আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কৌতুক ৮: প্র্যাকটিস

মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনুলোতে, অজস্র তরুণ কি অসম সাহসিকতা নিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করেছিল! প্র্যাকটিস: কাহীনি লন্ডনে। এক শিখ প্রচুর রুটি খেতে পারে। বন্ধু-বান্ধব সবাইই জানে যে সে এক বসায় এক হাজার রুটি অনায়াসেই খায়। একবার তাকে চ্যালেন্জ করে বসল এক বৃটিশ। : তুমি রুটি খাওয়ার প্রতিযোগিতায় আমার সাথে পারবে না।

শুনে ভীষণ ক্ষেপে গেল শিখ। : প্রশ্নই ওঠেনা। আমি কেমন রুটি খেতে পারি বন্ধু-বান্ধব সবাইই জানে । তার উপরে আমি খাই দেশি রুটি, তোমার মত পাউরুটি না। এই কথা শুনে বৃটিশটি মোটেও দমল না, বরং চতুর হাসি হেসে বলল, আমি তোমার সাথে বাজী ধরতে চাই।

রুটি খাওয়ার প্রতিযোগিতা করব আমরা দু'জন, যে জিতবে সে অপরকে ১০০ পাউন্ড দেবে। যুদ্ধংদেহী ভংগীতে বাজী গ্রহন করল শিখটি। নির্দিষ্ট দিনে উভয়ে বসল। শিখ ও বৃটিশ দু'জনের পাশেই বিপুল পরিমান রুটি। উভয়ের বন্ধু-বান্ধব এই প্রতিযোগিতা দেখার জন্য তাদের চারদিকে গোল হয়ে বসেছে।

শিখটি একটানে ৩০০ টি রুটি খেয়ে ফেলল। বৃটিশটিও একটানে ৩০০ টি রুটি খেয়ে ফেলল। এরপর শিখটি আরও ২০০ টি রুটি খেয়ে ফেলল। এবার বৃটিশটি খেল ২৫০ টি রুটি । এরপর শিখটি খেল ১০০ টি রুটি।

বৃটিশটি খেল ১২০ টি রুটি । দর্শকরা একে অপরের মুখ চাওয়া-চাওয়ি করছে। এমনটা তারা আশা করেনি। এরপর শিখটি খেল ২০ টি রুটি। তার পর পর বৃটিশটি খেল ৫০ টি রুটি।

এরপর শিখটি অনেক কষ্টে ৩ টি রুটি খেল। বৃটিশটি আরও ১০ টি রুটি খেল। আর না পেরে হার মানল শিখ। বাজীতে হেরে ১০০ পাউন্ড দিয়ে দিল বৃটিশটিকে। বিজয়ের উল্লাস নিয়ে হাসতে হাসতে চলে গেল বৃটিশটি ।

এহেন ফলাফলে হতবাক শিখটির বন্ধু-বান্ধব। বিস্মিত হয়ে তারা প্রশ্ন করল, ''কিরে তুই তো অনায়াসেই একটানে ১০০০টি রুটি খেতে পারিস, আজ এমন হলো কেন ?" চিন্তিত মুখে শিখটি বলল, " আমিও কিছু বুঝতে পারছি না, কেন যে এমন হলো! আমি নিস্চিত আমি একটানে হাজারটি রুটি খেতে পারি, এমনকি এই প্রতিযোগিতায় আসার আগেও, আমি বাসায়, ১০০০টি রুটি খেয়ে প্র্যাকটিসও করে এসেছি। " ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।