আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রাক মধ্যযুগে বিক্রমপুরে মানববসতি ছিল

সভাপতি- বিক্রমপুর সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ, সম্পাদক ঢেউ, সভাপতি- জাতীয় সাহিত্য পরিষদ মুন্সীগঞ্জ শাখা অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় বেসরকারী একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ চালাচ্ছে। এর মধ্যে বজ্রযোগিনী ও রামপাললে উৎখনন কাজ চলছে। এতে রঘরামপুর গ্রামের প্রত্নস্থানে প্রায় ১২ফুট দীর্ঘ ও ৪ফুট প্রস্থের উৎখনন খাদে একটি ৫মিটার লম্বা নিয়মিত ইটের দেয়াল পাওয়া গেছে। দেয়ালটি প্রায় দেড় মিটার চওড়া। এই দেয়ালটি থেকে আরও দুটি পাশ্বদেয়ালের সংযুক্তির চিহ্ন পাওয়া গেছে।

গবেষকেরা বলছেন, ইটের নিয়মিত এই কাঠামো বড় কোনো স্থপনার অংশবিশেষ হতে পারে। কেননা ইটের তৈরি বড় কাঠামোর ক্ষেত্রেই কেবল এত চওড়া দেয়াল ব্যবহার করা হতো। কাঠামোটির ইটের দৈর্ঘ, প্রস্থ ও উচ্চতা যথাক্রমে ২৬, ২৪ ও ৫ সেন্টিমিটার। এ ধরনের পাটা আকৃতির ইট প্রাক-মধ্যযুগের স্থপত্যগুলোর ব্যবহার করা হতো। পাহাড়পুর ও ময়নামতিতেও এই সময়ের স্থাপত্য পাওয়া যায।

গবেষকদের ধারণা বজ্রযোগিনী গ্রামের উৎখনন খাদে পাথর ভেঙ্গে ভাস্কর্য তৈরি করা হতো। এই খাদে পাওয়া পাথরগুলো চমৎকার খাঁজকাটা। এগুলোর গায়ে বিভিন্ন ধরণের অলংকরণ পাওয়া গেছে। বিভিন্ন সময় চালানো প্রত্নতাত্তিবক অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তাম্রলিপির ভিত্তিতে বলা হয়, অঞ্চটি রাজণৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। চন্দ্র, বর্ম, ওসন রাজবংশের রাজধানী ছিল বিক্রমপুর।

বিক্রমপুরের ভাস্কর্য লন্ডন যাদুঘরেও রক্ষিত আছে। এছাড়া ৭৯টি ভাষ্কর্যের তালিকা করেছেন গবেষকগণ। গবেষকদের ধারণা এই অঞ্চলে প্রাক-মধ্যযুগীয় বসিত ছিল। ৭শ থেকে ১৩শ বছরের পুরোনো মানববসতি বিক্রমপুরে ছিল। অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের সভাপতি, রাজনৈতিক-সাহিত্যিক নূহ-উল-আলম লেনিন।

গত ১ বৈশাখ এ কাজের উদ্বোধন করা হয়। বিস্তারিত: আজকের দৈনিক প্রথমআলোর বিশেষ প্রতিবেদনে, পৃষ্ঠা নং ৯ মুজিব রহমান: সহসাধারণ সম্পাদক, অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশন, শ্রীনগর কেন্দ্র। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.