৩৪৭ রানের বিশাল জয় পাঁচ ম্যাচের অ্যাশেজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে দিয়েছে স্বাগতিক দলকে। তৃতীয় টেস্ট শুরু হবে ১ অগাস্ট থেকে, ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে।
জিততে হলে ৫৮৩ রান করে রেকর্ড গড়তে হতো অস্ট্রেলিয়াকে। চতুর্থ ইনিংসে সবচেয়ে বেশি রান করে জয়ের কীর্তি ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ২০০৩ সালে অ্যান্টিগায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই ৪১৮ রান করে তিন উইকেটে জিতে ক্রিকেট-বিশ্বকে চমকে দিয়েছিল ক্যারিবীয়রা।
প্রায় অসাধ্য লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩৬ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলা অস্ট্রেলিয়ার পরাজয় সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।
চতুর্থ উইকেটে অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্কের (৫১) সঙ্গে ৯৮ রানের জুটি গড়ে দলকে অসম্ভব কিছুর স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন উসমান খাজা (৫৪)। তবে পর-পর দুই ওভারে দুজনকেই ফিরিয়ে দেন অনিয়মিত অফস্পিনার জো রুট।
শেষ চার ব্যাটসম্যান অবশ্য দারুণ প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। অ্যাশটন অ্যাগার (১৬) ও পিটার সিডল (১৮) বিদায় নেয়ার পর প্যাটিনসন (৩৫) ও হ্যারিস (১৬*) শেষ জুটিতে ৪৩ রান যোগ করেন।
দিনের শেষ ওভারের তৃতীয় বলে গ্রায়েম সোয়ান প্যাটিনসনকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেললে জয়ের আনন্দে মেতে ওঠে ইংল্যান্ড। ৭৮ রানে ৪ উইকেট নিয়ে সোয়ানই স্বাগতিক দলের সেরা বোলার।
সকালে ৫ উইকেটে ৩৩৩ রান নিয়ে খেলা শুরু করা ইংল্যান্ড রুটের দ্বি-শতকের অপেক্ষায় ছিল। তবে ১৭৮ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামা ইংল্যান্ডের নতুন তারকা রোববার দুই রানের বেশি করতে পারেননি। রুট আউট হওয়ার সঙ্গে-সঙ্গে ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিকরা।
১৮০ রানের দুর্দান্ত ইনিংসের পাশাপাশি ক্লার্ক ও খাজার দুটো মূল্যবান উইকেট নেয়া রুটের হাতে উঠেছে ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড: ৩৬১ (বেল ১০৯, বেয়ারস্টো ৬৭, ট্রট ৫৮; হ্যারিস ৫/৭২, স্মিথ ৩/১৮) ও ৩৪৯/৭ ডিক্লে. (কুক ৮, রুট ১৮০, ট্রট ০, পিটারসেন ৫, ব্রেসনান ৩৮, বেল ৭৪, বেয়ারস্টো ২০, প্রায়র ১*; সিডল ৩/৬৫, হ্যারিস ২/৩১, প্যাটিনসন ১/৪২, স্মিথ ১/৬৫)
অস্ট্রেলিয়া: ১২৮ (ওয়াটসন ৩০, ক্লার্ক ২৮; সোয়ান ৫/৪৪, ব্রেসনান ২/২৮) ও ২৩৫ (ওয়াটসন ২০, রজার্স ৬, খাজা ৫৪, হিউজ ১, ক্লার্ক ৫১, স্মিথ ১, হ্যাডিন ৭, অ্যাগার ১৬, সিডল ১৮, প্যাটিনসন ৩৫, হ্যারিস ১৬*; সোয়ান ৪/৭৮, রুট ২/৯, ব্রেসনান ২/৩০, অ্যান্ডারসন ২/৫৫)
ম্যাচ সেরা: জো রুট।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।