কি বলব
মোবাইলে পরিচয়ের সূত্র ধরে বন্ধুত্ব হয় দু’জনার। দীর্ঘদিন টোনাটুনির মতো প্রেম করে এক সময় দেখাও হয়। বিভিন্ন জায়গায় দেখা, আড্ডা, ঘনিষ্ট সময় কাটানোর পর দু’জনার প্রেমের কাহিনী শুরু। তারপর বন্ধুদের সাথে মিলে মিথ্যে কথা বলে, বন্ধুর বাসায় নিয়ে তিন বন্ধু মিলে প্রেমিকাকে গণধর্ষণ করে। এই ঘটনার পর মেয়ে তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়ে বাসায় গিয়ে তার পরিবারকে সব কিছু জানালে মেয়ের বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করে।
ঘটনাটি ঘটেছে ধানমন্ডি এলাকায়। ধানমন্ডি থানায় এই ঘটনার একটি মামলা হয়েছে, মামলা নং-৫, তারিখ: ০৬-০৭-১১। এ মামলায় তিনজনকে আসামি করা হয়। তাদের নাম হচ্ছে, মোঃ রেজাউল, ফয়সাল, শেখ হক সাহান। মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, মূল ঘটনার নায়িকা তেজগাঁও স্টেশন রোডের বাসিন্দা মো. হাফিজ উল্লাহর মেয়ে নাবিলা হাফিজ (১৮)।
ব্রিটিশ কাউন্সিলের এ লেভেলের ছাত্রী। নাবিলার সাথে মোবাইলে পরিচয় হয় বসুন্ধরা এলাকার বাসিন্দা মো. ফয়সালের সাথে।
একপর্যায়ে তাদের মধ্যকার সম্পর্ক বন্ধুত্বে রূপ নেয়। এ সুযোগে নাবিলা এবং ফয়সাল ধামন্ডির লেক, ডিঙ্গি রেস্টুরেন্টে প্রায় দেখা করত। কিন্তু গত ৪ জুলাই বিকেলে ডিঙ্গি রেস্টুরেন্টে নাবিলার সাথে ফয়সাল তার বন্ধু শেখ সাহানের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়।
ডিঙ্গিতে তারা কিছুক্ষণ সময় অতিবাহিত করার পরে শেখ সাহান, ফয়সাল এবং নাবিলাকে অন্য ভালো কোনো চাইনিজ রেস্তোরাঁয় খাওয়ানোর প্রস্তাব দিলে ফয়সাল এবং নাবিলা সানন্দে গ্রহণ করে।
এর পরে তারা একটি সিএনজি ভাড়া করে ধানমন্ডিসহ এর আশপাশে ঘোরাঘুরি করার পরে হঠাৎ ফয়সাল ফ্রেশ হওয়ার অজুহাতে সাহান এবং নাবিলাকে তাদের বন্ধু রেজাউল সাহানের ৭নং রোডের ৫১১ এর বাসায় নিয়ে যায়। ঘড়িতে তখন সন্ধ্যা ৭টা। কিন্তু হঠাৎ করেই সাহান বাসার ছিটকানি লাগিয়ে দিয়ে উধাও হয়। নাবিলা ছিটকানি লাগানোর কারণ জানতে চাইলে রেজাউল এবং ফয়সালের কাছ থেকে কোনো ভালো উত্তর পায়নি।
একপর্যায়ে আচমকা ফয়সাল এবং রেজাউল নাবিলার উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং পালাক্রমে সারা রাত ধর্ষণ করে।
এদিকে নাবিলার মোবাইল বন্ধ থাকায় তার বাবা মো. হাফিজ উল্লাহ সকালে ধানমন্ডি এলাকায় খুঁজতে আসে। হঠাৎ করেই মেয়ের ফোন। অবশেষে বাবা তার ধর্ষিত মেয়েকে নিয়ে গত ৬ জুলাই ধানমন্ডি থানায় গিয়ে সকাল ১০টা ১০ মিনিটে নারী ও শিশু নির্যাতন আইন ২০০০ সংশোধিত ২০০৩ এর ৯(৩)/৩০ এর ধারায় মামলা রুজু করেন। মামলা নং-৫, তাং-০৬-০৭-১১।
এ মামলার বাদী মো. হাফিজ উল্লাহ ৩ জনকে আসামি করেন।
এ মামলার ১নং আসামি মোঃ রেজাউল (৩১), ২নং আসামি ফয়সাল (৩০), ৩নং আসামি শেখ হক সাহান (২৮)। মামলাটির তদন্তের দায়িত্বে রয়েছেন এসআই জাকির হোসেন। মামলা রুজু করার প্রথম দিনেই দুপুর ৩টার সময় ১নং আসামি রেজাউলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি দু’জন পলাতক রয়েছে।
এ ব্যাপারে তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেন এর সাথে আলাপ করলে তিনি জানান, ঘটনার মূল আসামি ধরা পড়েছে। বাকি দু’জন অচিরেই ধরা পড়বে। উল্লেখ্য যে, এই তিনজন দু’মাস আগে অন্য একটি ঘটনায় ধানমন্ডি থানায় গ্রেফতার হয়েছিল। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।