© এই ব্লগের কোন লেখা আংশিক বা সম্পূর্ণ আকারে লেখকের অনুমতি ব্যতীত অন্য কোথাও প্রকাশ করা যাবে না।
মুভিটি বিশদভাবে আলোচলা করেছি, তাই যারা মুভিটি দেখেননি,নিজ দায়িত্বে পড়বেন। কারন এই পোস্টটি স্পয়লারে ভর্তি।
কয়েকদিন আগে ছিলো স্ট্যানলি কুবরিকের জন্মদিন। আমার খুবই পছন্দের এই মুভিমেকারের জন্মদিন উপলক্ষে ঐদিনই সামুতে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম।
সেখানে রুশো ভাই আর বাদ দেন আমাকে অনুরোধ করেছিলেন 2001: A Space Odyssey (1968) মুভিটি নিয়ে একটি রিভিউ দিতে। তাদের চাপাচাপিতে আমিও হ্যাঁ বলে দিলাম। তাই আজকে বসে গেলাম রিভিউ লিখতে। অনেক সাহস নিয়ে শুরু করছি। কারণ এই মুভিটি যারা দেখেছেন তারাই জানেন কতোটা দুঃসাধ্য এবং দুঃসাহসিক কাজ সেটা !!!!
প্রথমে,এই মুভিটি সম্পর্কে কিছু জেনারেল ইনফো দিয়ে নেই।
তারপর এর প্লট নিয়ে কিছু লিখে তার বিশ্লেষণে যাবো।
এটি একটি টোটাল Sci-Fi মুভি। মুভিটির স্ক্রিনপ্লে লিখেছেন যৌথভাবে Stanley Kubrick আর সেই বিখ্যাত সায়েন্স ফিকশান লেখক Arthur C. Clarke। তবে এই মুভিটির প্লটের পরতে পরতে কিছু অন্তর্গত ব্যাখ্যা রয়েছে। মুভিটি একবার দেখে বুঝাটা একেবারেই ইম্পসিবল একটা ব্যাপার।
আমি এই পর্যন্ত তিনবার দেখেছি। তাও অনেক জায়গায় নিজের মতো করে ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়েছি। প্রথমবার যখন দেখেছিলাম,৫০% ও বুঝি নাই। এরপর Arthur C. Clarke এর বইটি কিনে পড়েছিলাম। তারপর মুভিটি অনেকটাই ক্লিয়ার হয়েছিলো।
তবে Arthur C. Clarke এর বইটির সাথে মুভিটিকে কোনোমতেই মিলানো যাবে না। কারণ, কুবরিক তার সিনেমাতে চেয়েছিলেন দর্শকবৃন্দরা নিজেরাই তাদের মতো করে ব্যাখ্যা দিক,যেখানে বইটিতে কাহিনীর একটি স্বচ্ছ ধারণা পাওয়া যাবে।
মুভিটির রানিং টাইম প্রায় আড়াই ঘন্টার মতো। ১ সেকেন্ডও বোর হবার সুযোগ নেই,কারণ এই মুভির ভিজ্যুয়াল ইফেক্টস এতোটাই দুর্দান্ত যে হাঁ করে তাকিয়ে থাকবেন। সিনেমাটা দেখার সময় খালি মনে রাখবেন এটা ১৯৬৮ সালের নির্মিত একটি মুভি।
অথচ কি অসাধারণ গ্রাফিক্সের ছড়াছড়ি,বিশেষ করে মহাকাশের দৃশ্যগুলো। মনে হবে হালের কোনো ডিসকভারির ডকুমেন্টারী দেখছেন। এই মুভিটি সেবার অস্কার আসরে মোট ৪টি বিভাগে নমিনেশন পেয়েছিলো, এবং Best Effects, Special Visual Effects এ জিতেছিলো। দুঃখের সাথে বলতে হয়, সেটি হচ্ছে একমাত্র অস্কার পুরষ্কার যা কুবরিক তার গোটা জীবনে পেয়েছিলেন। এই মুভির অসাধারন ডিরেকশানের জন্য কেনো কুবরিক অস্কার পেলেন না আমি বুঝে পাই না।
অস্কারের যতগুলো ব্যর্থতা রয়েছে এটি তার মধ্যে বেশ উপরের সারিতেই থাকবে।
যাই হোক, এবার এই মুভিটির মেকিংয়ের পিছনের স্টোরিটি জেনে নেই। Dr. Strangelove (1964) মুভিটি বানানোর পর extraterrestrial life এর প্রতি কুবরিকের ফ্যাসিনেশন জন্মাতে থাকে। তিনি ঠিক করেন এবার তিনি একটা ভালো সায়েন্স ফিকশান মুভি বানাবেন। সায়েন্স ফিকশান কমিউনিটি থেকে তিনি বিখ্যাত সায়েন্স ফিকশান লেখক Arthur C. Clarke এর নাম সাজেশান পান।
এরপর তারা দুইজন মিলে লিখে ফেলেন 2001: A Space Odyssey এর স্ক্রিপ্ট। Arthur C. Clarke প্রথমে তাকে ছয়টি ছোটগল্প সাজেস্ট করেছিলেন। সেখান থেকে কুবরিক পছন্দ করেন "The Sentinel" নামক গল্পটি। দীর্ঘ দুই বছর পর তারা এটিকে একটি নভেলে রূপান্তরিত করে সেটাকে 2001: A Space Odyssey এর স্ক্রিপ্টে পরিণত করেন।
এবারে আসি মুভিটির প্লটের ব্যাপারে।
একটু সাদামাটা আইডিয়া দেই। তারপর নাহয় বিস্তারিত আলোচনা করবো। স্টোরিটির মোট ৪টি ভাগ রয়েছে। আমি পয়েন্ট আকারে বলছি।
১।
The Dawn of Man: এই পার্টটির লেংথ প্রায় ১৭ মিনিটের মতো। আমি যতোবার এই মুভিটি দেখেছি ততোবার সিম্পলি মুগ্ধ হয়েছি। একটা বিবর্তনের শুরুটা এতোটা শৈল্পিক এবং নান্দনিকভাবে কুবরিক ফুটিয়ে তুলেছেন,এটার প্রশংসা না করাটা খুনের চেয়েও বড়ো অপরাধ হিসেবে গন্য হওয়া উচিত। এখানে ৪ মিলিয়ান বছর আগে একটি আফ্রিকান জায়গায় কিছু ape সদৃশ hominids কে দেখবো। যেখানে সেই ape দের মধ্যে রয়েছে দুইটি গ্রুপ।
তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব নেই বরং একটি গ্রুপ আরেকটি গ্রুপের সাথে বেশ মারমুখী থাকতো। একদিন সেই ape গুলো মাটিতে দন্ডায়মান একটি কালো রংয়ের মনোলিথ (পাথরস্তম্ভ) দেখতে পায়। এর পরের দৃশ্যেই রয়েছে একটি ape মাটিতে পড়ে থাকা কংকালের হাঁড় তুলে নেয়,এবং এটা দিয়ে সেই কংকালটিকে আঘাত করতেই কংকালটি ভাঙ্গতে থাকে। সে বুঝতে পারে এটি একটি দারুন মারণাস্ত্র। পরেরদিন যখন তার বিপরীত গ্রুপের সাথে মারামারি লাগতে যায়,তখন সে ঐ হাড়টা দিয়ে প্রতিপক্ষের একজনকে পিটিয়ে মেরে ফেলে।
সেই ape যারা ছিলো ভীতু এবং প্রকৃতির কাছে অসহায় তারা উদ্ভাবন করে একটি মহা আবিষ্কার। আর তা হলো যন্ত্রের আবিষ্কার। কুবরিক গোটা ঘটনাকে দেখিয়েছেন Evolution এর প্রথম স্তর হিসেবে। আমরা হোমো সেপিয়েন্স যে ape সদৃশ হোমিনিড থেকে এসেছি,আমরাও এখন কতোই না যন্ত্র বা টুলস ব্যবহার করছি। এই যন্ত্রের মাধ্যমে এসেছে চাকা,তার থেকে শুরু করে যানবাহন এমনকি স্পেস শাটল।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে কুবরিক সেই মনোলিথটি দিয়ে কি বুঝাতে চেয়েছেন। এর ব্যাখ্যা নাহয় শেষেই দেই।
২। TMA-1: এটি হচ্ছে মুভিটির ২য় ভাগ। এখানে দেখবো মানুষ মহাকাশে যাওয়া শুরু করেছে।
আগের পা্র্টের হাঁড়টি এখানে যেনো রূপ নেয় একটি স্পেস শাটল হয়ে (অবশ্যই রূপক অর্থে)। মানুষ চাঁদেও অভিযান করা শুরু করেছে। মহাকাশ বিজ্ঞানী Dr. Heywood Floyd যাচ্ছেন Clavius নামক একটি স্পেস স্টেশনে। উদ্দেশ্য কাউন্সিলের নিকট রিপোর্ট তৈরি করা। আর রিপোর্টটি হচ্ছে চাঁদে নাকি একটি ম্যাগনেটিক অবজেক্ট পাওয়া গেছে যা প্রায় ৪ মিলিয়ন বছর পূর্বথেকে মাটির নীচে পোঁতা ছিলো--সে সম্পর্কে।
তারা যখন চাঁদে অবতরন করেন তখন সেখানে দেখতে পান সেই কালো মনোলিথ। সেটার পাশে দাঁড়িয়ে তারা ছবি তুলতে গেলেই হঠাত অসহ্য রকম শব্দ বের হতে থাকে। আস্তে আস্তে ঢলে পড়তে থাকেন তারা। আর এখানেই শেষ হয়ে যায় ২য় ভাগের কাহিনী। ১ম বার যখন মুভিটি দেখেছিলাম তখন কিছুই বুঝিনি আসলে সেখানে কি হয়েছিলো।
যাই হোক,পরের বার নিজের মতো করে একটা ব্যাখ্যা দিয়েছিলাম। সেটা নাহয় পরেই বলছি।
৩। Jupiter Mission: এটি হচ্ছে মুভিটির ৩য় ভাগ। ২য় ভাগের ১৮ মাস পরের সময়কাল এটা।
American spaceship ডিসকভারি ওয়ান যাত্রা করছে জুপিটার গ্রহের উদ্দেশ্যে। ডিসকভারি ওয়ানে যাত্রী হিসেবে যাচ্ছেন ৫জন এবং সাথে রয়েছে HAL 9000 সুপার কম্পিউটার। পুরো স্পেসশিপের দায়িত্বে রয়েছে সেই সুপার কম্পিউটারটি। ৫ জনের মধ্যে তিনজন রয়েছেন হাইবারনেশনেআর বাকি দুইজন হলো ফ্রাংক আর ডেভ। একদিন সেই স্পেসশিপের একটি যন্ত্রের কার্যকারিতা নিয়ে ভুল প্রেডিকশান দেয় HAL 9000,অথচ এরকম করবার সম্ভাবনা ০%।
HAL 9000 কখনোই ভুল করতে পারেনা। এতে সতর্ক হয়ে উঠে ফ্রাংক আর ডেভ। তারা ঠিক করে পুরোপুরি নিশ্চিত হলে তার HAL 9000 এর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেবে। কিন্তু এটা আঁচ করতে পেরে HAL 9000 একটি ইচ্ছাকৃত দুর্ঘটনা ঘটায়। দুর্ঘটনাটা কি বলবো না,সবই মনে হয় বলে দিচ্ছি,এটা ঠিক না।
যাই হোক, ডেভ পরে HAL 9000 এর মেমরী ইউনিট ডিসকানেক্ট করে দেয়। তখন একটা ভিডিও অটোমেটিক্যালি শুরু হয়,যেখানে বলা হয়,১৮ মাস আগে তারা একটি extraterrestrial বস্তুর কথা জানতে পারে। আর এখানেই শেষ হয় ৩য় ভাগের কাহিনী।
৪। Jupiter and Beyond the Infinite: এই পার্টটি গোটা সিনেমার সবচেয়ে দুঃসাধ্য লেগেছে আমার কাছে।
এখানে দেখা যায়, ডেভ একটি মনোলিথকে দেখতে পায় জুপিটারের অরবিটের মধ্যে। সে এটিকে অনুসরন করতে গিয়ে একটি ওয়ার্মহোলের মধ্যে দিয়ে স্পেস ট্রাভেল করে। এরপর সে একটি অ্দ্ভুত ঘরের মধ্যে নিজেকে বয়সে পরিণত অবস্থায় আবিষ্কার করে। সে আস্তে আস্তে নিজের আরো পরিণত ভার্সন দেখতে পায়। বার্ধ্যকের দরুন মৃত্প্রায় অবস্থায় বিছানায় শুয়ে থাকার সময় টার সামনে আসে সেই কালো মনোলিথটি।
এরপর সে রূপান্তরিত হয় একটি fetus এ যা পৃথিবীকে ঘিরে আবর্তিত হতে থাকে। আর এখানেই মুভিটি শেষ হয়ে যায়।
কি কিছু বুঝলেন?? আমি অবশ্য জানি না নিজে কতোটুকু এ্যাকচুয়ালি বুঝেছি। তবে নিজের মতো করে ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়েছি। একান্তই নিজের এজাম্পশান।
আগেই বলেছিলাম, মুভিটির বিভিন্ন দৃশ্যের ভাবগত বেশ বিশ্লেষন রয়েছে। যেমন একে একে বলছি,
প্রথমেই আসি সেই কালো মনোলিথের ব্যাপারে। আর্থার সি ক্লার্কের ব্ইয়ে এর মোটামুটি একটা ব্যাখ্যা দেয়া থাকলেও কুবরিক গোটা জিনিসটা বেশ অস্বচ্ছ্ করে দেখিয়েছেন। আর্থার সি ক্লার্ক এটিকে দেখিয়েছেন একটি extraterrestrial কিংবা এলিয়েনদের একটি প্ল্যান্টেশান হিসেবে। তবে কুবরিক কখনো নিজের ব্যাখ্যাটি প্রকাশ করেননি বরং তিনি চেয়েছিলেন এই ব্যাপারে অডিয়েন্স নিজেরাই নিজেদের ইন্টারপ্রিটেশন দেন।
এবং নানা মতের মানুষজন ঠিক তাই করেছেন। তবে আমি এটিকে দেখেছি টোটালি রূপক অর্থে। হিউম্যান রেসের ইভল্যুশানের প্রতিটি যুগান্তকারী স্টেজের যে ক্ষণটি রয়েছে তার জ্ঞান কিংবা স্টাডি অর্থে মনোলিথটি ব্যবহার হয়েছে,ঠিক যেমনটি দেখেছিলাম ১ম ধাপে। তেমনি ২য় ভাগে মানুষ যখন স্পেস এ অভিযান চালাচ্ছে তখন মানুষকে অনেক কিছুই নতুন করে জানতে হয়েছে। যেমন জিরো গ্র্যাভিটিতে খাওয়া, চলাফেরা কিংবা বাথরুম করা।
গোটা মহাবিশ্বের অজানা প্রতিটা জিনিসের কাছে মানুষ যেনো নেহাতই শিশু। আর ২য় ভাগের শেষে মলোলিথের কাছে দাঁড়িয়ে যখন তারা ছবি তুলছিলো তখন সেই অসহ্য শব্দটার আমার ব্যাখ্যাটি হতে পারে, মানুষ তখনো পূর্ণ জ্ঞান অর্জন করতে পারে নি,তাই তারা মনোলিথের কোনো প্রমাণ সংগ্রহ করতে পারবে না। তাই প্রকৃতি হয়ে মনোলিথই যেনো সেই ছবি তুলাটা পন্ড করে দিলো।
এখানে আরেকটা ব্যাপার আছে, সেই মনোলিথকে চাঁদে যখন মানুষরা প্রথমবারের মতো স্পর্শ করেন তখন যে সাউন্ডটি বের হচ্ছিলো সেটি আসলে একটি শক্তিশালী রেডিও সিগন্যাল যেটি পরবর্তিতে ডিসকোভারী ওয়ানের মিশন হয়।
এবারে আসি শেষ ভাগের ব্যাখ্যাতে।
এটি মুভির শেষভাগ। তার মানে হিউম্যান রেস ইভল্যুশানের শেষ ভাগ। একটা ওয়েবসাইটে এই পার্টের একটা অসাধারণ ব্যাখ্যা শুনেছিলাম। কারো কি মনে আছে, ডেভ যখন বুড়ো বয়সে টেবিলের উপর খাচ্ছিলো তখন হাতের ধাক্কায় তার গ্লাসটি পরে ভেংগে যায় এবং ভিতরে থাকা পানি ছিটকে যায়। এখানে পানিকে তুলনা করা হয়েছে স্পিরিট হিসেবে আর গ্লাসটাকে তুলনা করা হয়েছে শরীর হিসেবে।
অর্থাৎ ইভল্যুশানের শেষ ভাগে মানুষ এবার মৃত্যুকে মোকাবেলা করবে। তখন একটি fetus কে মানবজাতির পরবর্তী স্টেপের সিম্বল হিসেবে দেখানো হয়। আর সেই স্টারচাইল্ডের ব্যাখ্যা হিসেবে New Zealand এর জার্নালিস্ট Scott MacLeod এর মতে,We have the long, bulb-headed spaceship as a sperm, and the destination planet Jupiter (or the monolith floating near it) as the egg, and the meeting of the two as the trigger for the growth of a new race of man (the "star child").
উপরোক্ত ব্যাখ্যাটি বেশ মনে ধরেছে। আমার মতো সাধারণ বুদ্ধিমত্তার মানুষের পক্ষে কিছুতেই এই তুলনাটা দেয়া সম্ভব না। আমি এইটার ব্যাখ্যা দিয়েছিলাম আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজ্যান্স হিসেবে।
কিন্তু ইন্টারনেটে ঘাঁটাঘাঁটি করে এই ব্যাখ্যাটা পড়ে কুবরিকের দক্ষতা আর চিন্তাধারার অসাধারণত্ব আরেকবার টের পেয়েছিলাম।
মুভিটির সেট ডিজাইন আর ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক টোটালি আউটস্ট্যান্ডিং। আর কুবরিকের চিন্তাধারা কি আর বলবো। মুভিটি যখন রিলিজ পায় তখনো অবধি মানুষ চাঁদেও পৌঁছায় নি। আর সেখানে এতো বছর পরবর্তী দুনিয়া কিংবা টেকনোলোজী কিরকম হবে সে সম্পর্কে একটা অসাধারণ প্রেডিকশান দেখতে পাই এই মুভিটি।
আর অনেকের মতে 2001: A Space Odyssey কে বলা হয় সবচেয়ে নিখুত সাইন্স ফিকশন। এর প্রায় সব টেকনলজিই নাকি পরে সত্যি হয়ছে।
মুভিটি নিয়ে কিছু মজার তথ্য দেই, মুভিটির শুরুর ২৫ মিনিট এবং শেষের ২৩ মিনিটে কোনো সংলাপ নেই। গোটা এই মুভিটিতে সর্বমোট মাত্র ৮৮ টি ডায়ালগ রয়েছে। মুভিটি প্রথমে ১৬০ মিনিটের হলেও কুবরিক ১৯ মিনিট প্রিমিয়ারের সময় বাদ দেন।
আর ওপেনিংয়ে হল থেকে প্রায় ২৫০ জন উঠে চলে গিয়েছিলেন মুভিটির আগামাথা বুঝতে না পেরে ।
Arthur C. Clarke once said, "If you understand '2001' completely, we failed. We wanted to raise far more questions than we answered."
মুভিটির ডাউনলোড লিংক: 2001 A Space Odyssey (1968) 720p - 700MB:
http://www.megaupload.com/?d=OMH5MHOK
http://www.megaupload.com/?d=XIMGI0OC
http://www.megaupload.com/?d=QBM1WJG9
http://www.megaupload.com/?d=IFEXWS4M
http://www.megaupload.com/?d=PDQFF2QM
http://www.megaupload.com/?d=1C4LVTQ6
http://www.megaupload.com/?d=0ZFWUBSD
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।