আমি নির্বাক হয়ে গেলে তোমার পতন অনিবার্য ! `ভূতের মুখে রাম নাম' বলে একটি কথা আছে। ভিকারুন্নেসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ হোসনে আর বেগম আবারও সেটি প্রমাণ করলেন। রোববার তিনি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ধর্ষণকারী শিক্ষক পরিমলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন। খবর বাংলানিউজ
অথচ এই অধ্যক্ষই ক'দিন আগে, যখন ধর্ষকের শাস্তির দাবিতে একটু আধটু করে সবাই সোচ্চার হচ্ছিল, তখন এটাকে `মিউচুয়াল সেক্স' বলে আখ্যায়িত করেছেন। এমনকি পরিমল জয়ধরসহ অভিযুক্ত অন্য শিক্ষকদের বাঁচাতে তিনি তৎপর ছিলেন।
অভিযোগ পেয়েও চুপটি মেরে থাকা, বসুন্ধরা শাখার এক শিক্ষকের কথার প্রত্যুত্তরে `আপনারা দেখি পরিমলকে চাকরিচূত্য করেই ছাড়বেন' বলেছিলেন। এছাড়া আন্দোলনরত ছাত্রীদের ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এখন যখন পরিমলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবির পাশাপাশি তার পদত্যাগের দাবি উঠছে, তখন তিনি তড়িঘড়ি করে মিডিয়ায় প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে পরিমলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছেন। বিশ্বস্ত্র সূত্র মতে, ভিকারুন্নেসায় পরিমলের চাকরী হোসনে আরার মাধ্যমেই হয়েছে। বিনিময় তিনি নাকি ৮ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন।
অধ্যক্ষ হোসনে আরা বেগম বুঝতে পারছেন, নরপিশাচ পরিমলের পক্ষ নেওয়ায় এখন তার ভীতটাই নড়বড়ে হয়ে যাচ্ছে, তাই চাচা আপন প্রাণ বাঁচার মতো নিজেই পরিমলের বিচার চাইলেন।
শিক্ষক নামের কলঙ্ক পরিমলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। সঙ্গে অধ্যক্ষেরও শাস্তি হওয়া দরকার। কারণ আর কেউ যাতে এমন জঘণ্য অপরাধীর পক্ষপাতিত্ব করার সাহস না পায়।
যেদিন পরিমল গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলো, আমার অ্যাসাইনমেন্ট না হলেও আমি সেদিন ডিবি কার্যালয়ে গিয়েছিলাম, কুলাঙ্গারটাকে একনজর দেখতে।
তার মুখে থুথু ছিটাতে। অনেক ভীড় থাকায় থুথুটা দিতে পারিনি। কিন্তু তার কানে কানে একটা `জঘণ্য গালি' দিয়ে নিজেকে কিছুটা হালকা করেছিলাম।
শালা এত চতুর, সেদিন একটি বারের জন্যও কোনো কথা বলেনি। কিন্তু যে যা বলছে তার দিকে তাকিয়ে ছিল।
গালিটা দেওয়ার পর আমার দিকেও কিছুক্ষণ তাকিয়েছিল। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।