বলেন তো, নায়িকা(অভিনেত্রী) ও পতিতার মধ্যে আসলে পার্থক্যটা কোথায়? টাকার বিনিময়ে পতিতারা যেমন তাদের দেহ ভোগ করার ক্ষমতা দেয়, তেমনি নায়িকারাও টাকার বিনিময়ে তাদের দেহ ভোগ করার ক্ষমতা দেয়। শুধু তাই নয়, এক জন নায়িকা প্রতিষ্ঠিত হতে তার দেহকে কত জায়গায় যে বখরা দেয় তার ইয়াত্তা নাই। তার প্রমান অবশ্য কিছু দিন আগেই মানূষ জেনেছে... অরুন চৌধুরী নাটকের নায়িকা বানাবে.. এই জন্য স্ক্রিন টেষ্ট করার নাম করে কিভাবে একটা মেয়ের দেহ ভোগ করছিল। আমি এখানে অরুন চৌধুরীর দোষ দিব না, কারন মেয়েটি যেভাবে নিজেকে বিলিয়ে দিচ্ছিল তাতে মনে হচ্ছে নাটকের নায়িকা হওয়ার জন্য সে সব করতে পারবে। যদি হাজারটা অরুন চৌধুরী তার রূপ শুধা পান করতে চায় তা হলে ও সে নির্ধিধায় দিতে পারে।
কিছুদিন আগে আপনারা প্রভার (অভিনেত্রী ও মডেল) কথা শুনেছেন, কেউ কেউ দেখেছেন ও.. সেখানে আপনারা দেখেছেন কিভাবে একটা মেয়ে বিয়ের আগেই একটা ছেলের সাথে দৈহিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। মেয়েটি এই রকম সম্পর্কের পরও সে কিন্ত্র আরেক জনকে ঠিকই বিয়ে করে ফেলেছিল। তার এই নোংরা ভিডিও যখন ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ছিল, তখন তাকে এ সম্পর্কে জিঙ্গাস করা হলে সে এক জন প্রফেশনাল পতিতার মতো বলে গেল "রাজিব আমার এক্স বয় ফ্রেন্ড সো তার সাথে এই রকম শাররীক সম্পর্ক হতেই পারে"
গত ১ দেড় বছর আগে আমি একবার একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় দেখলাম যে, মিডিয়া জগতের কিছু অপ্রকাশিত ঘটনা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জন মিউজিক ভিডিওর নায়িকা বলল যে, মিউজিক ভিডিওর করার ফাকে ড্রেস চেঞ্জ করার সময়, পরিচালক গোপন ক্যামেরার মধ্যমে আমার শর্স্পকাতর কিছু ভিডিও ধারন করে। এক দিন পরিচালক আমাকে তার সাথে দৈহিক সম্পর্কের অফার দেয়।
পরিচালক প্রায় আমার বাবার বয়সী। আমি তাক্ষনিক ভাবে না বলে দেই। তখন পরিচালক আমার গোপন ভিডিওটা দেখিয়ে বলে যদি তার সাথে দৈহিক সম্পর্কে আমি রাজি না হই তা হলে এগুলো সে বাজারে ও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিবে। আমি এতে তার সাথে মেলা মেশাতে রাজি হই, কিন্তু আমাদের এই মেলা মেশার দৃশ্যটিও সে গোপনে ভিডিও করে। প্রথমে আমি ব্যাপারটি জানতাম না, কিন্তু সে যখন আবার আমাকে অফার করে তখন আমি তা রিফিউজ করি।
সে তখন ২য় ভিডিওটা দেখায় এবং বলে আমি যা বলি তা যদি না শুনো তা হলে এগুলো মার্কেটে ও ইন্টারনেটে ছেড়ে দিবো। আমি এখন বাধ্য হয়েই ওর কথা মত সব করি। শুধু তার সাথে নয়, অনেক পুরুষদের সাথেই আমি মেলা মেশাতে বাধ্য হই। আর যাদের একবার সতিত্ত্ব হারায়, তাদের তো আর হারাবার কিছুই থাকে না। সুতরাং এগুলো আমার কাছে কিছুই মনে হয় না।
মনে হয় এই লাইনে থাকতে হলে এগুলো স্বাভাবিক ব্যাপার।
আরেক জন অভিনেত্রী বলল, অনেকটা সখের বসেই নাটকে অভিনয় করতে আসি। প্রথমে ছোট দুই একটা পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করি। এক দিন পরিচালক বলল, নাটকের জন্য আমাদের ব্যাংকক যেতে হবে, আর যে নাটকটি তৈরী হবে, আমি সেটার প্রধান নায়িকা। হঠাঁ করে বলা হল যে বিমানের টিকিট পাওয়া যায়নি তাই, আমাকে আর প্রযোজককে আপাতত চলে যেতে হবে।
বাকী টিম পরের ফ্লাইটে আসছে। আমি আর প্রযোজক দুই জনেই ব্যাংকক গেলাম দুই জনেই ব্যাংককের একটা হোটেলে উঠলাম। রাত ১২ টার দিকে প্রযোজক কিছু কথা বলবে বলে আমার রুমে আসে, তার পর আমাকে তার সাথে মেলা মেশার অফার দেয় প্রথমে আমি রাজি হইনি। তার পর প্রায় জোর করেই তার সাথে মেলা মেশায় বাধ্য করে। আমি ও আর নিজের ইমোশান ধরে রাখতে পারি নি, আর এখানে সিনক্রিয়েট করে দেশে আমার ভাবমুর্তি ক্ষৃন্ন করতে চাই নি।
আমি চাইনি এগুলো দেশের মানুষ যেনে আমার ক্যারিয়ারের ক্ষতি হোক। এর পর টিম আসলে আর আসল না, এখানে সে প্রতি রাতেই আমার সাথে মেলা মেশা করত। আমি এখন তাদের কাছে এমন ভাবে বন্দি যে তারা যা বলে তাই শুনতে হয়। আমার প্রশ্ন হল একটি মেয়ে কিভাবে একটা ভিন্ন দেশে, অপরিচিত হোটেলে একই সাথে থাকার কথা চিন্তা করে বিদেশে যেতে পারে। বেশি ফ্রি ভেবে আসলে সবই ফ্রি হয়ে গেছে।
মল্লিকা শেরয়াত - এই নায়িকার কোন ভাল ছবি ইন্টারনেটে পাওয়া বিরল। আমি তার নাম দিয়ে সার্স করে রিতিমত থমকে গেছি। কারন তার এত বাজে দৃশ্যের ছবি নেটে আছে যা প্রকাশ করা যায় না।
এখন যে কোন হিন্দি সিনেমার রোমান্টিক দৃশ্য মানেই বিছানার দৃশ্য। আর ইংলিশ ছবি তো বলার অপেক্ষা রাখে না।
আপনারা প্রতিনিয়তই বিপাশা বসু, আনুষকা শর্মা, মল্লিকার বিছানার রোমান্টিক দৃশ্য দেখতে পান। সেক্সুয়াল উত্তেজক কিছু দৃশ্যই প্রতিনিয়ত দেখে থাকেন। এসব দৃশ্যে অভিনয় করার পরও মানুষ তাদের সম্মান করে! এসব দৃশ্যে অভিনয় করার সময় তাদের গায়ে সামান্য কিছু কাপড় থাকে আবার অনেক সময় তা ও থাকে না। বিশেষ করে এখনকার ইংলিশ ছবি গুলোতে অনেক ছবিতে নায়িকাদের শরীরে কোন বস্ত্রই থাকে না। চিন্তা করুন এই দৃশ্য গুলোতে যখন কোন নায়িকা অভিনয় করে, তখন তার একই সট বার বার নিতে হয়।
তার উপর এখানে রিয়েল ইমোশান আনতে হয়। না হয় সট পার্ফেক্ট হয়না। তার উপর দর্শকদের সামনে রিয়েল করে উপস্থাপনের বিষয় আছে। কিছু কিছু দৃশ্যে প্রায় ৩০/৪০ বার সট নিতে হয়। চিন্তা করুন একটা ছেলে একটা সল্প বসনা বা প্রায় নগ্ন মেয়ের উপর ৩০/৪০ জাপিয়ে পড়ে তার সাথে বিভিন্ন দৃশ্যে অভিনয় করছে।
এই রকম ৩০/৪০ জাপিয়ে তো কোন পতিতার উপর ও কেউ পড়ে না। আর নায়িকাদের হাসবেন্ডরা ও তো তাদের উপর এত বার জাপিয়ে পড়ে না। আর চিন্তা করুন, তখন একটা মেয়ের ইমোশন কি হয়! সে প্রায় ৮০% সেক্স করে ফেলে সিনেমার দৃশ্যেই। আমি আগে ভাবতাম দৃশ্যগুলো মনে হয় কম্পিউটারের মাধ্যমে অন্য কোন উপায়ে নেয়া হয়। পরে মিডিয়ার একজনের সাথে কথা বলে এবং ইন্টারনেট গেটে জানতে পারলাম এসব দৃশ্য গুলো সম্পূর্ণ রিয়েল ভাবে ধারন করা হয়।
ইন্টারনেটে এক নায়িকা দেখলাম কমেন্ট করল যে তাকে একটা সেক্সুয়াল দৃশ্যে অভিনয় করতে হবে। এরকম অভিনয় সে আগে আর কখন ও করে নি। এর জবাবে হলিউডের এক নায়িকা লিখেছে "Naked or Sexual acting is not bad, its Hollywood" আমি তখন বুঝলাম তারা পারে না এমন কিছুই নেই। তারা শুধু যে এরকম করে তাই না তারা এগুলো জনগনকে দেখাচ্ছ্ও। চিন্ত করে দেখুন তো যারা ক্যামেরার সামনে এ রকম করতে পারে ক্যামেরার বাহিরে লোক চক্ষুর আড়ালে তারা কি করতে পারে?
What is the difference between actress and prostitute? এর জবাবে এক জনে লিখেছেন - They are same but actress shows extra talent. এর জবাবে এক জনে লিখেছেন
- Actress shows extra talent how to sex.
এক জনে মন্তব্য করেছেন
- Actress and prostitute are same but actress are higher class.
- Actress and prostitute are same both exposes their sexual organs. But prostitute do it privately and actress are publicly.
কিছু দিন আগে একবার পত্রিকাতে প্রকাশিত হয়েছিল।
বলিউডের নায়িকা সোনালী বিন্দ্রে একটা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছে পেন্টি বিহিন। উপস্থিত সাংবাদিকরা যখন ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছেন। তখন সে তাদেরকে ডেকে নিয়ে বলেন, "আপনারা যে ব্যপারটা বুঝতে পারেছেন তা সত্য"। এর আগে ভারতের আরেক মডেল এই রকম পেন্টি ছাড়া বের হয়েছিল। তখন এ ব্যপারে তাকে জিগ্ঙাস করা হলে সে বলল "আই এম এ পেন্টিলেস গার্ল" চিন্তা করেন তাদের মানসিকতা।
পতিতা যেমন খদ্দেরকে আকষর্ন করার জন্য অনেক কিছু করে, তেমনি নায়িকারা ও করে। আমি চিন্তা করি তারা কি অসুস্থ? কারন এজন সুস্থ মানুষ এ রকম করতে পারবে না। কিছু দিন পর দেখা যাবে তারা হয়তো নগ্ন হয়ে রাস্তায় বেরুতে লজ্জা বোধ করবে না। আমাদের ছেলে মেয়েরা আজ ইন্ডিয়ার এই কালচার খুব বেশি ফলো করে। খুব বেশি দিন নেই... এভাবে চলতে থাকলে আমাদের দেশের ও একই অবস্থা হবে।
আমাদের দেশের ছেলে মেয়েরা আজ এত বেশি ইন্ডিয়ান চ্যানেল ভক্ত হয়ে গেছে যে। তাদের দৈনদিন কাজে তারা ইন্ডিয়ান নায়ক/নায়িকাদেরকেই অনুসরন করে। যেমন ক্যাটরিনা কোন নতুন মডেল এর পোশাক পরলে আমাদের দেশের মেয়েরা সেই রকম পোশাক কিনতে ব্যস্ত হয়ে যায়। এতে তাকে খারাপ দেখা যায়, না ভাল দেখা যায়, পুরা শরির দেখা যায়, না ঢাকা আছে তার চিন্তা করে না। সালমান খান যদি চেড়া পেন্ট পরে তা হলে আমাদের দেশের ছেলেদের ও তা পরতে হবে না হয় তার ঈদ হবে না!
এগুলাতো ফ্লাস হওয়া খবর, এছাড়া ও যে কত খবর আছে, আর কত সম্পর্ক গোপনে চলে তা তো আর সবাই জানে না।
এই খবর গুলো সবাই কম বেশ জানে। আর সবাই এ ও জানে যে মিডিয়া জগতে কেউ ইচ্ছা করলে ও ভাল থাকতে পারে না। এমন কোন অভিনেতা, অভিনেত্রী (বিশেষ করে তরুন নায়িকা) নেই , যারা বলতে পারবে যে তারা কোন না কোন ভাবে দৈহিক সম্পর্কে জড়ায় নি। যদি মিডিয়া জগতের কেউ(বিশেষ করে তরুন নায়িকা) নিজেকে পুত পবিত্র দাবি করে তবে মনে করতে হবে, সে ১০০% মিথ্যা কথা বলছে। তার পর ও এ জগতের নায়িকার সংখ্যার কমতি নেই।
তা হলে কি তারা ইচ্ছাকৃতই পতিতাবৃত্তিতে যোগ দিল না? তা হলে আপনারা কি বলবেন নায়িকা ও পতিতার মধ্যে কোন পার্থক্য আছে?
বি:দ্র: এই লেখাটি যৌন শুরশুরি দেয়ার জন্য নয়। আমরা নিজেরা আমাদের মা, বোন, মেয়েদেরকে এ জগত থেকে সাবধান করার জন্যই মুলত আমার এই লেখা। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।