[sb]রফিকুল ইসলাম [/sb]ঃঃঃঃ_____
বেশকিছু দিন আগের খবর, হলিউড যাত্রা করছেন বঙ্গকন্যা কোয়েনা মিত্র। কিন্তু অল্প দিনের মাথায়ই সেই হলিউড যাত্রার চারাগাছটা এমন মহীরূহে রূপ নেবে তা ভাবেননি কেউই। ভাবছেন নিশ্চই, আজও তো পর্দায় কোয়েনার টিকিটারও দেখা মিলল না, তবে মহীরূহ হওয়ার সুযোগটা কোথায়? ভাবনাটা সত্যি হলেও কোয়েনার পরিকল্পনাটা কিন্তু তেমনি।
গেল বছরের শুরুতে ‘কাইটস’-এর শুটিং করতে আসা হলিউডি টিমের সঙ্গে বেশ ভাব জমে কোয়েনার। প্রথম দর্শনেই ধারালো উপস্থিতিতে তাদের ঘায়েল করেন উদ্ভিন্নযৌবনা কোয়েনা।
বিনিময়ে সঙ্গে সঙ্গেই হলিউড অভিযাত্রার প্রস্তাব। দুর্ভাগ্যবশত সেই সুযোগটা সফলভাবে কাজে না দিলেও বিফলে যায়নি পুরোদমে। অল্পদিনের মাথায় সুযোগ মিলে যায় ফ্যাশন ফটোগ্রাফার অ্যাশ গুপ্তার পরিচালনায় হারকিউলিসখ্যাত অভিনেতা কেভিন সর্বোর বিপরীতে ‘দ্য স্টোরি অব নওমি’র টাইটেল রোলে কাজ করার। একে হলিউড অভিষেক অন্যদিকে উভকামী এক নারীর চরিত্রে অভিনয়ের চ্যালেঞ্জ। সফলতা কতটুকু তা ছবি মুক্তির পর বোঝা যাবে ঠিকই, কিন্তু প্রজেক্টের কাজ চলা অবস্থায়ই যে হারে কাজের প্রস্তাব পাচ্ছেন কোয়েনা, তাতে আশাবাদী হলে দোষ দেয়া যায় না।
প্রথম টিকিট কেটেই পুরো লাক্সারি কোচের ভ্রমণের স্বাদ যেন পেতে চলেছেন। একে ভারত উপমহাদেশীয় গায়ের রঙ, তার ওপর কৃষ্ণকেষী এ সুন্দরীর ওপর যেন হামলে পড়েছেন হলিউডি পরিচালকরা। হলিউডযাত্রা অভিজ্ঞতা সম্পর্কে ভারতীয় একটি মিডিয়াকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কোয়েনা অবশ্য নিজের পারফর্ম্যান্স নিয়ে বড় গলায় গালগল্প না করে ব্যস্ত ছিলেন হলিউডি প্রেক্ষাপটে নিজের মুগ্ধ হওয়ার অভিজ্ঞতার ঝুড়ি নিয়ে। ঢালাও শুটিং আর একনাগারে সম্পাদনার ট্রেন্ডের পরিবর্তে পর্যাপ্ত রিহার্সেল, ওয়ার্কশপ, আর নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর সম্পাদনার টেবিলে বসার যে ধারা দেখে এসেছেন কোয়েনা হলিউডের ফিল্মি পাড়ায়, এককথায় তার গুণমুগ্ধতায় বিভোর তিনি। এমনতর একাগ্রতা যেখানকার ফিল্মে সেখানে মাস্টারপিস সৃষ্টি না হয়ে উপায় কোথায়।
পাশাপাশি বলিউডি ফিল্মস্টাররা যেভাবে নিজেদের ইন্টারন্যাশনাল স্টারডমে ভূষিত করতে চান, তার সমালোচনা করে কোয়েনা বলেন, ‘পশ্চিমারা ভারতের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, উৎসব আয়োজন সম্পর্কে জানে এবং ভালোবাসে। কিন্তু ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির তারকারা যেভাবে তাদের পরিচিতির কথা ফলাও করে বেড়ান, বাস্তবতা আসলে তার ধারেকাছেও না। ’ অনেকেই হয়তো ভাবছেন দু’বছর আগে সেই ২০০৯-এ-ই ফ্লপের তাড়নায় গুঁটিয়ে গিয়েছিল যার ফিল্মি ক্যারিয়ার সেই কোয়েনার ছোটমুখে এত্তোবড় কথা! প্রথম ছবি মুক্তির আগেই যেখানে ক্যারেন আর্মস্ট্রংয়ের প্রযোজনায় ‘ডার্ক রোমান্স’ ও অন্য একটি নাম চূড়ান্ত না হওয়া ছবির জন্য মনোনীতই হয়ে গেছেন, তখন আর জয়ডংকা বাজাতে দোষটা কোথায়। আশার কথা হল, শুধু রূপের ধারালো আকর্ষণেই নয়, অভিনয় আর কাজের একাগ্রতায় ইতিমধ্যেই প্রযোজক-পরিচালক মহলে বেশ শক্ত একটা অবস্থানে দাঁড়িয়ে গেছে কোয়েনা। আশা করা যায়, গুটিকতক মডেলিং আর ২০০২ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত নিছক কিছু ছোটখাটো রোল কিংবা আইটেম গানের ক্লাসিফাইড অভিনেত্রী কোয়েনার হলিউড অভিযান সে তুলনায় অনেক বেশি বর্ণিল হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।