আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভিকারুন্নেসা নুন স্কুলে শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রীর শ্লীলতাহানী : একটি খোলা প্রশ্ন

দেশকে ভালবাসা বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার ফলে অনেক বড় বড় ঘটনাই ঘটছে প্রতিদিন। কিন্তু এর মাঝেও মাঝে মাঝে এমন কিছু ঘটনা ঘটে যায়, যা সব কিছুকে ছাপিয়ে চিন্তাশীল মানুষের বিবেককে গভীরভাবে নাড়া দেয়। ঠিক এরকম একটি ঘটনা ঘটে গেল রাজধানীর ‘ভিকারুন্নেছা নুন স্কুলে’। বাবার মর্যাদার একজন শিক্ষক (!!) কর্তৃক নিজের সম্ভ্রম হারালো দশম শ্রেণীর এক ছাত্রী। সেই শিক্ষক নামের নরপশু ‘পরিমল জয়ধর’ এর বিচারের দাবীতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভিকারুন্নেসার ক্যাম্পাস।

কিন্তু অভিভাকদের অভিযোগ হচ্ছে- স্কুল কর্তৃপক্ষ রহস্যজনক ভাবে সেই শিক্ষককে বাচানোর চেষ্টা করছেন। শুধু স্কুলে নয়; দেশের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায়ই এ ধরণের ঘটনা ঘটতে শুনা যায়। মাঝে মাঝে দু একটির বিচার ও হচ্ছে । অপরাধী শস্তিও পাচ্ছে। কিন্তু এরপরও কেন বার বার এ সব ঘটনা ঘটেই চলেছে? কিছুক্ষন আগে জানতে পারলাম অপরাধী ধরা পড়েছে, তাই তার বিচার হবে, শাস্তি ও হবে।

কিন্তু এই আইন, বিচার আর শাস্তি দ্বারা কি এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করা সম্ভব?? এ প্রশ্নের সঠিক জবাব কারো কাছে থাকুক আর নাই থাকুক , এ ব্যাপারে আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন, জীবনভর এ রকম আরো বহু ঘটনার কথা আপনাকে শুনতে হতে পারে। কিন্তু কেন? সমাজের শ্রদ্ধাভাজন, সচেতন এবং শিক্ষিত মানুষের হাতেও আমাদের মা-বোনদের ইজ্জত আভ্রু নিরাপদ নয় কেন?? আসলে আমাদের দেশে প্রচলিত ‘শিক্ষা ব্যবস্থা’ আমাদেরকে শিক্ষিত করছে বটে; কিন্তু প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারছে না। নৈতিক এবং মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন একজন ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে এ শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ রুপে ব্যর্থ। আর শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে নৈতিক ও ধর্মীয় শিক্ষা কমিয়ে বা উঠিয়ে দিয়ে ‘নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ’ তৈরীর আশা করা আর লেবু গাছ রোপন করে ‘আম’ আশা করা এক নয় কি? সুতরাং যত দিন পর্যন্ত আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার পাশাপাশি ‘ধর্মীয়’ শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা না হবে ততদিন পর্যন্ত এ ধরনের অপরাধ সমাজের কোন স্তর থেকে চিরতরে রোধ করা সম্ভব নয়। এটা আমাদের শিক্ষামন্ত্রীসহ গোটা জাতি যত তাড়াতাড়ি বুঝতে পারবেন তত তাড়াতাড়ি দেশ ও দেশের জনগন এ ধরণের অভিশাপের হাত থেকে রেহাই পেতে পারে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.