ওয়েবসাইটে কলগার্ল ব্যবসা৷ তাও গোপনে নয়, প্রকাশ্যেই৷ রাজধানীর বনানীতে ‘এসকর্ট এজেন্সি’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এ ব্যবসা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে৷ এ ব্যাপারে তারা ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে ক্লায়েন্টদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা চালাচ্ছে৷ ক্লায়েন্টদের আকৃষ্ট করতে প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে কলগার্লদের যৌন আবেদনময়ী ছবি এবং সেলফোন নাম্বার দেয়া হয়েছে৷ এছাড়াও আছে কলগার্লদের শারীরিক সৌন্দর্যের বর্ণনা এবং তাদের সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্ট করার নিয়ম-কানুন৷ এছাড়াও দেহ ব্যবসা করে রাতারাতি লাখপতি হওয়ার লোভনীয় সুযোগ দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে এসকর্টের ওয়েবসাইটে৷ জানা গেছে, আজাদ রহমান নামে এক ব্যবসায়ী এসকর্টের কলগার্ল ব্যবসা পরিচালনা করেন৷ গতকাল ফোনে তিনি জানান, ‘নিছক দুষ্টুমি করার জন্যই ওয়েবসাইটটি খোলা হয়েছে৷ মেয়েদের ছবি এবং সেলফোন নাম্বার দিয়ে কেন এই দুষ্টুমি করছেন_ এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা কোনো অপরাধ নয়৷’ এসকর্টের ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, কলগার্লদের নিয়ে তাদের রয়েছে বিশাল ডাটাবেজ৷ গ্রাহক হওয়ার পরই কেবল এসব ডাটাবেজে প্রবেশ করা যায়৷ ডাটাবেজে কলগার্লদের ছবিসহ নানা বিষয় তুলে ধরা হয়েছে৷ অভিযোগে প্রকাশ, ৪ ক্যাটাগরির কলগার্ল নিয়ে ব্যবসা করছে এসকর্ট৷ এলিট-এ, এলিট-বি, প্রিমিয়াম-এ এবং প্রিমিয়াম-বি৷ বয়স, ফিগার এবং বুদ্ধিমত্তার ওপর ভিত্তি করে তারা ক্যাটাগরি নিধর্ারণ করেছে৷ এলিট ক্যাটাগরির কলগার্লদের স্বল্প সময়ের জন্য বুকিং দেয়া যায় না৷ প্রিমিয়াম ক্যাটাগরির কলগার্লদের আধ ঘণ্টার জন্য বুকিং দিলে কমপৰে ৪০ ডলার গুণতে হয়৷ আর এলিট শ্রেণীর সর্বনিম্ন রেট হচ্ছে প্রতি ঘণ্টা ২০০ ডলার৷ পুরো রাতের জন্য এলিট কলগার্লদের রেট ৮০০ থেকে ১০০০০ ডলার৷ প্রতি তিন সপ্তাহ অন্তর কলগার্লদের ডাক্তারি পরীৰা করা হয় এবং কলগার্লদের সংস্পর্শে এলে ক্লায়েন্টদের কোনো যৌনবাহিত রোগ হবে না বলেও ওয়েবসাইটে প্রচারণা চালাচ্ছে এসকর্ট৷ রাজধানী ঢাকার নামিদামি হোটেল, ফ্ল্যাট এবং ম্যাসেজ পারলারে এসকর্ট ক্লায়েন্ট-কলগার্ল প্রোগ্রাম সম্পন্ন করে৷ তবে টাকা হলে পছন্দের কলগার্লকে ঢাকার বাইরে রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার এমনকি দেশের বাইরেও নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে৷ ওয়েবসাইটে পরিচিতি, ছবি এবং সেলফোন নাম্বার থাকা ঢাকার দু’জন কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে তারা গোপন অভিসারের কথা অস্বীকার করেন৷ এদের একজন ওয়েবে থাকা স্টিল ফটোগ্রাফটি নিজের বলে স্বীকার করলেও তিনি যে কলগার্ল ধরনের কিছু নন, তা বারবার বোঝাতে চেষ্টা করেন৷ এসকর্ট যে বৈধভাবে এই ব্যবসা করছে তার সপৰে তারা ওয়েবসাইটে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল লেবেলিং অ্যান্ড রেকর্ড কিপিং ল’ (১৮ ইউ.এস.সি. ২২৫৭)-এর একটি রেফারেন্স তুলে ধরেছে৷ কিন্তু পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, এ ধরনের ব্যবসা কোনোক্রমেই বৈধ হতে পারে না৷ শাহবাগ থানার ওসি রেজাউল করিম বলেন, সরকারের অনুমোদিত যৌনপলস্নী ছাড়া আর সব জায়গাতেই দেহ ব্যবসা অবৈধ৷
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।