আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফ্রীল্যান্সারদের কষ্টার্জিত অর্থে ১০% কর আরোপ করা উঠিয়ে দেওয়া হোক

............................................................................................................................................................................................................................................................... সম্প্রতি NBR বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদের কষ্টার্জিত রেমিটেন্সের উপর ১০% কর বসিয়েছে।  ফ্রিল্যান্সিংয়ের অর্থের উপর ১০ শতাংশ করারোপ করে খুব খারাপ কাজ করলো NBR। খবরটা সত্যি দুঃখজনক এবং খুবি হতাশাজনক। এমনিতেই আমাদের দেশে যারা ফ্রিল্যান্সিংয়ে যারা যুক্ত আছেন তাদের সমস্যার কোন শেষ নেই, তার উপর এই কর নামক নতুন বোঝা। একজন ফ্রীল্যান্সারের জন্য আমাদের বাংলাদেশে কোন প্রাতিষ্টানিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই।

নিজ উদ্দোগে প্রতিটি ফ্রীল্যাঞ্ছার ইন্টারনেট ব্যবহার করে কাজ শিখে, ঠিক মত পায়না নেট স্পিড ও, তার উপর এটা এক ধরনের জগন্য অত্যাচার। এতে করে ফ্রিল্যান্সিংয়ে অনেকেই আগ্রহ হারাবেন। টেকটুইটস কমিউনিটি এর প্রতি তীব্র্য নিন্দা জানায়। সরকারের এই উদ্দ্যেগকে সমর্থন করা যায় না! সরকার এটা করতে পারে না! চাকুরীর ক্ষেত্র সৃষ্টি না করে নিরিহ ফ্রীল্যান্সারদের উপর ট্যাক্স আরোপ করা উচিত নয় বলে মনে করি। আর যদি ট্যাক্স দিতেই হয় তবে সম্পূরক হিসাবে কিছু সুবিধা যেমন: কম খরচে প্রশিক্ষন, সল্পমূল্যে দ্রুত গতির ইন্টারনেট, বিদ্যুত সুবিধা সহ একজন ট্যাক্স পেয়ার হিসাবে রাষ্ট্র থেকে যে সকল সুবিধা দেওয়া হয় তার সবই প্রদান করতে হবে।

তার আগে আমরা মানব না। ডিজিটাল বাংলাদেশের একটা প্রধান হাতিয়ার হচ্ছে ফ্রীল্যঞ্ছাররা। তাদের সমস্যা সৃষ্টি করে দেশ কোন দিনই ডিজিটাল হতে পারবে না। সরকারের এই মূর্খ সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানাই! তাছাড়া এ করের কারনে এখন দেশে হুন্ডির পরিমাণ বেড়ে যাবে, দেশের টাকা দেশে আসার আগেই বিদেশে পাঁচার হয়ে যাবে। তাহলে লাভ হচ্ছে নাকি ক্ষতি হচ্ছে? এর আগেও পেপাপ বাংলাদেশে আসতে চাইছে কিন্তু সরকার নিষেধ করছে, আর ভুক্তভোগী হাজার হাজার ফ্রীল্যাঞ্ছার।

বাংলাদেশে বেকার সমস্যা একটি প্রধান সমস্যা। সরকার বেকার তরুনদের কর্মসংস্থানের চিন্তা না করে যারা নিজেদের বেকরত্ত্বকে গোছানোর চেষ্টা করছে তাদের থেকে কিভাবে বেশি করে কর নেয়া যায় সেই চিন্তায় ব্যস্ত। একজন ফ্রিল্যান্সারকে ১০০ ডলার কামাতে কম-বেশি নিচের খরচগুলো দিতে হয়: ৫-১৫% ই সাইটের ফি ২-৫% উত্তোলন ফি ১-৫% পেমেন্ট গেটওয়ের ফি ৩-৫% ব্যাংকে উত্তোলন ফি ১-৩% কারেন্সি কনভার্সনে হারানো ১-২% হারায় ব্যাংকের রেট কম দেয়ায়। সবমিলিয়ে ১২%-৩৫% পর্যন্ত হারাতে পারে। তাছাড়া টাকা নিয়ে আসতে যে কষ্ট সয্য করতে হয় তার উপর ট্যাক্স।

এখন সরকারের ১০% ট্যাক্স কাটার জন্য সেটা হবে ২২-৪৫% পর্যন্ত। একজন ফ্রীল্যাঞ্ছারই জানে তার ১০০ ডলারের জন্য কত প্ররিশ্রম করতে হয়। তাহলে এখন একজন বেকার কিভাবে নিজের বেকারত্ত্ব দূর করবে? কোথায় সরকার উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ ফ্রিল্যান্সার তৈরি করবে, তা না করে তরুনদের নিজেদের প্রচেষ্টাকেই বাধা দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। এটাকে মেনে নেওয়া যায় না। সকল ফ্রীল্যাঞ্ছার এক হয়ে এর প্রতিবাদের আহবান করছি।

এটি একটি কপি পেস্ট পোস্ট মুল লেখাটি এখানে..... ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.