আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আক্কেলপুরে মাদ্রাসা ছাত্র কর্তৃক ৭ বছরের শিশু বলৎকারের শিকার

আমি বেশ চুপচাপ!! এই খবরটা তো পড়বেনই তার আগে শুনুন এক অশনি সংকেত। বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি আলোচিত ঘটনার সাথে মাদ্রাসা আর মাদ্রাসা ছাত্ররা জড়িত। এই যেমন জেএমবিসহ আরো বেশ কয়েকটি জঙ্গি দলের উদ্ভব এই মাদ্রাসাগুলো থেকেই। গত হরতালে লাঠিসোটাসহ মিছিল আর পিকেটিং এর যে ছবি আপনারা দেখেছিলেন সেখানেও ছিল মাদ্রাসার ছাত্ররা। বি.দ্র. - আমাদের এলাকায় সবচেয়ে শয়তান আর পাজি ছেলেদেরকেই মাদ্রাসায় দেয়া হয়।

আর এই মাদ্রাসা থেকেই শিক্ষা নিয়েছে জামাত, ইসলামী আন্দোলন সহ আরো সব ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করা রাজনীতিবিদরা। এই কথিত ধর্ম ব্যবসায়ীরা যদি ক্ষমতায় যায়, তবে তারা কি করতে পারে তা পাঠকের মন্তব্যে প্রকাশ পাবে বলে আশা রাখি। এবার খবরটা পড়েন................ জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার রুকিন্দীপুর ইউনিয়নের হাজরা পাড়া গ্রামে বুধবার ৮ম শ্রেণীতে পড়ূয়া সুমন নামে এক লম্পট মাদ্রাসা ছাত্রের বলাৎকারের শিকার হয়েছে সাত বছরের এক অবুঝ ছেলে শিশু। গুরুত্বর অসুস্থ অবস্থায় রক্তাক্ত শিশুটিকে উদ্ধার করে সাথে সাথে নিকটস্থ আক্কেলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নেয়া হয়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসা দিতে তাকে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

এ ঘটনাটি জানা মাত্র জেলা প্রশাসক অশোক কুমার বিশ্বাস আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এএসএম রফিকুন্নবীকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আক্কেলপুর থানা পুলিশকে জরুরি ভিত্তিতে ওই লম্পট মাদ্রাসা ছাত্র সুমনকে গ্রেফতার করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দিয়েছেন। তবে এ রির্পোট লেখার সময় পর্যন্ত তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। লম্পট সুমন ঘটনার পর পরই বাড়ি থেকে পালিয়েছে । সংশ্লিষ্ট পুলিশ, ভিকটিমের আত্মীয়-স্বজন, ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বুধবার আনুমানিক সকাল ১০টায় জেলার আক্কেলপুর উপজেলার রুকিন্দীপুর ইউনিয়নের হাজরা পাড়া গ্রামের কৃষক বাবুর ছেলে একই উপজেলা কাঁঠালবাড়ি আর,কে মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণীর ছাত্র সুমন তার বাড়ি সংলগ্ন প্রতিবেশি ফেরদৌসের ৭বছরের কোমলমতি নিস্পাপ ছেলেকে ফুসলিয়ে নিজের বাড়ির ভেতরে ডেকে তার শয়ন কক্ষে নিয়ে গিয়ে জাপটে ধরে জোরপূর্বক বলাৎকার করে। এ সময় শিশুটি রক্তাক্ত আহত হলে যন্ত্রনায় চিৎকার শুরু করে।

তার আর্ত চিৎকার শুনে আশে-পাশের প্রতিবেশি এবং ওই সময় বাড়িতে থাকা শিশুটির মা ও চাচা সহ অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনরা সুমনদের বাড়িতে ছুটে গিয়ে প্রায় সংজ্ঞাহীন অবস্থায় রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে দ্রুত আক্কেলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। ঘটনার পর পরই লম্পট সুমন বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। তবে তাকে গ্রেফতার করতে জোর পুলিশী তৎপরতা চলছে । সৃষ্টিকর্তা তাদের বোধোদয় দান করুক.................... ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।