প্রতিদিনই অদ্ভুত এক ইচ্ছা জাগে আমার, ইস!আমি যদি কচ্ছপ হতে পারতাম। কি চমৎকারভাবে মাথাটা দেহের ভিতরে গুটিয়ে নিয়ে পথ চলতে পারতাম,শরীরে শক্ত একটা খোলস থাকতো, অপমান বোধটা গায়ে লাগতো না। কিন্তু নিয়তির ছকে আমি বাধা, আমি কখনো কচ্ছপ হয়ে উঠিনা। পতিতালয় নিয়ে পূর্বে দুটি গল্প লিখেছি। এবার একটু ভিন্ন দিকে নজর দেয়া যাক।
শহরের আধুনিক ফ্লাট আর উচু দালানের রঙ্গীন কাঁচের দেয়ালের ভিতরে চলে আসা ডিজিটাল সেক্স বাণিজ্যের কিছু না বলা কথা। যে কথাগুলো হয়ত কখনই জানা হয়না। হয়ত মানুষ সেভাবে ভাবেও না। ব্যস্ত এই শহরের পর্দার বাইরের খবর আমরা কেউ রাখতে চাইনা। রাখার প্রয়োজনও পরেনা।
সবাই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকি। হয়ত মাঝে মাঝে ভদ্রতার খোলস ভেঙ্গে বেড়িয়ে আসে কর্পোরেট ঢাকার অন্তরালের কিছু চিত্র। যেখানে অর্থের বিনিময়ে বিকিকিনি হয় কাম,দেহ ভিত্তিক ভালোবাসা নামক এক আপেক্ষিক বস্তু । এ জগতের মানুষগুলোর খবরও আমরা রাখি না। রাখতেও চাইনা।
এবার আসল কথায় আসি। এসকর্ট এবং কলগার্ল দুটি একে অন্যের পরিপূরক শব্দ। পার্থক্য এসকর্টরা নিদিষ্ট স্থান কিংবা হোটেল নির্ভর নয়। এসকর্টরা চলমান, গতিশীল ও অদৃশ্য। তাদেরকে আপনি চারপাশে প্রতিনিয়ত দেখেন কিন্তু বুজতে পারেন না।
অর্থাৎ কলগার্ল প্রসটিটিউটের আপডেট ভার্সন এসকর্ট। গেল বছর এসকর্ট বিষয়টি নজরে আসে আমার বন্ধুর মাধ্যমে। এরপর থেকে বিষয়টি জানার কৌতূহল জাগে আমার। অনুসন্ধানী মন আকুলী বিকুলী করে একটু গভীরে জানার জন্য। হয়তো নিষিদ্ধ আর যৌনতার সুড়সুড়ি আছে বলেই!!!
এই শহরে এসকর্ট ব্যবসা ইদানিংকালে খুবই সুসংগঠিত ও শক্তিশালী।
প্রশাসনের নাকের ডগায় হরদম ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে কিছু লোক। রাজধানীর অভিজাত এলাকাসহ প্রায় সব এলাকায় চলছে এসকর্ট বিজনেস। মডেল যোগানদাতা অনেক পরিচালক এবং নামিদামি অভিনেত্রীরা এই কর্মযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছেন অবিরাম। ধানমন্ডিতে ফ্ল্যাট নিয়ে থাকেন এমন একজন এসকর্ট এজেন্টের সঙ্গে কথা হয় মাসখানেক আগে। নিজের ফ্ল্যাটেই চলছে তার ব্যবসা।
আছে ১০-১২জন এসকর্ট। রাজধানীর নামিদামি কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েরাও তার সাথে কাজ করে।
জীবনের স্বপ্ন পুরণের সহজ হাতিয়ার এসকর্ট বনে যাওয়া!দীর্ঘদিন এ নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট আর স্টিং অপারেশন করে একটি বিষয় জানতে পারলাম, পরিচালকদের লোভনীয় ফাঁদে পা দিয়ে, মডেল হওয়ার স্বপ্নে,কামনার বসে, একাকিত্ব দূর করতে কিংবা বন্ধুর মাধ্যমে উঠতি তরুণীরা জড়িয়ে পড়ছে এই পেশায়। সবাই যে টাকার অভাবে এই পেশায় নাম লিখিয়েছে তাও নয়, তবে বেশির ভাগই অর্থের নেশায়। এই এসকর্ট বাজারের ব্যবসা রমরমা, বিনিয়োগ ছাড়াই লাখ লাখ কামানোর সহজ পন্থা।
অনেকেই বাড়তি রোজগারের লোভে,ভাল ক্যারিয়ারের আশায়, কারোর কাছ থেকে প্রতারিত হয়ে কিংবা স্বামীর অবহেলায় ক্লান্ত হয়ে, প্রেমে ব্যর্থ হয়ে,নামকরা মডেল বা অভিনেত্রী হওয়ার আশায় এই শহরে গোপনে গোপনে নাম লেখাচ্ছেন এসকর্টের খাতায়। আছেন সিনেমা,টেলিভিশনের অভিনেত্রী থেকে শুরু করে উঠতি গায়িকা,মডেল ছাড়াও মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্ত পরিবারের বিবাহিত-অবিবাহিত মেয়েরা। এ যেন চেনামুখের আড়ালে অচেনামানুষ...!!!বাইরের থেকে দেখে কোনভাবেই বোঝা যায় না এরা এসকর্ট।
আর ক্লায়েন্ট..?? মূলত বেশিরভাগই ব্যবসায়ী,বড় চাকুরীওয়ালা। সাধারণের জন্য এ যেন আকাশ কুসুম কল্পনা।
তৃপ্তির সঙ্গে এক রাত্তির পার করতে গুণতে হয় ২৫ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা। যাদের কাঁচা টাকা ওড়াতে কোন বাধা নেই,কেবল তারাই এসকর্টদের নিয়ে মেতে ওঠেন কামনা-বাসনার জমকালো আয়োজনে। সাধারণ মানুষও যে নেই,তাও নয়। তবে সে সংখ্যা হাতে গোনা।
গেল সপ্তাহে কথা হয় এক এসকর্ট এজেন্টের সাথে।
জানা গেল, ক্লায়েন্টদের কাছে কম বয়সী স্কুল এবং কলেজের মেয়েদের চাহিদা বেশি। ফলে এই সব এসকর্ট এজেন্টদের নজর থাকে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের আর স্বনামধন্য ঢাকার স্কুল কলেজগুলোর দিকে। বিভিন্নভাবে ফাঁদ পেতে স্কুল-কলেজের মেয়েদের কৌশলে এসকর্ট বানানো হচ্ছে। অর্থের লোভ দেখিয়ে নতুন নতুন মেয়েদের নেটওয়ার্কে নিয়ে আসতেও যথেষ্ট দক্ষ এই চক্রটি।
এসকর্ট এজেন্সিগুলো কখনো কখনো ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিজনেস চালায়।
ক্লায়েন্টদের আকৃষ্ট করতে এসকর্টদের বিষয়ে যাবতীয় তথ্য, ছবি এবং রেট দিয়ে অনলাইন, ফেসবুকে পেইজে ছেড়ে দেয়া হয়। এসব ওয়েব সাইটে তরুণীদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার কথা বলে এসকর্ট হতে প্রলুব্ধ করানো হয়।
ক্যাটাগরি অনুযায়ী এসকর্ট পেতে টাকা অঙ্কেও পরিবর্তন আসে। এলিটদের জন্য বুকিং দিলে কমপক্ষে অর্ধলক্ষের ওপরে। তবে সময় বাড়লে রেটে তারতম্য হয়।
পছন্দের এসকর্টকে নিয়ে ঢাকার বাইরে যাওয়ারও সুযোগ আছে। আছে হিল ট্রাক্টস্, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার এমনকি দেশের বাইরেও নিয়ে যাওয়া সুযোগ। দরকার শুধু টাকা....টাকা....। পছন্দসই এসকর্ট অর্ডার দেয়ার পর রাজধানীতে আয়োজনে সময় লাগবে সর্বোচ্চ ২ঘণ্টা। অর্ডার দেয়ার পর এসকর্ট পছন্দ না হলে অর্ডার বাতিল করা যায়।
প্রাইভেসির জন্য শুধুমাত্র নগদ ক্যাশে বিল দিতে হয়। চাহিদা মতো এসকর্ট পেতে ক্লায়েন্টকে বেশ কিছু শর্ত পালন করতে হয়। অত্যন্ত গোপনীয়তায় কয়েক ধাপ পেরিয়ে পৌছতে হয় আসল ঠিকানায়।
বর্তমান বিশ্বে যেকোনো পণ্যের চেয়ে সেক্স এবং নারী পণ্যের বাজার রমরমা। শিশু বাদ দিলে চার বিলিয়ন মানুষ এর ক্রেতা কিংবা বিক্রেতা।
পৃথিবী যতদিন থাকবে ততদিন দুটি জিনিসের চাহিদা কখনোই কমবেন না। খাদ্য আর সেক্স। যেখানে জীবন সেখানে ক্ষুধা আর যেখানে মানুষ সেখানেই সেক্স। দুটিই মানুষের মৌলিক চাহিদা। এই চাহিদার শেষ নাই,তাই যোগানেরও কমতি নাই।
সবশেষে এটাই বলার এসকর্ট হচ্ছে সমাজে মুখোশের আড়ালে চালিয়ে যাওয়া একটি স্বাধীন পেশা। যেখানে পেশাজীবীরা থাকেন আড়ালে,অন্তরালে। এই সমাজে এদের সংখ্যা একেবারেই কম নয়.........................!!!!!!
কতদিন যৌনপল্লীতে যাইনা..!!!!! ১৮+
Click This Link target='_blank' >সেই মেয়েটি এখন সুপারস্টার ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।