বেচেঁ থাকার স্বাদ নিচ্ছি...
অফিসে বসে কাজ করছি, গভীর মোনোযোগ এর কাজ । এমন সময় আমার আমার ফোন বাজছে ফাকিবাজি মনটা প্রান চান্চল্যে ভরে গেলো যাক একটা কর্ম বিরতি পেলাম । ফোনটা ধরে দেখলাম পুরোনো এক বন্ধু ফোন দিয়েছে নাম রাজিব , কিছুক্ষন আমি কেমন আছি, কি করছি আজকার ইত্যাদি নানা কিছু জিগ্বেস করে তেনা পেচিয়ে এবার আসল আমাকে ফোন দেবার মুখ্য কারনে মানে আমাকে আমার বন্ধুবান্ধব যে কারনে মনে করে কারন টা হলো হয় কম্পিউটার এ কিছুতে আটকে গেছে, কম্পিউটার নস্ট হয়ে গেছে, অথবা নতুন কোনো কম্পিউটার কিনবে, যাই হোক আমাকে ফোন করার মোটিভ আগেই আনুমান করে ছিলাম । রাজিব একটা পুরোনো কম্পিউটার কিনবে আমর কাজ হলো যার কাছ থেকে কিনবে সে বাসায় যেয়ে কম্পিউটার টা চেক করা আর রাজিব এটা কিনবে কি কিনবেনা এ বিষয়ে আমার সাজেশন দেয়া। এবং আমার সাজেশন ই ই চুরান্ত ।
ওকে ফাইন আমি রাজিব
কে বল্লাম দোস্তো আমি তোরে অফিস আওয়ার এর পর শন্ধ্যায় সময় দিব । সেরকমি কাজ হলো শন্ধ্যায় দুই বন্ধু মিলে গেলাম কম্পিউটার অলার বাড়ি। পুরোনো বাড়ি, দেখে মনে হয় ব্যাচেলর এর ঘর বাড়ি। গিয়ে দেখলাম পোঢ় কিসিমের বয়সের এক ভদ্রলোক, ব্যাবহার অত্যন্ত ভালো আমাকে রুম দেখিয়ে দিল । কম্পিউটার টা সেট করা নেই, এখানে মনিটর ওখানে সিপিও..আর পাওয়ার ক্যাবল তো বাক্সবন্দি।
যাই হোক বন্ধুর কাজ করে দিতে আসছি কি আর করা । কম্পিউটার দেখে যতোনা হতাশ তার চেয় বেশি হতাশ বেটার ইলেক্ট্রেসিটির অবস্থা দেখে। খুবই নাজুক তার কারেন্টের অবস্থা। ক্যবল গুলাতে ব্লাকটিপ মারা, পাওয়ার স্ট্যবিলাইজার এর প্লাকটাও টেপ পেচানো । ভাবছি হাত দিব কি দিব না...বেপক নাজুক অবস্থা ।
শেষ পর্যন্ত প্লাক টা হাতে নিয়ে কারেন্টের কাছে গেলাম সকেটে ঢুকালাম..........তারপর? মনে হলো আমারে কে যেনো একটা লাত্থী মারল মানে মাঝারি সাইজের একটা শর্ট খেলাম । কিছুক্ষন সময় লাগল ব্যাপারটা বুঝতে আমার । আমি পাশেই বিছানায় একটু বসলাম তখন বাইরে বৃষ্টি পরছিল, আমার গা ভেজা ছিল কিছুটা। সে কারনে হয়তো শর্টটা বেশি লাগছে । ভাবছি পাশের রুম থেকে রাজিব কে ডাক দিব কিনা, ডেকে বলব ক্যাবল এ প্রবলেম আছে।
আবার চিন্তা করলাম আমি আই টি লাইনের মানুষ কারেন্টরে ডরাইলে ক্যামনে হয় দেখি হাত টা মুছে আরেকবার চেষ্টা করি । করলামো তাই। তবে আগের চেয়ে একটু সাবধানে আমার মনে হলো কে যেনো আমারে একটা থাপ্পর দিল ঠাস করে মানে দ্বীতিয়বার মতো শর্ট খাইলাম । তবে আগের বারের চেয়ে কম পাওয়ারের। দ্বীতিয় শর্ট খেয়ে কি করব ভেবে পাচ্ছিনা ।
মন আমার পুরো বিক্ষিপ্ত কি করব ভাবছি । যাব নাকি ডাইন ডাইন তিন ডাইন ? হঠাত করে একটা খেয়াল হলো আমার মাথায় ডাইন ডাইন দুই ডাইনে তো কারেন্ট বাবজি (যার কোনো বাপ মা নেই) আমারে একটু মহব্বত করে ছেরে দিছে এখন ডাইন ডাইন তিন ডাইনে যদি না ছাড়ে ? সারা জীবন শুনে আসছি ডাইন ডাইন তিন ডাইন। তিন ডাইনে যদি ধরা খেয়ে যাই.......
পরিশেষ : দুইবার শর্ট খেয়ে আমি তৃত্বীয়বার মানে ডাইন ডাইন তিন ডাইনে না যেয়ে ক্যাধের ব্যাগটা ক্যাধে নিয়ে কাউকে কিছু না বলে সোজা নিচে নেমে রিকশা নিয়ে বাসায় চলে আসলাম ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।