বয়স তখন আমার পাঁচ কিংবা ছয়। কোন এক সকালে রান্না ঘরের পেছনে থেকে টুনটুনি গান শুনতে পেলাম। ছোট্ট শিশু, কৌতুহলী মন। ছুটলাম রান্না ঘরের পেছনে। গিয়ে দেখি দুটি টুনটুনির ছানা তাদের মায়ের খাবার আনার অপেক্ষা করছে।
জানি না কতক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলাম, ছানাগুলোর মা আসছিল না তাই আমি আর আমার দুই ভাইবোন মিলে এক মুঠো চাল এনে দিয়েছিলাম। দেখতে দেখতে ছানা দুটি আমাদের চোখের সামনে মৃতু্্যর কোলে ঢলে পড়ল। আমি আজও সেই দুঃসহ স্মৃতি বয়ে বেরাচ্ছি। সময় বয়ে গেছে অনেক । আজও সেই সকালের কান্নার শব্দ ভেসে আসে।
ভুলতে পারিনি, ভুলিনি।
বেশ কয়েক বছর পরের ঘটনা, গুলাইল দিয়ে পাখি শিকার করতে আমার বন্ধুরা ব্যাপক এক্সপার্ট। আমারও খুব শখ যে, আমিও দু-চারটা পাখি যদি মারতে পারতাম! একদিন এক দুর্ভাগা হলুদ ঠোঁট শালিক পাখি আমার গুলাইলের রেঞ্জে এসে পড়ায় টুক করে গুলতি চালিয়ে দিলাম। পাখিটা মরে নি তবে, ওর চোখটা মুহূর্তেই রক্তাক্ত হয়ে গেল। সেই থেকে আর কোনদিন কোন পাখির গান শোনার সাহস পাই নি।
আজ জীবনের এতটা ম্লান বসন্ত কেটে গেছে, শুধুমাত্র একবার টুই টুই টিপ শোনার জন্য।
জানি না ধানসিড়ির দেশে গিয়ে মনের এই ক্লান্ত সকাল, কোনদিন সোনালি আলোয় ভাসবে কি না?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।