আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রেম চুরি (STOLEN LOVE)

প্রেম চুরি পারভেজ রানা আমার ঝড়ের শেষে বই থেকে সামহোয়ার ইন-এর বন্ধুদের জন্য। হ্যালো আশিক, কেমন আছিস দোস্ত্? আশিক চমকে ওঠে কণ্ঠ শুনে। অপরিচিত কণ্ঠস্বর। বাবার জনমেও শোনেনি এই কণ্ঠস্বর। তবু কেমন পেয়ার করে কথা বলছে।

তাও আবার একটা ছেলে। মেয়ে হলে একটা কথা ছিল। সায়মা মাঝে মাঝে এমন দুষ্টুমি করে। কিন্তু কে এ’? আশিক বলে, আমি আপনাকে চিনতে পারছি না। ‘আবার ঢং করে আপনি বলা হচ্ছে।

তুই কি সত্যিই আমাকে চিনতে পারছিস না? তোর স্কুলের নামটা বলত? সৈয়দপুর আদর্শ বিদ্যালয়? আরে শালা আমি ও ঐ স্কুলের ছাত্র। তোর কাসমেট ছিলাম। তবুও চিনতে পারছিস না? আমি সুজন। নাম বলার পরেও চিনতে পারছিস না? তোর মাথা একেবারে গেছে। শালা এত কষ্ট করে তোর মোবাইল নম্বর জোগাড় করলাম, শালা আমাকে চিনতে পারছিস না? দেখা হলে নিশ্চয় চিনবি।

তুই কবে আমার সাথে দেখা করছিস? ঠিক আছে নিউ মার্কেটে বৃহস্পতিবার বিকাল পাঁচটায় চলে আয়। রাসেল লাইন কেটে দেয়। আশিককে সে তার নাম সুজন বলেছে। বলার দরকার ছিল। সে আশিকের কোনও বন্ধুও নয়।

আশিককে সে কখনো দেখেওনি। কিন্তু আশিককে তার দরকার। আজ বিকেলে সে নিউমার্কেটের একটা মিডিয়া সেন্টারে মেয়েটাকে দেখে। উফ্ । কী দারুণ চেহারা! হালকা গোলাপি শাড়িতে তাকে যা লাগছিল না? রাসেলের তো পাগল হয়ে যাওয়ার দশা।

মেয়েটা এসেছিল মোবাইল করতে। সে দোকানের লোকটাকে বলে, একটা মিস্ কল দেন তো? মেয়েটা নাম্বার বলে, ভদ্রলোক মিস্ কল দেন। নাম্বারটা রাসেল মুখস্ত করে ফেলে। হ্যালো আশিক? ওপ্রান্তের লোকের নাম তা হলে আশিক? রাসেল ােভে ফেটে পড়ে আশিক কেন এই সুন্দরীর প্রেমিক হবে। আশিক যেই হোক না কেন তাকে ভাগিয়ে দিতে হবে এই সুন্দরীর জীবন থেকে।

যে সুন্দরী প্রেমিকাকে একটা মোবাইল কিনে দেওয়ার যোগ্যতা রাখে না, ঐ সুন্দরীকে পাওয়ার কোন রাইট তার নেই। ভাবতে থাকে কী করে ভাগানো যায়। আশিকের সাথে বন্ধুত্ব করতে হবে। আশিক সুজনের (রাসেল) সাথে দেখা করে। সে চিনতে পারে না।

রাসেলের ব্যবহারে তার খুব লজ্জা লাগে সে তার এমন একজন ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে চিনতে পারছে না। দু’জনে নিউমার্কেটে কফি খায়। রাসেলের আন্তরিকতায় মুগ্ধ আশিক। গড়গড় করে বলে দেয় প্রেমের যাবতীয় ইতিহাস। রাসেল আশিক-সায়মা জুটির সম্মানে ভ্যালেন্টাইন্সডেতে একটা পার্টি দিতে চায়।

আশিক সানন্দে রাজী হয়। ফ্যান ফেয়ার-এ শনিবার সকাল নয়টায়। রাসেল খুশি ধরে রাখতে পারে না। সায়মা তুমি হবে আমার। ভ্যালেন্টাইন্সডের দিনে এমন একটা কিছু হবে।

ঐদিনই প্রেমের ভিত্তি প্রস্তরস্থাপিত হবে। সায়মা রাসেলকে চিনতে পারেনি। রাসেল ভাবল সুবিধাই হলো। খুব সহজে রাসেল স্য়ামাকে ফ্রি করে নিলো। সায়মা আশিককে তিরস্কার করতে লাগল, এমন একজন বন্ধুকে এত দিন ভুলে থাকার জন্য।

অনুষ্ঠানে রাসেল ঘোষণা করল, সে আশিক সায়মার প্রেমের জন্য এমন একটা উপহার এনেছে যা তাদেরকে এনে দেবে আরও কাছাকাছি, রাতের গভীরে বেড রুমে। আশিক-সায়মা খুব রোমাঞ্চিত হচ্ছিল। রাসেল, সায়মাকে গিফ্ট করল সংযোগসহ মোবাইল সেট। সায়মা তো পেয়ে খুশিতে একেবারে ‘ওয়াও’ করে উঠল। রাসেলের আর কিছুই করার প্রয়োজন হয়নি।

নিজের মোবাইল থেকে দিনে রাতে ওয়ান টু ওয়ান কল সায়মার মোবাইলে। আলাপন, প্রলাপন, সায়মাকে নিত্য নতুন উপহার দেওয়া। তারপর একদিন আশিক দেখতে পেলো কীভাবে টোপ দিয়ে তার প্রেমিকাকে শিকার করা হলো, আর তার প্রেম হলো চুরি। আশিক এখন সব জানে। কিছুই করার নেই তার।

সায়মা এখন পূর্ণ মাত্রায় রাসেলের। কিন্তু, রাসেল কী সায়মার? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.