফেলি আমি,'কি সুন্দর,কি সুন্দর' বলে চেঁচিয়ে এর কতটুকু ই বা প্রকাশ করা যায়!একুশের আন্তর্জাতিকায়ন উপভোগ করি বিহবলের মতো,ফিশফিশানো উচ্চারণে বলি,'আমরা তোমাদের ভুলবোনা'।
আমি আশাবাদী হই '১৫' আগষ্টের খূনীদের বিচার হওয়া দেখে। মনে হয়,নির্মমতার শিকার প্রতিটি আত্মার শান্তি নিশ্চিত হল। মুজিব পরিবারের অংশ হয়ে অনবরত বুঝার চেষ্টা স্বজন হারানোর ব্যাথা কত তীব্র হতে পারে!খুনীদের বিচার প্রক্রিয়ার দ্রুততা এবং স্বচ্ছতায় প্রসন্ন বোধ করি।
দেশে আইনের শাষণ প্রতিষ্টা হল বলে তৃপ্তির ঢেকুর তুলে বলি,'তোমাকে ধন্যবাদ হাসিনা,জাতি আজ মুক্তি পেল এক লজ্জাজনক অধ্যায় থেকে'।
যখন তাকে হত্যা করে তার লাশের টুকরো টুকরো অংশ গুলো ছড়িয়ে দেওয়া হল মেঘনার বুকে,আমার চোখে নুরুল ইসলাম তখন আর সাধারন কোন মানুষ থাকেন না;তিনি হয়ে যান আর একজন শেখ মুজিব,তিনি হয়ে যান অন্যায়ের শিকার হওয়া আর ও একজন মানুষ।
তার সন্তান হয়ে যায় শেখ রাসেল আর তার অসহায় স্ত্রীর নাম বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব। ন্যায় বিচারের আশায় যাদের চোখে জমে চিক-চিক পানি,নিরাপত্তা হীণতায় যাদের কে ছাড়তে হল তাদের বাস্তু ভিটা।
আদালতের বিচারে খুনী বিপ্লবের ফাঁসির রায় নুরুল ইসলামে কে ফিরিয়ে দেবেনা তার পরিবারের কাছে,যেমনটি দেয়নি মুজিব পরিবারের কাওকে হাসিনা কিংবা রেহানার কাছে। কিন্তু,বাংলাদেশে ন্যায়র শাষণ প্রতিষ্টা হওয়ার এই ঐতিহাসিক রায়গুলো আলোড়িত করে আমাকে। স্বপ্নবাজ আমি ডুবে যাই সুখস্বপ্নে....
'সবগুলো কলঙ্ক মুছে একদিন আমরা ও হব সভ্যতার সম-অংশীদার'।
নাহ!আমাদের আর সভ্য হওয়া হয়ে উঠেনা। সেই খুনি আসামী বিপ্লব একদিন পেয় যায় রাস্ট্রপতির অনুকম্পা,ক্ষমা করা হয় তাকে তার কৃতকর্মের জন্য। রাস্ট্রপতির বদান্যতায় মুগ্ধ হয়ে তাকে জিগ্গেস করতে ইচ্ছা হয়, '২৫'আগষ্ট এ গ্রেনেড হামলায় নির্মম ভাবে নিহত হওয়া তার স্ত্রীর খুনী রাও তার দয়ার সাগরে স্নান করতে পারবে কিনা?'১৫' আগষ্টের বিচার প্রক্রিয়াধীন খুনি রা কি পাবে হাসিনার সহমর্মিতা?
না।
নুরুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীর বাবা ছিলেন না,ন্যায় বিচার পাওয়ার অধিকার তার পরিবারের থাকার কথা ও না।
দু্রাষ্ট্রপতির ক্ষমা ঘোষনা ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।