দিল ঠান্ডা তো দুনিয়া ঠান্ডা। বেশ অনেক আগের মুভি এটা। আগেও দেকেছি। আবারও দেখলাম আজ। দেখার পর এটা নিয়ে কিছু বলার লোভ সামলাতে পারলাম না।
ব্রুস উইলিস আছে, বেন এফ্লেক আছে, লিজ টেইলর (লর্ড অভ দ্য রিং-আরওযেন)ও আছে। কাহিনী এখনকার হিসেবে সাদামাটা। যারা ২০১২ দেখেছেন কিংবে এরকম আরও ডিজাস্টার মুভি দেকেছেন, তাদের কাছে প্রথমে স্টোরি প্লটটা আহামীর কিছূ মনে হবে না। আসলে স্টোরিটা সত্যিই আহামরি কিছু না, কিন্তু এই মুভিটাকে অসাধারন করে তুলেছে এতে যে মানুষগুলো আছে তারা। সাথে আছে মানানসই ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক এর ব্যবহার।
পৃথিবীর দিকে ধেযে আসছে এক এস্টরয়েড। শ মাইল লম্বা চওড়া। পৃথিবীর সাথে ধাক্কা লাগা মানে, পুরো পৃথিবী প্রত্যেকটা জীবিত প্রানী মারা যাওয়া। এমনকি ভাইরাস ব্যাকটেরিয়াও রক্ষা পাবে না।
হাতে সময আছে মাত্র ১৮ দিন।
নাসা তৈরি করল প্লান। এটাকে নিউক্লিয়ার বোমা মেরে উড়িয়ে দিতে হবে। কিন্তু সমস্যা। এর সারফেসে কয়েকশ নিউক্লিয়ার বোমা মারলেও কাজ হবে না। বোমা ফাটাতে হবে এর অনেক গভীরে।
এই খানেই আসে ব্রুস উইলিস। সে এক অয়েল ড্রিলিং সেট-আপের মালিক। এই লাইনে তার অভিজ্ঞতা ৩০ বছর। তাকে নিয়ে আসা হয় সেই এস্টরেয়েড এ ড্রিল করতে। কিন্তু সে আবার তার নিজের ক্রু ছাড়া কাজ করবে না।
শুরু হয় এক অসম লড়াই এর প্রস্তুতি। যেটাতে জিততেই হবে। বাজি- সারা পৃথিবীর মানুষ।
মুভিটার বিভিন্ন সময় নানা রকম মন মাতানো মুহুর্ত উপহার দিয়েছেন পরিচালক। কতটুকু কি, তা আর বলব না।
জোর গলায় বলতে পারি, মুভিটা ভাল লাগতে বাধ্য। তবে একটাই সমস্যা, এটার দৈর্ঘ্য প্রায় ২ ঘন্টা ৩০ মিনিট। সুতরাং যাদের লম্বা ধৈয্য নাই, তারা এই মুভিটা শুরু না করলেই ভাল।
আমি একটা ব্লগ টাইপ সাইট ডেভলপ করছি। পাবলিক ব্লগ না, ব্যক্তিগত ব্লগ।
সেখানে নিয়মিত মুভি রিভিউ, ই রিভিউ, পিসি গেম রিভিউ সহ টুকটাক লেখারিখি পাবলিশ করি আমি। একবার দেখবেন নাকি?
আমার সাইটটার একটা ফেবু পেজও আছে। সাইটটি ভাল লাগলে, এবং প্রতিদিন নিয়মিত পোস্ট আপডেট পেতে আগ্রহ বোধ করলে একটা লাইক দিন প্লিজ
বিস্তারিত: http://www.imdb.com/title/tt0120591/
ডাউনলোড মিডিয়া ফায়ার
লিংক ১
লিংক ২
লিংক ৩
লিংক ৪ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।