দিল ঠান্ডা তো দুনিয়া ঠান্ডা। হরর গেম অনেকেই পছন্দ করেন। ভয় ভয় একটা অনুভুতি আর উত্তেজনা আমাদের সাময়িকভঅবে দৈনন্দিন জীবন থেকে মুক্তির আশ্বাস দেয়। তবে কিছু গেম আছে, যেগুলো সব অবাস্তবতা আর গল্পকে ছাড়িয়ে গিয়ে সত্যি হয়ে ওঠার প্রতিশ্রতি দেয়। কথনো এই প্রতিশ্রুতি হয়ে উঠতে পারে ভয়ঙ্কর।
ঠিক এই ব্যপারটাই ঘটেছে এমনেশিয়া: দ্য ডার্ক ডিসেন্ট গেমটিতে। ফ্রিকশন গেমস এর ডেভলপ করা এমনেশিয়া: দ্য ডাক ডিসের্ন্ট গেমটি অচিরেই সর্বকালের সেরা হরর গেম এর অবস্থান পেতে যাচ্ছে কম্পিউটার গেমস এর ইতিহাসে।
গেমটির মজা এর হঠাৎ চমক আর আর অপ্রত্যাশিত সব ঘটনায়, যেগুলোর মুখোমুখি হবার কথা আপনি কখনো চিন্তাও করেননি। পরের মুহুর্তে কি হতে যাচ্ছে, সে সম্পর্কে কোন ধারনা না নিয়েই যে কোন মুহুর্তে যে কোন কিছু মোকাবেলা করার মত মানসিকতা নিয়েই গেমটি খেলে যেতে হবে আপনাকে।
গেমটির মুল আকর্ষন যদিও এর চমকের ঘনঘটা, তারপরেও খেলার আগে কিছু জানা থাকলে সুবিধা হবে।
আপনি খেলবেন এমন একজন মানুষের চরিত্রে যে এক পারশিয়ান প্রাসাদে জেগে উঠে। ওঠার পরে সে দেখে শুধু নাম “ড্যানিয়েল” ছাড়া আর কোন কিছুই মনে নেই তার। কেবল মনে আছে কেউ একজন তাকে ধাওয়া করে বেড়াচ্ছে, তাকে পালাতে হবে, বাচতে হবে সেই ধাওয়াকারীর হাত থেকে।
এভাবেই শুরু হয় গেমটির কাহিনী। একে একে আবিস্কার হয়, তাকে ধাওয়াকারীরা সাধারণ ”কেউ” নয়, বরং তারা ”কিছু একটা”।
এদের হাত থেকে বাচতে হবে, লুকিয়ে বেড়াতে হবে প্রসাদের এখানে সেখানে, ব্যবহার করতে হবে বিভিন্ন কৌশল আর সমাধান করতে হবে বিভিন্ন রকম জটিল সব ধাধা। এই মুহুর্তে আপনি ধাধার সমাধান করছেন তো পরের মুহুর্তে আপনি জান হাতে করে পালাচ্ছেন। পুরো গেমটিতে আপনার ভুমিকা রক্ষনাত্বক। আপনি আনার শত্রদের হামলা করতে পারছেন না, কিংবা তাদের কোন ক্ষতি করতে পারছেন না। একজন অসহায় মানুষ হিসেবে আপনার চেষ্টা কেবল কোনভাবে বেচে থাকা।
এর জন্য আপনাকে লুকাতে হবে বিভিন্ন ঘরে, বিভিন্ন কৌশলে। প্রতি মুহুর্তে আপনার ভয় হবে, এই বুঝি দেখে ফেলল, আপনি শুনতে পারবেন, কেউ একজন আপনার দিকে এগিয়ে আসছে, আপনি মনে প্রানে প্রার্থনা করছেন, আপনার লুকাবার জায়গাটি যেন ভাল হয়, সে যেন আপনাকে দেখতে না পারে, আপনাকে পাশ কাটিয়ে যায়। একজন এর হাত থেকে বেচে আপনি হাফ ছাড়বেন, সে হবার জো নেই। পরের মুহুর্তেই আরেকজন এর খপ্পরে পড়তে পারেন, আবার সেটা কয়েক মিনিট পরেও হতে পারে।
উন্নত গ্রাফিক্স আর মানসম্পন্য শব্দ শৈলী এই গেমটিকে করে তুলেছে এক উপভোগ্য গেম হিসেবে, অবশ্য কেউ যদি ভয়ে চুল খাড়া হয়ে যাওয়াকে উপভোগ বলতে পারেন আরকি!
গেমটি ফার্স্ট পারসন, ইচ্ছে মত সেভ করা যায়না, এমনকি কখন সেভ হল সেটাও সে আপনাকে জানাবে না, তাই আপনাকে সবসময়ই খেলতে হবে, ”এই মুহুর্তই শেষ মুহুর্ত” এরকম একটি ভঙ্গি নিয়ে।
অনেক গেম এ ভয় দেখাবার একটা ওঠানামা থাকে, কোন কোন মুহুর্ত থাকে যখন আপনি একটু নিশ্চিন্ত হয়ে বসতে পারেন, যাক, এখন অন্তত কোন দানব এর আক্রমন সামলঅতে হবে না। কিন্তু এমনেশিয়া: দ্য ডার্ক ডিসেন্ট গেমটিতে সেই কথা ভূলে যান। গেম শুরুর মুহুর্ত থেকে আপনি যে কোন সময় যেকোন আক্রমন, যেকোন দুর্ঘটনার জন্য পুরোপুরিই ওপেন। যেকোন কিছু ঘটতে পারে, আক্ষরিক অর্থেই যেকোন কিছু।
তাহলে, আপনি কি প্রস্তুত এই হরর গেমটি খেলার জন্য? তবে আর যাই করুন, মধ্যরাতে এই গেমটি খেলতে বসবেন না যেন।
কিছূ দুর্ঘটনার কথা শোনা গেছে ইন্টারনেটে!
সিস্টেম রিকয়ারমেন্টস: প্রসেসর: ইণ্টেল ডুয়াল কোর ২ গিগা হার্জ
র্যাম: ২ গিগা ভিস্তা/ ১ গিগা এক্সপি
হার্ডড্রাইভ: ৩ গিগাবাইট
গ্রাফিক্স কার্ড: ২৫৬ মেগাবাইট সম্পন্য যেকোন থ্রিডি কার্ড।
(এই রিভিউটা আগে সকালের খবর দৈনিক পত্রিকায় আমার নামে প্রকাশ হয়েছে)
আমি একটা ব্যক্তিগত ব্লগ ডেভলপ করছি। সময় পেলে একটু দেখবেন সবাই।
এটা তার ফেসবুক পেজ। একটা লাইক আশা করছি, যদি সাইটটা ভাল লাগে আপনাদের... ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।