সভাপতি- বিক্রমপুর সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ, সম্পাদক ঢেউ, সভাপতি- জাতীয় সাহিত্য পরিষদ মুন্সীগঞ্জ শাখা ঢাকা মাওয়া রোডের হাসাড়াতে অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রী গণধর্ষণ হল। বন্ধু সাংবাদিকদেও সাথে কথা বললাম। ওরা ঘটনা জানে। ছাত্রীটি তার প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হয় রাতের বেলা। কিন্তু প্রেমিক আসার আগেই পড়ে কয়েক পাষণ্ডের হাতে।
সাংবাদিক বন্ধুরা জানার পরেও পত্রিকায় নেই। স্থানীয় প্রভাবশালীরা বিচার করে মেয়েটির লুণ্ঠিত মালামাল ফেরত দেওয়ায়। এসব নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার; যা নিয়ে সে প্রেমিকের হাত ধরে বের হতে চেয়েছিল। বিচার করে প্রভাবশালী কয়েকজন। দৈনিক সমকাল গত পরশু লিখেছে সরকার দলীয় প্রভাবশালীরা অপরাধীদেও কাছ থেকে মোটা অংকের ঘুষ খেয়ে বিচার করেনি।
থানাও মামলা নেয়নি বলে কয়েকজন অভিযোগ করলো। সাংবাদিক বন্ধু আরিফ জানালো সে মেয়েটির পরিবারকে বলে এসেছে থানায় মামলা না নিলে তাকে জানাতে। মেয়ের পরিবারটি সেই সাহস করেনি।
এর আগে কামারগাঁও আইডিয়াল স্কুলের দশম শ্রেণীর এক ছাত্রী দুই পাষণ্ডের দ্বারা ধর্ষিতা এবং খুন হয়। পত্রিকায় আসলো না।
খুনিরা প্রভাবশালীও নয়। আমি নিজে প্রথম আলো, যুগান্তরসহ কয়েকটি পত্রিকার সাংবাদিকদের সাথে আলাপ করেছি। কিন্তু একজন ছাত্রী স্কুল ড্রেসপরিহিতা অবস্থায় ধর্ষিতা এবং খুন হয়ে গেল; বিষয়টির কি হল জানি না। দৈনিক সমকালে গতপরশু আরেকটি ধর্ষণের খবর পেলাম। এটি ভাগ্যকুল র্যাব-ক্যাম্পের কাছাকাছি।
এই র্যাব-ক্যাম্পটি থাকা সত্তেও ভাগ্যকুলের মানুষ কোন রকম সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি হতে মুক্তি পায় নি। আমাকে একদিন আটকালো। অভিযোগ দুটি মোবাইল কেন ব্যাবহার করি?!!! ধমক খেলাম, তুই তুকারি শুনলাম। আমি বলি, একটি অফিসের একটি নিজস্ব। কি করস? বলি তাতে রক্ষা পাই।
এই মেয়েটি বিবাহিতা। মাস দুই আগে বিয়ে হয়েছে। এখন স্বামীও তাকে ডিভোর্স দিবে শুনছি। মামলা হয়েছে, কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। স্থানীয় নেতারা বড়ই তৎপর বিচার করার জন্য।
কিন্তু এর পরের মেয়েটির বাড়ি মান্দ্রা। মেয়েটির বিয়ে হয় মাস দুয়েক আগে। অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নিলে বেরিয়ে আসে প্রেগন্যান্ট ৫ মাসের। স্বামী ডিভোর্স দিল। কি করে হল..
মেয়েটির বয়স যখন ৪ তখন তার বাবা মারা যায়, মা মানসিক অসুস্থ (পাগল)।
ওর বড় দুই ভাই মেয়েটিকে তার বড় বোনের জিম্মায় রেখে বিদেশ যায়। ভগ্নিপতি ও বোনকে নিজেদের বাড়ি, জমি, গাভি দিয়ে যায়; যার বিনিময়ে বোনটি এবং মাকে দেখে রাখবে। মেয়েটির সমবয়সী আরেকটি মেয়ে ছিল ভগ্নিপতির সেই হিসাবে ভগ্নিপতিকেই বাবা বলতো। এই ভগ্নিপতির হাতে জিম্মি হয়ে ধর্ষিতা হয় মেয়েটি। শোনা যায় তার আপন মেয়েকেও ধর্ষণ করেছিল এই পাষণ্ড।
এর মধ্যে দুই শ্যালকের পাঠানো বহু টাকা আত্মস্মাৎও করেছে। পত্রিকায় কোন নিউজ হয় নি। সবচেয়ে অবাক স্থানীয় প্রভাবশালী সরকার দলীয় নেতারা পক্ষ নিল ঐ ধর্ষকের। কিন্তু বিচারে গণবিস্ফোরণ ঘটলে নেতারা পুরো সুবিধা নিতে পারেনি। এই প্রতিটি ক্ষেত্রেই হয়েছে অর্থের লেনদেন।
আজ সকালে এক মেয়ে ফোন করলো। তার নির্যাতিত হওয়ার ঘটনা বলতে চাইলো। কিছু সহযোগিতা চাইলো। আমি আমার সীমাবদ্ধতার কথা বললাম। সব ঘটনাতেই প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপ।
কোনটিই কোন নারীর পক্ষে যায় না। নির্যাতিত হয় গরীব মানুষের মেয়েরা আর নির্যাতন করে প্রভাবশালীদের সন্তানেরা। কোথায় বিচার পাবে নির্যাতিতা নারীরা? থানায়.. মামলাই নিবে না। কোর্টে.. .. সাক্ষীই পাবে না.. থানার রিপোর্ট পক্ষে যাবে না। শালিশ.. করবেতো ধর্ষকদের আত্মীয় স্বজনরাই.. না হলে টাকা দিয়ে ধর্ষকদের পক্ষে বিচার নিয়ে যাবে।
আমরা আস্তে আস্তে সভ্য হয়ে উঠছি...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।